অগোছানো কথনমেলা-৩
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২০ আগস্ট, ২০১৩, ১০:৪৮:৫১ রাত
পৃথিবীতে হয়ত অনেক দর্শনীয় জাগয়া আছে যেখানে গেলেই মানুষের মন প্রফুল্ল আর প্রশান্তিতে ভরে যায়।আর আমার চমত্কার দর্শনীয় অন্তরের অধিকাংশ অনুভূতি দাদা দাদীকে ঘিরে
সেখানেই সৃষ্টি হয়েছে প্রফুল্লতা আর প্রশান্তির।অনেক পুটুর পুটুর গল্প
না না কোন কল্পকাহিনী নয় তাদের বরং তাদের ছোট্ট বেলার জীবন স্মৃতি থেকে শুরু করে বিয়ে সন্তানদের কোন আদর্শে বড় করেন তার পাশাপাশি বুড়ো বুড়ির সাথে ভ্রমণ আর আর চমত্কার ঝগড়া ঝাটির স্মৃতি আজও চোখের ভেসে ওঠে।দাদাঃ
সেই সবুজে ঢাকা ছোট্ট গ্রামে জন্ম এতিম ছেলেটির ।জন্মের পূর্বে পিতৃহারা এই সন্তানটি ধার্মিক মা এর সহোচর্যে বেড়ে ওঠেন।পড়াশুনার প্রতি ছিল প্রচন্ড আগ্রহ।
গ্রামের মাদ্রাসা পড়াশুনা করে ভর্তি হন শহরের জেলা স্কুলে।ছোটবেলা থেকেই নামাজী ছিলেন ধৈর্যশীলও বটে।তবে আমার দুঃখ আমার চেয়ে তিনি অংক ইংলিশে বেশি দক্ষ তখন ছিলেন এখনও।
তারপর মেট্টিক পাশ করে ভর্তি হলেন কারমাইকেল কলেজে। ২১ বছর বয়স হয়ত তখন শুনেছি মামাদের উত্সাহে তিনি বিয়ে করতে যান।
দাদীঃ
অপর পক্ষে গর্ব অহংকার হীন একজন ব্যক্তিত্ববান নারী হচ্ছে দাদী মা। ওনার প্রত্যেক সন্তান নামাযী।সেদিন ক্লাসে স্যার বলছিলেন ব্যক্তিত্ব হচ্ছে
"ব্যক্তির সকল আচরণের সমষ্টি যা তার আচার ব্যবহারে প্রকাশ পায়"।
সেই ব্রিটিশ আমলে বাবার হাত ধরে জলপাইগুরিতে পড়াশুনা করতে গিয়েছিলেন।
ক্লাস ছয় পর্যন্ত ওখানে পড়াশুনা করে বাবার হাত ধরে চলে আসেন।
তারপর ঘরে থেকেই বিভিন্ন ধরনের বই পড়তেন।আমি বড় হয়েও দেখেছি তার বই এর প্রতি আকর্ষণ যেটা আজও আমার মধ্যে নেই।
দাদা দাদীকে খুব উত্সাহ নিয়ে প্রশ্ন করতাম হ্যা এখন বলেন কিভাবে আপনাদের বিয়ে হল?
দাদা যদিও বর্ণনা করতেন মাঝখান থেকে দাদীও দাদাকে বিপদে ফেলতেন বেশ মজাদার ছিল দাদা দাদীর একে অপরকে খুনসুটিগুলো। গল্পটি যতটুকু এখন স্মৃতি আছে তা ছিল এমন রূপ যদিও এর চেয়ে ভিন্ন হতেই পারে।
ছেলে(দাদা) মামাদের সাথে ট্টেনে করে দেখতে গেলেন মেয়ে(দাদী)।দেখা পর্ব শেষ হবার পর স্টেশনে ফিরে আসে ছেলে কারণ মাকে ছাড়া সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছিলেন না।
আমরা ত
বলেই ফেললাম...
আহা! বিয়েটা আর হল না দাদা।
আরে পুরোটা শোন...
স্টেশনে ট্টেনের অপেক্ষা থাকার সময় জানতে পারলেন
পরবর্তী ট্টেনে মেয়েকে দেখতে আরেকটি পক্ষ আসছে।
ও আচ্ছা তারপর দাদা।
কথার মাঝখানে খালি কথা বললে কি গল্প বলা যায়।
আচ্ছা আর কথা বলব না।
তখনও মেয়ের বাড়ির গরুর গাড়ি স্টেশনেই ছিল পাঁচ সাত ভেবে আমরা আবার মেয়ের বাড়ির দিকে রওনা দেই।
ও হো হো হা হা হাসতে বলেই ফেলি দাদা আপনি ফিরে গেলেন কেন?
আরে তোমার দাদীর বাবা এই জন্যই ত গাড়িটা রেখে দিয়েছিল।
ও আচ্ছা দাদা তাহলে এই কাহিনী।
সঙ্গে সঙ্গে দাদী প্রতিবাদ করে উঠলেন
তোর দাদা কিন্তু সত্য কথা বলছে না
তোর দাদার ইচ্ছে ছিল।
দাদা দাদী কি বলে
আপনার নাকি ইচ্ছে ছিল?
দাদা হাসতে থাকেন।
তবে তার ঠিক পরের দাদার কথাটি আমার কাছে মূল্যবান।
আমার কাছে মেয়েরা সন্মানের তাই একটা পর একটা মেয়ে দেখা আমার ভাল লাগে না।
সত্যি তার ইন্তেকালের পূর্ব পযর্ন্ত দেখেছি তাদের প্রতি তার ভালবাসা আর সন্মানের দৃষ্টান্ত সমুহ।হ্যা আমার দাদী মা দাদাকে সন্মান শ্রদ্ধা আর ভালবাসতেন।
হুম ঠিক
এভাবেই আমার চিরন্তণ প্রাণ প্রিয় বন্ধুদের জীবনের প্রতিটি স্মৃতিই জীবন্ত....
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
৯৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন