অগোছানো কথনমেলা-২

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১৮ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:৩১:৫১ বিকাল

কোন এক সালের সোমবার দিনেই মনে হয় আমার জন্ম।রংপুর শহরের একদম নিরিবিলি একটা পাকা দেওয়ালের টিনের ঘরে।টিনের চালের বৃষ্টির টপ টপ শব্দ পছন্দের ধ্বনি এখনও ভেসে আসে দুর দেশ থেকে।

বাবা ছিলেন তখন পেশায় শিক্ষক।রংপুর শহরে এসে পরবর্তীতে একটা বর্ণনায় শুনেছি...কত চঞ্চল না বরং একটু দৌড় ঝাপের পারদর্শী ছিলাম নাকি আমি।

কিভাবে পাশের বাড়ির জোলাই(ড্রেন) পড়ে যাই।শেষে আমার চুল ভেসে ওঠে এক সময়।ঐ বাড়ির এক অভাবা ব্যক্তি দুই নাকি তিন বছরের বাচ্চা টিকে উঠায়।নীলচে বর্ণের ঘুমন্ত বাচ্চাটিকে প্রতিবেশীদের দক্ষ পদক্ষেপ আর ভালবাসার ছোঁয়ায় ও যাত্রা

মৃত মানুষ জীবিত হয়ে ভুত হয়েই বেঁচে রয়।আর ছোট্ট বেলায় কিভাবে ক্লাস ওয়ান টু পার করেছি তা আমি আদৌ বলতে পারব না।মনে আছে গ্রামের চলে আসলাম কেন যেন হঠাত্‍ বিশাল একশত বছরের পুরোণ মাটির ঘরে একটা শপ(বেত ঘাসের তৈরি ম্যাড)বিছিয়ে আমাদের সব ভাই বোনদের পড়তে বসান হত।

আর আমি কি যে লেখাপড়া করেছি মনে করতে পারছি না।সম্ভবত কাগজ আর মাটি খেয়েছি।বড় হয়েও মাটির প্রতি একটা অদৃশ্য আকর্ষণ ছিল ।এখনও আছে।

অফুরন্ত সময় অফুরন্ত খেলাধূলাই ধুলার জগতে দিন রাত কেঁটে গিয়েছে।আর বিশাল আকাশের মেঘ গুলো আমার সাথে সঙ্গী হত।সেই সময় ছিল গরুর গাড়ির প্রচলন।

ছোট্ট পাপার(ফুপি) বিয়েতে গরুর গাড়িতে চড়ে ফুপির শশুড় বাড়ি যাই।

আম্মুর কাছে শুনেছি...

"গরুর গাড়ির নিচে যদি কোন ব্যক্তি পড়েন তবে সেই ব্যক্তিকে নাকি দন্ডি দিতে হয়।"

ডুক ডুক করে এদিক ওদিক দোল খেতে খেতে গরু মহিশের গাড়ি চলে।কাঁচা রাস্তায় চড়ার মজায় আলাদা মাঝে মাঝে মাথায় বাড়ি খেতে হয় গরু গাড়ির ঢাকনার।

কেউ না দেখলে মহা মিস বলা যায়।আমার

পাড়া গায়ে খুব দ্রুত রাত নেমে

এ তারা ও তারা হে তারারা মিটি মিটি জ্বলে বোনের কাঁধে আকাশ দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়া আহা কি সুন্দর ছড়া গান শুনাতেন নয়ত

বিদ্যুত্‍হীন গ্রামে দাদা দাদীর পাশে বসে গল্প শোনা আর

মিট মিট হারিকেনের কম্পনরত আগুনের খেলা দেখা।

চমকে চমকে চমত্‍কার মুহুর্ত্বরা চলে যাচ্ছ....

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৪১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File