অগোছানো কথনমেলা-১

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১৮ আগস্ট, ২০১৩, ০১:৫৪:২৫ রাত

মনে হচ্ছে শত বছরের দীর্ঘ চলন্ত বিলের এক ধার দিয়ে হাটছি ত হাটছি।

চারিদিকে আসরের আজানের সুর ধ্বনি ভেসে আসছে।

আমার কাধে জ্বরে আক্রান্ত শিশুটির মাঝে মাঝে থেমে থেমে বিলাপ করে কাঁদছে।

ওকে থামাব যে তেমন কোন তাগাদা নেই আমার মধ্যে।

আমিও চাচ্ছি ও কাঁদুক ধীরে ধীরে কাদতে কাদতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ুক।

আরও যে অনেক পথ হাটার বাকি

ওর কান্না যাতে কখনই আমাকে পিছু না টানে আমি সর্তকভাবে অনেক দুর এগিয়ে যাব।

মিশরের শত শত নারী বাচ্চা যুবক যুবতী আর বুড়ো বুড়িরা লড়াই করে শাহাদাত বরণ করছে

আর আমি সামান্য দুনিয়াবী লোভকে কবর দিব।

তা পারব না এটা কেমন কথা।আসমা ত আমার চেয়ে ছোট ও কিভাবে পারল।

আব্বু রাতে কোরআন পড়ছিলেন আর মাঝে দুই একটা কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা অর্থসহ আমাকে বলছিলেন।

আমরা রাজনৈতিক প্রায় আলোচনা করি মাঝে মাঝে পরিবার

কখন হরতাল

কখন ট্রাইবুনাল আর কখন বিশ্বের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।

মিশরের বর্তমান পরিস্থিতিতে আরো ১৫০০০হাজার শহীদ হলেও হতে পারে

আমি বলি কি বল আব্বু?

আব্বু বলছিলেন ইব্রাহিম (আ) পর মিশরে এত বেশি ব্যক্তি শাহাদাত বরণ করল এই প্রথম।

তাহলে কি বিজয়ের সুরে রেনেসার আনন্দ ধ্বনি ভেসে আসছে নাকি।

আচ্ছা

বাংলাদেশের জনগণদের মধ্যেও কিন্তু বেশ প্রভাব পড়েছে।

হাজার হাজার মানুষ শাহাদাত বরণ করার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে।

তোমার কি মনে হয় বাংলাদেশের নারী পুরুষ সকলে মাঠে নামবে।

আব্বু বললেন দুই একটা রায় কার্যকর করতে গেলেই মানুষ মাঠে নেমে পড়তে পারে।

কেন আমরা অন্যায়ের বিরূদ্ধে রুখে দাড়াব না?

এটা আমার প্রশ্ন।

যদিও আমরা আমাদের নফসকে পুরোপুরি কবর দিতে পারছি না মানবিক দুর্বলতা কিছু কিছু থেকেই যাচ্ছে।তা ত থাকবে খুব স্বাভাবিক।

কিভাবে কিভাবে যেন আধুনিক জগতের সাথে রক্ত মিশে গেছে।

আগে পড়তাম তিন গোয়েন্দা সিরিজ।তারপর

সেবার প্রকাশনীর সাইমুম আর হুমায়ন সমরেশ শরত্‍ শীর্ষেন্দুর বই এর কথার সুরের সাথে প্রকাশ্যে আর পরীক্ষার সময়

বই এর ফাঁকে লুকিয়ে লুকিয়ে কত রাত পেরিয়ে ভোর হয়েছে।তারপর চাচার সাথে বসে কত দেশি বিদেশী ধারার গান শুনেছি।

ছোট্ট ছোট্ট বাবুরাও প্রেমে পড়েছে এই ক্লাস ত্রি থেকে শুরু করে।

খুনসুটি হাসাহাসি কাঁশাকাশিতেই আমি ওদের রাত পেরিয়ে ভোর হতে দেখি ঢাকায় এসে।

আমি ভাবি আর ভাবি।

রাতভর শুয়ে থাকা ক্লাস এইট নাইনে পড়া কাজিনরা পুটুর পুটুর গল্পে গল্পে পার করে পুরো রাত।

চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটা পর একটা প্রেম আর বিরহে সুইসাইডের পদক্ষেপের রহস্যঘন দৃশ্যের কাহিনি।

বেশ রসিক ভয়ংকর প্রেম কাহিনি।

আমার বই এ ভাল।

নামায শেষে সকালের শুভ্র আলো ছুতে আমরা দোর খুলি ঠিক সময় মত তখন এক রাশ দক্ষিণা হাওয়া টুক করে মগজে ডুকে যায় আমাদের।

তারপর গুটি গুটি পায় শিউলী ফুল কুড়তে কুড়তে ওড়নার করে ফুল এনে ছড়িয়ে দেই মেঝেতে তারপর এক রাশ মার বকুনি।

আমার স্কুল জীবন

কলেজ জীবন কেটেছেই এই অগোছানো ফুল পাখি বই আর মায়ের বকুনি সুরে।

ভালই হল

এখন বিপ্লবের পথে হাটা যাক....

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১০৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File