মেয়েদের নৈতিক শিক্ষার পিছনে বাবার ভূমিকা অনেক
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২৪ জুলাই, ২০১৩, ০১:৫৩:১৭ রাত
ঝিরি ঝিরি ইলিশে কুরি মধ্য দিয়ে আব্বু আর আমি রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি নামাযের উদ্দেশ্য,বৃষ্টির ফোঁটারা টুপ টুপ করে
ঝরছে তখন আকাশ ফিরি।কি যে প্রশান্তির হাওয়া বইছে চারিদিকে।আর গাছের পাতা বেয়ে
ঝরছে টপ টপ ফোটা।
বাবাদের সাথে সন্তানরা নামাযে যাবে এটায় স্বাভাবিক,তবে আমাদের সমাজ মেয়েদের নিজ বিবেকে জাগাতে শেখায় না।তারা ত ঘরেই বন্দি করে ভুল ইসলাম শেখায়।কিন্তু একজন পিতার সত্ সহযোগিতা থাকলে সত্যি জীবনের চলার পথ অনেক সহজ হয়ে যায়।সহজ হয় পৃথিবীতে নিজেকে ছোট্ট জগত একান্ত নিজের মত স্বাধীন ছেড়ে দেওয়ার একটা সম্ভবনা।আমাদের সমাজে
বাবা মেয়ের হাত ধরে মার্কেটে নিয়ে যায় ঠিকই,
ঠিক ঠিক স্কুলে নিয়ে যায়
দর্শনীয় জায়গাতেও নিয়ে যায়।
কিন্তু কখনও কোন মাঠের সমাবেশ নিয়ে যায় না,
নিয়ে যায় না মসজিদে,
নিয়ে যায় কোন বিধর্মীদের অনুষ্ঠানের কর্মকান্ড দেখতে
অথবা পাঠ্যবই নিয়ে ঘন্টার পর পর বসে থাকলেও
"আমরা সেই জাতি" নবী রাসূল বা সাহাবীদের বই নিয়ে কোন আলোচনা করার বেপারে খুব আগ্রহও প্রকাশ করে না।
অথবা পুরোপুরি দুনিয়াবী বিশ্বাস তৈরি করে ঠিকই কিন্তু একটা দীর্ঘ অনিশ্চয়তা আর ভয়
সেই বিশ্বাসের হাতটা ছেড়ে দিতে সাহস পায় না।
আমার ক্ষেত্রে কেন যেন সব উল্টো পাল্টা ঘটে সবর্দায়।
স্কুল বা মার্কেটে আব্বুর সাথে যাওয়া হয়েছে খুব কম বরং
আব্বুর সাথে যেতাম মাঠ ইসলামিক কোন বক্তাদের সমাবেশ শুনতে গভীর রাতে ভ্যানে ঘুমাতে ঘুমাতে বাসায় আসতাম।
পুজাতে হিন্দুরা কিসের পুজা করে সেই মূর্তিগুলো একদিন দেখতে নিয়ে গিয়েছিলেন আমাদের আব্বু।
দেখার জগতটি আশা অতিক্রম করে মাঝে মাঝে আব্বু যখন আমার দাদা দাদীর বৃদ্ধা অবস্থায় ঠিক যত্ন সহকারে
সেবা যত্ন করতেন তখন এই সরকারে ভাষ্য অনুসারে চেতনার রাজাকার পরিবারটিকে পৃথিবীর একটা শ্রেষ্ঠ পরিবার মনে হত আমার কাছে।
আব্বু দাদী দাদাকে এত ভালবাসতেন যা আমাদের
ভাবলেশ চেতনার জগতকে নাড়া দিত,
ফুটন্ত গোলাপ সৌরভ ছড়ায় সবসময় যেমন একজন ঈমানদ্বার লোকের আচরণ পুরো পরিবেশের মধ্যে সৌরভ ছড়ায়।
বৃষ্টি
তোমায় বড় ভালবাসি প্রতিটি ফোঁটায় ফোঁটায় নিয়ামত পূর্ণ
আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করি।
আমার মা বাবার যেন নেক হায়াত দান করেন।
(আমিন)
সত্যি আমাদের যত স্বাধীনতা
সেই স্বাধীনতার সত্ ব্যবহার করার শুধু যোগ্যতা তৈরি করতে পারলেই তবেই সরকারে গুজবের এই চেতনার রাজাকাররা ভবিষ্যতের রাজাতে পরিনত হবে।
ইনশাআল্লাহ
কোরআনের একটা আয়ত আছে আয়াতটি হচ্ছে
"হে নবী ! প্রঙ্ঞা ও বুদ্বিমত্তা এবং সদুপদেশ সহকারে তোমার রবের পথের দিকে দাওয়াত দাও।"
(সুরা নাহলঃ ১২৫)
গোটা দুনিয়াতে যে কাউকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার জন্য দুটি গুনাবলী থাকা প্রয়োজন।
^^প্রঙ্ঞা এবং বুদ্ধিমত্তা
^^সদুপদেশ
দুটো গুনের অভাব আছে আমাদের পর্যাপ্ত অভাব।
বিষয়: বিবিধ
১২৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন