"মাহে রমযানকে সামনে রেখে পারিবারিক আসর" (১ম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ০৬ জুলাই, ২০১৩, ১২:৫৯:২১ রাত
"মাহে রমযানকে সামনে রেখে পারিবারিক আসর"
(১ম পর্ব)
৫/৭/১৩
বিকালঃ৫.০০টা
আজ পবিত্র জুম্মার দিন।এই ত আর মাত্র কয়েকটা দিন পর বছরে শ্রেষ্ঠ একটা মাস মাহে রমযানের আগমন ঘটবে।আলহামদুলিল্লাহ আত্নীয় স্বজনের পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হয়ে চমত্কার একটা আসর বসেছিল আজ
রমযানকে সামনে রেখে।
সংক্ষিপ্ত আসরের রূপরেখা বর্ণনা করছিঃ
প্রথমে কোরআন তেলোয়াত করেন ভাইয়া।
তারপর দারসুল কোরআন পেশ করেন আব্বু।
প্রথম পর্যায়-
দারসের বিষয়ঃ
সুরা হুজরাতঃ২ রুকু
মুল বিষয়বস্তুঃ
মুসলমানদের আদব কায়দা ও আচরণের সঠিক শিক্ষা দেওয়া।
1.ঈমানদার সুলভ স্বভাব চরিত্র তৈরি করা।
2.খবর শোনার পর সঠিকভাবে যাচাই করে বিশ্বাস করা।
3.অন্যের প্রতি ঠাট্টা বিদ্রুপ উপহাস বদনাম(ইমরান অথবা হাসিনা কোন মন্ত্রীকে করি কিন্তু এতে আমাদের গোনাহ হয় আজকে জানতে পারলাম)করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
4.খারাপ ধারণা পোষণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
5.গোপনীয় বিষয় খুঁজা খুঁজি থেকে বিরত থাকতে হবেহযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন,
" সেই সব লোকজন যারা মুখে ইমান এনেছে কিন্তু এখনও ইমান তোমাদের অন্তরে প্রবেশ করেনি তোমরা মুসলমানদের গোপনীয় বিষয় খুঁজে বেড়িও না। যে ব্যক্তি মুসলমানদের দোষ ত্রুটি তালাশ করে বেড়াবে, আল্লাহ তার দোষ অন্যেষণে লেগে যাবেন,আর আল্লাহ যার দোষ ত্রুটি তালাশ করেন তাকে তার ঘরের মধ্যে লাঞ্ছিত করেন।
(আবু দাউদ)
6.কাউকে ব্যক্তিগত আক্রশের কারণে ফাসেক মুনাফেক খোড়া কানা অন্ধ বা ইহুদী খৃষ্টান বলা যাবে উচিত নয়।
7.কটুভাষী পানিতে ডুবে মরার শামিল।আবু হুরাইয়া (ফেবুতে কটুভাষীদের আড্ডাখানা)
8.জাতি,গোত্র,বংশ ,ধর্ম গর্ব করা বা অহংকার উচিত নয়।
9.গীবত করা-অন্যের অনুপস্থিতিতে কোন ব্যক্তির দোষ ত্রুটি বর্ণনা করা।এটা মুলত একটা মহামারী রোগ অজান্তে জেনে বুঝে করে থাকে।এটিকে মুদ্রাদোষ বলতে পারি।যা করা সম্পূর্ণরূপে হারাম।
10.অপরকে হের তুচ্ছ তাচ্ছিল করা থেকে বিরত থাকা।
রমযান সম্পর্কে না দারস্ দিয়ে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কারণ এসব মানবীয় গুনাবলী চরিত্রের মধ্যে যদি পূণাঙ্গ রূপে তবে
রমযানের যে মুল লক্ষ্য তাকওয়া বা আল্লাহ ভীতি তা অর্জন পুরোপুরি ব্যাঘাত ঘটতে পারে।যার ফলে উপস থাকা আর রোযা রাখার মধ্যে পার্থক্য থাকবেনা।
অবশেষে
দুটি দোয়া শিখিয়ে এই পর্ব শেষ হয়।
প্রথমটিঃ
হে আল্লাহ আমরা যে সমস্ত পাপ কর্ম করেছে বুঝে ও না বুঝে তার ভয়াবহ ফলাফল বা আযাব থেকে আমাদের রক্ষা কর ।
দ্বিতীয়টিঃহে আল্লাহ তোমার যে কোন খারাপ ফয়সালা যা আমাদের জন্য নির্ধারণ করা রয়েছে তার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা কর।
এখানে প্রথম পর্ব শেষ
[চলবে]।
বিষয়: বিবিধ
১০৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন