সমাজে নারীদের অবস্থান কোথায়

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২৩ জুন, ২০১৩, ১০:২৫:০১ রাত

আমাদের গবেষণা মুল সুত্র হচ্ছে 'সমস্যা'।

"সমস্যা" আছে ত গবেষণা আছে

"সমস্যা" নাই ত গবেষণা নাই।

আর সব সমস্যা মানুষের আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়ার বিঞ্জান সম্মত বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

আজ একটা সমস্যা পেলাম।

এই বাস নামক পদার্থটিতে উঠতে এক প্রকার যুদ্ধ করতে হয়।

আপনি যদি জিতে যান তবেই বাসে উঠতে পারবেন।

বাসে উঠার পর দেখা গেল মেয়েদের সিটে এক ....ভদ্রলোক আমরা কজন অভদ্র মহিলা দাড়িয়ে।ত লোকটার পাশে একটা সিট এখন ওখানে বসতে হবে তা না হলে দাড়িয়ে থাকতে হবে

কোন ক্রমে দাড়িয়ে থাকা নিরাপদ নয়

সুতরাং ব্যাগটা লোকটার সাইডে রেখে বসে পড়লাম।

ব্যাগটা রেখে বসার কারণে মনে হয় লোকটার মেজাজ খারাপ হলঃ

ভদ্রলোক বলেই উঠলেন,

"দুনিয়ায় মহিলাদের মত খারাপ জিনিস নাই"

হঠাত্‍ আমিও উত্তর দিলামঃ

রাইট,

ঠিক বলেছেন।

সারা রাস্তা সামনে আকাশ দেখতে দেখতে একটা

সমস্যাও বের করে ফেললাম।

আসলেই ত নারীরা দুনিয়ার একটা খারাপ দ্রব্যে পরিণত হচ্ছে দিনকে দিন।

যাকে বলা যায় প্রোডাক্ট

বিক্রি করে উপার্জন।

ভদ্রলোকের পাশে ব্যাগ রাখায় বিরক্ত হয়ে

গেলেন।

হওয়াটাই ত স্বাভাবিক।

এভাবেই ত তিনি আশা করেননি তিনি আশা করেছেন মেয়েটা তার পাশে গা ঘেসে বসবে।

যা আজকালের আধুনিক মেয়েদের সম অধিকারের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।আমি পুরোপুরি আধুনিক হতে পারিনি।

ভদ্রমানুষগুলো সব ক্ষেত্রে নারী ফ্যান্টাসিতে আক্রান্ত।

খুব খেয়াল করছিলাম ভার্সিটেতে যাওয়ার সময় আমি পিছনে পিছনে টাইট ফিট গলায় পেছানো ওড়নার আপুটা ঠিক সামনে মডেল স্টাইলে হেটে যাচ্ছেন।

আছে পাশের ভদ্র সমাজ চোখ দিয়ে গো গ্রাসে গিলছে।

খুব দৃষ্টিকটু আর বিব্রতকর কখনও কি ঐ আপুটা অনুভব করেছে

মনে হয় না।

আপনি এনিয়ে বেনিয়ে আধ আধ বাচ্চা কন্ঠে আবদার করে ক্লাসমেটদের কাছে সাহায্য চাইবেন

হরফ করে বলতে পারি আপনি হেল্প পাবেননি।

উগ্র যত হতে পারবেন

দেখবেন

প্রকৃতি আপনাকে ততই মর্যাদায় রাখবে।

সাময়িকভাবে সে যা চায় তাই পাচ্ছে সুতরাং সে নিজেকে উগ্র করে সাজাতে পছন্দ করছে।

নারীরা কি জানে?

তারা যে সাময়িক ভোগের বস্তুতে পরিনত হচ্ছেঃ

যখন সে বাসে উঠবে তখন হেল্পার হাত করে যত্ন করে উঠাবে

মনে রাখবেন তারা সাহায্য করার চেয়ে ফ্যান্টাসি অনুভূতির জন্যই হাত ধরতে আগ্রহী।

যখন বলবেন হাত ধরার দরকার নেই আমি নিজেই উঠতে পারব

তখন হেল্পারের লুকিং দেখার মত হয়।মনে হয় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নামায় দিতে পারলেই তিনি খুশি।

ক্লাসে যে ছাত্ররা মেয়েদের পাশে বসবে এক প্রকার ফ্যান্টাসি খুঁজার জন্য।

কোন এক নারী ছবি আপলোড করল

সেখানেও ফ্যান্টাসি আছে।

আমি লিখছি এর মাঝেও ফ্যান্টাসি খুঁজে মানুষ কারণ নামটা ত নারীর।

কি আশ্চার্য নারী কি

চমত্‍কার একটা আনন্দ দায়ক দ্রব্য।

গবেষণা সম্পূর্ণ হওয়ার পর আমার মতামত নারী কোন ফ্যান্টাসি বা আনন্দদায়ক পদার্থ নয়।

বরং নারীরা হচ্ছে গোটা পৃথিবীর সবচেয়ে সন্মানিত আশরাফুল মাখলুকাত।

আল্লাহ ও রাসুল সাঃ কে ভালবাসার পর

মার কথা তিন বার বলা হয়েছে

সুতরাং মেয়েরা মা হিসেবে বাবার চেয়েও বেশি সন্মানিত।

যদি আপনার তিনটি কন্যা সন্তান হয় এবং তাকে যথাযথ লালন পালন করা হয় তবেই সেই বাবা সন্মানিত সুতরাং কন্যাও সন্মানিত।

বোন হিসেবে সন্মানিত।

স্ত্রী হিসেবে নারীরা সন্মানিত।

পরিবার হচ্ছে একমাত্র প্রশান্তির নীড়

সুতরাং যেখানে সৃষ্টিকর্তা নারীদের এত সন্মানিত করে সৃষ্টি করছেন

সেখানে আমরা নারী নিজেরা এবং আমাদের পরিবার ও সমাজ

আমাদেরকে ভোগ্যবস্তু করবে কেন?

আর আমরা বোকার মত হয়ে যাচ্ছি কেন?

কারণ একটাই

আমাদের মা বাবা নামক অভিভাবকরা জানেই না অথবা আমরা যদি অভিভাবক হই তারাও হয়ত জানি না।

তাই পড়তে হবে।

বুঝতে হবে।

মানতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১০২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File