এ কেমন বিচার তোদের

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ৩০ মে, ২০১৩, ০৬:০৫:৩১ সকাল

কথাঃ

ভালবাসা মানে প্রেম নয়,

ভালবাসা মানে অনেক বড় কিছু,

ভালবাসা মানে অনেক উদার কিছু।

কাল সরবে লেখাগুলো পড়তে এই কয়েকটা লাইন বেশ মনে লাগল।

বেশ ছোট বেলা থেকেই আমি স্বাধীন।

আমাকে নিয়েই যাওয়া হত ঈদ গা মাঠে।

ভেনে বসে দাদা আব্বুর সাথে পাড়ি জমাতাম তাফসীর মাহফিলে রাত ১২টার সময় ঘরে আসতাম তখন ত আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছি দাদার কোলে মাথা রেখে।

বাড়িটিতে মোটামুটি রাজনৈতিক তর্ক বিতর্ক চলতেই থাকে সকাল ৬.৩০থেকে শুরু করে রাত ১০.৩০ বিবিসিতে। একনিষ্ঠ শ্রোতারা জেগে জেগে দেশ উদ্ধার করছে যখন

ঠিক তখন পাড়া গায়ে কবরে মত শান্ত।তবুও দুরে শিয়াল আর ঝিঁঝিঁ পোকাদের ছন্দের সাথে জোনাকিরা মিট মিট করে জ্বলতো আলো।

বাড়িতে কলেজ জীবন পর্যন্ত টিভি ছিল না গোটা বাড়ি জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অসংখ্য বই।

বই পাগল না থাকলেও রাজনীতি ব্যক্তিদের প্রতি বাড়ির লোকদের শ্রদ্ধাবোধ বেশ আকর্ষণ করত। অজান্তেই তাদের প্রতি এক গভীর সন্মান ও শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে আমাদের বেড়ে ওঠা।

অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবের সাথে পরিচয় ঠিক ছোট্ট বেলা খেলার সময় থেকে।

না না তার সাথে দেখাও হয়নি কথাও হয়নি আমার।

কিন্তু তার লেখা বই ঘরে মাঝে মাঝে পড়তাম।

তাকে নিয়ে আলোচনা চলত।

সবচেয়ে অবাক লাগত আমার দাদা তাকে না দেখেও খুব সন্মান করতেন

খুব শ্রদ্ধার সাথে উনার জীবনী পড়ে শোনাতেন।সংগ্রাম পত্রিকা আমাদের সেই সময় নেওয়া হত

."জীবনে যা দেখলাম"

ধারাবাহিক কলামটি বাড়িতে সবাই পড়তেন মনোযোগ দিয়ে।"জীবনে যা দেখলাম-১ম খন্ড" পরবর্তীতে কেনা হয়েছিল।

একদিন ক্লাসে কোন এক ছাত্র ও জিঞ্জাস করেছিল কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থক করি আমি

বললাম

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।

ও বলেছিল দলটি ভাল কিন্তু উপর লেভেলের কয়েকটি নেতার বিচার হলে নাকি দলটি পরিশুদ্ধ হবে।

আমি ঐ ছাত্র সাথে তর্ক করেনি কারণ ও ওর অবস্থান থেকে যা দর্শন করছে তাই হয় ত বলেছে।

তবে আজকাল বেশ মুর্খ আর ভোতা মস্তিষ্ক অধিকারী মনে হয় ভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীদ্বয়কে কারণ এত অন্ধ অঘাত বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে যে দলের নেতা কর্মীদের সারা দিন রাত গালিগালাস করছে

ঐ নেতাদের মধ্যে এমন কি গুন আছে যাদের লেখা বই পড়ে আজও ৪০ বছর

পরও লক্ষ লক্ষ তরুণ তরুণী যারা স্বাধীনতার পর জন্ম গ্রহণ করেও ঐ নেতাদের অন্তর থেকে সন্মান করছে।এমন কি নিজের জান মাল ক্যারিয়ার সব ভুলে মাঠে নামছে।দয়া করে আপনারা তার "জীবনে যা দেখলাম"

বইটি কিনে পড়বেন।অথবা "মনটাকে কাজ দিন" "জীবন্ত নামাজ" "সত্‍ লোকের এত অভাব কেন" আরো অনেক বই আছে।পড়ে বুঝতেন কেন তাদের এত জনপ্রিয়তা।

মুর্খের মত শুধুমাত্র অনুমানের ঘোরে আর কত ঘৃণা করবেন এই নিরাপরাদ লোকগুলোকে।দেখুন এই পৃথিবীর বুকে যতই ফাঁসি ফাঁসি চিত্‍কার করুন মনে রাখবেন

"মৃত্যুর ফয়সালা হয় আসমানে দুনিয়াতে নয়"।

আপনারা ন্যায়ের পথেই আছেন যখন আপনাদের এত ভয় কেন

কোথায় গেল শাহবাগ?

কেন আপনারা ভয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।বছরের পর বছর জেলে যাওয়ার ভয়ে এক সাহসী নেতা বিদেশেই পড়ে রয়েছেন।অপর দিকে ৫৩দিন রিমান্ডের পর হুইল চেয়ারে বসে থেকেও ঈমানকে নড়বড়ে করতে পারেনি সরকার এক ছাত্র নেতার।অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবকে ধরার আগে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন বাংলাদেশ সরকার হৃদয় কেঁপে ওঠল।তাকে জেলে নিয়ে গেল।কয়দিন পর তার রায়ও দিয়ে দিবে আপনারা মিষ্টি বিলাবেন উত্‍সব করবেন।দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অধিকারী হয়ে আপনাদের নেতারা কঠোর নিরাপত্তার বলয়ে দেশ ত্যাগ করবে।কি হাস্যকর ।ভেবে দেখেছেন সত্‍ কাজ করছেন কিন্তু

২৮ফেব্রুয়ারী গুলি করে শত মানুষকে শহীদ করে দিল আপনারা মেনে নিলেন।তারপর ৫মে রাতে পরিকল্পিতভাবে এতিম হেফাজতের নিরিহ ধর্মপ্রাণ লোকদের রাতের অন্ধকারে ব্রাশ ফায়ার করে মেরেই ফেললেন।জামায়াতের ১৫ বা ২০ জন নেতাকে জেলে পুরে অপরাধীদের বিচার করছেন ভাল কথা কিন্তু বাংলাদেশের সাধারন শত শত মানুষকে কেন মারছেন।

আমি বলি কি এই এতিম বাচ্চাদের অভিশাপ কিন্তু লাগবে আপনারও কপালে কারণ আপনি মিথ্যুক অথবা মিথ্যা ধ্যান ধারণা মগজে লালন পালন করছেন?

নতুন মস

আমার লেখা খারাপ লাগলে দয়া করে মন্তব্য করবেন না।ভদ্র মানুষ হলে গালি গালাস করবেন না।

ধন্যবাদ

বিষয়: বিবিধ

১১৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File