ভালবাসার পৃথিবী
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২১ মে, ২০১৩, ০২:৪০:৩৩ রাত
দিনটা শুরুই হয়েছিল কাযা নামায পড়ে।তারপর
জনতা ঢেউয়ের মাঝ দিয়েই পায়ে হাটা তারপর দৌড়াতে দৌড়াতে লোকাল বাসে ওঠা
সবকিছুই যেন মেঘলা আকাশে ঢাকা।
তারপর ক্লাস CT EEG ORG মস্তিষ্কের অনাচে কানাচে কি ঘিলু আছে তা বুঝতে বুঝতে আমার ঘিলু হাওয়া।
এরপর এক ক্লাসমেট ঝাঁঝালো অপমান করল।
তার সাথে কোন তর্কে গেলাম না চুপচাপ বের হয়ে বাসে উঠলাম। বাসে ক্লাস ফোর ফাইভের একটা বাচ্চা উঠেছে পিঠে বিশাল একটা ব্যাগ ।সম্ভবত কমপক্ষে বিশটা বই খাতা হবে।
খুব ক্লান্ত বাচ্চাটি।
প্রশ্ন করলাম কোন ক্লাসে পড় বাবু?কয়টা বই আছে ব্যাগে?
বাচ্চাটা ব্যঙ্গ করে ধুর বলল আমি ত থ...
এরপর বাচ্চার মা বাচ্চার আচরণ দেখে হাসছে
বাচ্চাটা যে বেয়াদবি করল তাকে উত্সাহিত করলেন মা।
আরেকটা ধাক্কা.....
আকাশ এরি মধ্যে পুরো মেঘলা।মা তার ব্যাগ থেকে দুটি সানগ্লাস বের করে ছেলেকে দিলেন এবং নিজেও পড়লেন।
পাশে বসা আপুটি বললেন আমাকে
তার হাসি পাচ্ছে।
আমিও অপ্রস্তুত।
অপর পাশে বসা ৪০টি হাদিস মুখস্থকারী বেপর্দা পুলিশ আপা পর্দা সম্পর্কে দীর্ঘ বক্তব্য শুরু করে দিয়েছেন।
কি নাযেহাল অবস্থা রে বাবা দেশের...
আরেকটা ধাক্কা....
এত গুলো বিতর্কিত ঘটনা মনকে বিমর্ষ করে দিচ্ছিল...
হঠাত্ সব অপমানকে বাধ ভেঙ্গে প্রাণপ্রিয় বৃষ্টির আগমন ঘটল।
পাশে পুলিশ আন্টি নেমে গেলেন।
পরিচয় হল আজকে সেই প্রিয় ব্যক্তির সাথে যার স্নেহ আর আন্তরিকতা সব অপমান বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে গেল।
ছেলের শশুরবাড়ি ছেলের মা এক ব্যাগ (১০কেজির মত)আম নিয়ে যাচ্ছেন অবাক হলাম খুব!
ছেলের বউ ত নিয়ে যেতে পারত কিন্তু মহিলা নিজে আন্তরিক বলেই এই কাজটি করতে পেরেছেন।
এরি মধ্যে
খুব বৃষ্টি নেমেছে...
যদিও ছাতা নামক অপদার্থটি কখনও আমার পছন্দ না তবে আব্বুর দেওয়া নতুন ছাতাটি বেশ কাজে লাগল
আজি বৃষ্টিতে।
ঐ
খালাম্মাকে নিয়ে নামলাম তারপর ছাতা দিয়ে তার বাসার কাছের গলিতে চলে আসলাম।
ওনাকে বিদায় জানিয়ে চলে আসব
ঠিক ঐ সময় জোর করে একটা আম হাতে তুলে দিলেন
খুব অপ্রস্তুত আমি....
তবে নিলাম কারন সেটায় ভদ্রতা মনে হল।
খুব স্নেহভরা কন্ঠে নাম জিঞ্জাস করলেন
বেশ খুশি ওনি।
প্রফুল্ল মনে
চলে আসলাম বাসায়।
নেট খুলেই দেলোয়ার হোসেন ভাইয়ের নির্যাতিত ছবি দেখে খারাপ লাগল।
কেন এরূপ অমানবিক অত্যাচার।
অবশ্যই বাংলাদেশের আনাচে কানাচে হাজার হাজার যুবক ,নারী , শিশু নির্যাতিত হচ্ছে
তাহলে কেন একজন দেলোয়ার হোসেনের জন্য মন ভারাক্রান্ত যদি আপনি এই প্রশ্ন করেন
আমার উত্তরের আগে প্রশ্ন
কেন একটি ব্যক্তির সুস্পষ্ট অপরাধ ছাড়া নিছক হিংসাবশত আক্রোশ এক নিরিহ যুবকে দেওয়া হচ্ছে কারন সে শিবিরের সভাপতি।
অনেক পথ পথিকের
অভিভাবক তাই মন খারাপ।
সেই ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূল সাঃ কে শক্ত করে আঁকড়ে ধরেছেন এটায় যদি তার অপরাধ হয় তবে কি আমরা স্বাধীন দেশে বাস করি সত্যি।
এই যুবকের অপরাধ কি বলুক সরকার
তারপর পর বিচার করুক।
ফাতেমা শাহরিন
[বিঃদ্রঃ
১.দয়া করে কাউকে অপমান করার আগে নিজের অপমান বোধটা একটু স্বরণ করবেন।কারণ ইহা সহ্য করা বেশ কষ্টকর।
২.আধুনিক মা বাবা হবেন কোন সমস্যা নেই।দয়া করে বাচ্চাকে নৈতিকতা আর শিষ্টাচার শিক্ষা দিবেন।কারণ চরিত্র সকল সুখের মুল।৩.পরো উপকারী হবেন আল্লাহ সন্তুষ্টির লক্ষ্যেই মানুষকে ভালবেসে সাহায্যের হাত এগিয়ে দিবেন।মানুষের কাছে ভালবাসা পাবেন।
৪.জালিম সরকারের মত অন্ধ আক্রোশের তোপে কার ক্ষতি করবেন না।
বিষয়: বিবিধ
১০৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন