মানুষ আল্লাহর সৃষ্ট সৃষ্টি
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:৫৫:০৩ রাত
গত সাড়ে চার মাস পূর্বে এক বিকাল বেলা ৫.০০ বা ৫.৩০ একটি কচি নবজাতক শিশুর আবির্ভাব ঘটে এই পৃথিবীর বুকে।
আমি ছোট্ট করে পরিস্থিতির বর্ণনা দেই।গতকাল যাকে ফেটাস বলছি আজ ও নবজাতক।
মাকে করা হয়েছে সিজার।
ঐ মুহুর্ত্বে মা যে কত কষ্ট সহ্য করে
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ধৈর্য দেন বলেই সম্ভবত মা সহ্য করতে পারে।
বাচ্চা টিকে বের করে দেয় পূর্বেই ছোট্ট ১২ কিংবা ১৬ইঞ্চির একটা মাটির তৈরি নিষ্পাপ মাংস পিন্ড দুটি চোখ তাকিয়ে রয় অপলক।একটা রূহ ডুকিয়ে দেওয়া আছে।
পুরো শরীর সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা।
খুব সাবধানে নিতে হয় এত ছোট হাত
এত ছোট পা
আরো ছোট আঙ্গুল আর নখগুলো।
ধরতেও ভয় লাগে
এই বুজি ব্যাথা পাচ্ছে
এই বুজি হাতগুলো গায়ের নিচে পড়ল।
সবচেয়ে ভয় লাগত যখন এই ছোট্ট আতু ঘুমাতো।আসলে কি নিঃশ্বাস নিচ্ছে।কেন শব্দ করছে না।বার বার হাত দিয়ে পরখ করা আসলে কি ঘুমাচ্ছে।
প্রথম তিন দিনের দুই দিনেই মা বিছানায় কাতরাচ্ছে সন্তানের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকলেও নিয়ে রাখার ক্ষমতা পাচ্ছে না।
আরেকটা ভয়ংকর সময় যখন এই আতুকে কাপড় পরিবর্তন করা হয়।
এত নাজুক অঙ্গ গুলো যে কাপড় পড়াতেই ভীষণ ভয় লাগত।
এত নাজুক অঙ্গ গুলো যে কাপড় পড়াতেই ভীষণ ভয় লাগত।
আর যখন করুণ সুরে কান্নাকাটি করত তখন মনে হত
মনে হয় কেউ হৃপিন্ডের ভিতর হাতুর দিয়ে বাড়ি মারছে।
কেন এই কচি আতু কাঁদবে?
ওর কি খুব কষ্ট হচ্ছে?
বিভ্রান্তিকর আর স্পর্শকাতর একটা মুহুর্ত্ব ।সত্যি আল্লাহ এমন মায়া মমতা দয়া দিয়ে পাঠায় একটা মানুষকে এই পৃথিবীর মাঝে । মানুষগুলো কি তার জন্মের মুহুর্ত্বটিকে নিয়ে কখন ভাবে?
যে সে কত বড় অসহায় ছিল?
কি ভাবে তার মা তার পরিবারের অন্য সদস্যদের অন্তরে আল্লাহ পক্ষ থেকে অঢেল মায়ার জালে জড়িয়ে পড়েছিল সে।
আবার এই মানুষগুলো একে অপরকে শারিরীক মানসিক অত্যাচারে জর্জরিত করে প্রতিনিহিত।
মুলত পৃথিবীর সব বন্ধনগুলো মায়া মমতা আর গভীর যত্নে গড়া
সীসাঢালা প্রাচীরের মত।
কোটি কোটি টাকার মালিক হন না কেন কোন লাভ নেই,বরং যত মায়া মমতা যত্ন আর দ্বায়িত্ব পালনের সাথে এগিয়ে যাবেন আপনি ততই সুখী।
যদি কুটির ঘরেও থাকেন আপনি সুখে রবেন।
আমি দেলোয়ার হোসেন আর মাহমুদুর রহমান স্যার এর মায়েদের কথা ভাবছি।
সম্ভবত, ঠিক জানি না আমি ২৭ বা ৫৭ বছরের সন্তান ওনারা মায়ের চোখের সামনে প্রতিদিন নির্যাতিত হচ্ছেন ।আচ্ছা আপনার মা দেখলে কি সহজে মেনে নিতে পারবে।আপনার কষ্ট।
এটা কি মেনে নেওয়া সম্ভব।
আজ ঐ পরিবারগুলো শোক আর কষ্টে প্রায় মৃত।
কোন প্রাণ খোলা হাসি নেই।নেই চোখে ঘুম।নেই সুখ তবে আল্লাহর পরীক্ষাকে মেনে নেবার প্রাণ পন চেষ্টা করছে।
আচ্ছা শয়তান কি কখন বিশ্রাম নেয় না।
একটু বিশ্রাম নিলে অনাবিল হাসি ফুটে ওঠতো চোখে মুখে।
মাকে জড়িয়ে ধরে আবেগ জড়িতে কন্ঠে সন্তান ডাকত আর বলতঃ
মা,
আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে
কালিমার পতাকা উড়ছে ঘুড়ির সাথে ঐ আকাশে।
চল মা
আজ তুমি আর আমি আল্লাহর ঘর কাবাতে গিয়ে
হজ্জ করে আসি।
আল্লাহর ডাক যখন আসবে তখন
হয় শহীদের বেশে না হয় গাজী হয়ে।
মা তুমি আমি জান্নাতে গাছের ঝর্ণার ধার ধরে হাটব।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন