বই পড়া
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১৬ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:৫৩:৩২ রাত
'কচি সবুজ পাতার পেছনে আলো'......
যতটুকু মনে হয় অপূর্ব একটি দৃশ্য।
আসলে চোখ থাকলেই কি সবাইকে সব কিছু সুন্দর লাগবে তা কিন্তু না।
ছোট খাট বিষয় গুলোর মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাওয়ার মধ্যে যে একটা আনন্দ আছে সেটা খুব কম মানুষ জানে।
প্রায় ঘরের মধ্যে 'প্রজাপতি' ডুকতো যা ফিলিপস্ লাইটের হলদে আলোয় ডানা মেলে বসে থাকতো তার অপূর্ব শোভা নিয়ে, আমার কাজ ছিল ওর শৈল্পিক চারুকলা গুলো পর্যবেক্ষণ করতাম।
বেশ আনন্দদায়ক কাজ।
আমার দাদীর বোন লেবু দাদী আসলেই দেখতাম থুরথুরা বুড়ি হুমায়ন আহমেদের বই না হলে কোন না কোন বই পড়ছেন।
কি মনোযোগ রে বাবা?
সেই রকম?
সেই ছোট বেলায় দেখেছি।
মাঝে মাঝে আবার ফোকলা দাতে হাসতেনো :-)।
আমার দাদী যত দিন পড়তে পেরেছেন দেখেছি খুটিয়ে খুটিয়ে সংগ্রাম আর নয়াদিগন্ত,তাফসীর,গল্পের বই পড়তেন।
যাইহোক একটু আকটু বই পড়া কিন্তু উচিত।
যদিও লেখকের লেখার ফাঁক ফোকর ধরাটা জরুরী।
তবু বই পড়ার অভ্যাসটা গড়ে তোলা দরকার নিজের জন্যই।
মেয়েদের মার্কেটে আর বিউটি পার্লারে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ ব্যাপক থাকা অস্বাভাবিক না বলা যায় বয়স আর বংশগত ঐতিহ্যবাহী গুনাবলী
কিন্তু বই এ ডুকে যদি পরা যায় দেখা যাবে দৃষ্টিভঙ্গী বেশ পরিবর্তন আসবে।তখন ধারের কাছে ডাস্টবিনে কাজ করা ছেলেটাকে অথবা বাম হাতের পিছনে দিকে নাকের খির মুছা ফুল বিক্রি করা মেয়েকে আপনার কাছে বেশ ভাল লাগবে।
মনে হবে এসি গাড়ি থেকে নেমে ওর পাশে বসে ফুটপাতের এক কাপ চা খাই।
আসলে আপনার ব্যক্তিত্বকে পরিবর্তন করতে পারে একমাত্র ভাল বই।সেক্ষেত্রে
না আপনার সুন্দর চেহারা না আপনার অঢেল সম্পদ ভুমিকা রাখবে।
বই পড়ুন আমার মনে হয় বেশ প্রফুল্ল লাগবে।
আর ভাবুন বেহিসাবি কেনা কাটা করে টাকা অপচয় করা আর হাজার হাজার টাকা পার্লারে ঢালার চেয়ে বই পড়ে একটা প্রজাপতির মধ্যে আনন্দ খুজে পাবার মধ্যে কোন তফাত আছে কিনা।আজ যাদের খুশি করার জন্য বহুরূপে নিজেকে সাজাচ্ছেন কাল আপনার রূপ না থাকলে কেউ ঘুরবে না আপনার পিছু ।তখন আপনি বেশ একা।আমার দাদীদের মত বই পড়েও আনন্দ পাবেন না ঐ বয়সে।
যৌবনে নিজেকে গা ভাসিয়ে দেওয়া
খারাপ কে বলল
খারাপ নাতো ভাল।
তবে একটু একটু বয়স বাড়লেই প্রকৃত সত্য ধরা পড়ে যাবে।পুরোপুরি একা হয়ে যাবেন।
বিষয়: বিবিধ
১২০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন