নারী মুক্তির একটি ঠিকানা
লিখেছেন লিখেছেন সত্যতে বিশ্বাসী আমি ১৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ০১:৪৭:৫৭ দুপুর
সম্প্রতি ব্যাপকভাবে আলোকিত হয়েছে নারী ধর্ষণের শাস্তি নিয়ে। টাঙ্গাইল ও ভারতে দিল্লী রাজ্যের সাম্প্রতিক নারী ধর্ষণের ঘটনা দুটি বিশ্ববাসীকে মর্মাহত করেছে চরমভাবে।
সকলেই চিন্তা করছে বিষয়টির কিভাবে সমাধান করা যায়। কেউ কেউ বলছেন ধর্ষকের মৃত্যুদন্ডের আইন করা হউক, আবার কেউ বলছেন ধর্ষকের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা
করা হউক। কিন্তু বিশ্ববাসীর এই চিন্তা ধারা অবলোকন করে আমার মনে হচ্ছে, বিষয়টি ছাদ ভেঙ্গে মাথার উপর পরার পর সর্তক হওয়ার মতই।
অথচ ১৪০০ বছর আগেই মহাগ্রন্থ আল-কুরআন ও মানতবতার মুক্তির দূত প্রিয়নবী (হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিয়ে এসেছিলেন এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা যা নারী জাতিকে মুক্তি দিয়েছিল সেই সমাজ থেকে যে সময় ভারতের বিধবা নারীদের বাধ্য হয়ে স্বামীর চিতায় সহমরণে যেতে হতো, আরবে কন্যা সন্তানদের জীবন- কবর দেওয়া হতো, ইউরোপের নারীরা ছিল সম্পূর্ণ ভোগ বিলাসের বস্তু।
তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন পর্দানশীলতার মাঝেই রয়েছে নারী জাতির মুক্তি এবং পুরুষদের শিক্ষা দিয়েছিলেন তারা যেন পর নারীদের প্রতি চোখ তুলে না তাকায়।
তার সাথে সাথে ধর্ষক, ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীর জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করেছেন প্রস্তরখন্ডে মৃত্যুদন্ড।
আর যখনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ও মহাগ্রন্থ আল কুরআনের এ হুকুম প্রতিষ্ঠা হলো তখনি বন্ধ হয়েগিয়েছিল নারী ধর্ষণ, ব্যভিচার, পর নারী হরণ ইত্যাদি, প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একটি সুন্দর সমাজ।
নারী জাতি পেয়েছিল তাঁর পূর্ণ অধিকার বন্ধ হয়েছিল জীবন্ত কন্যা হত্যা, নারী নির্যাতন ইতিহাস যা সাক্ষী হয়ে থাকবে চিরদিন।
তাই আমরা বলতে চাই ইসলামী বিধি বিধানের অনুসরণের মাঝে রয়েছে নারীর মুক্তির ঠিকানা।
প্রখ্যাত দার্শনিক জর্জ বার্ণাড শ যথাযথই বলেছেন
“ মুহাম্মদ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন ব্যক্তি যদি আধুনিক জগতের এক নায়কত্ব গ্রহণ করতেন, তাহলে এমন এক উপায়ে তিনি এর সমস্যা সমাধানে সফলকাম হতেন, যা পৃথিবীতে নিয়ে আসত বহু বঞ্চিত শান্তি ও সুখ। তার জীবন চরিত্রের গভীর দর্শন সত্যিকার শান্তির পথের দিশা দেয়।"
বিষয়: বিবিধ
১১১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন