আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আনিত তথাকথিত অভিযোগের দাঁতভাঙ্গা খণ্ডন
লিখেছেন লিখেছেন মাওহিবা তাকিয়া ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৬:২০:০৬ সকাল
অভিযোগ-১:
৪ মে ১৯৭১ সকাল বেলা পিস কমিটির মেম্বার হিসাবে মধ্য মাছিমপুর বাস ষ্ট্যান্ডের পেছনে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্য জমায়েত হওয়া ২০ জন বেসামরিক ব্যাক্তিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা।
এই বক্তব্যের সমর্থনে রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন) কোন সাক্ষী উপস্থাপন করেনি। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট দেয়া ৪ জনের বক্তব্য প্রমান হিসাবে দাখিল করেছেন যা গ্রহন যোগ্য হওয়ার কোন যুক্তি সঙ্গত কারণ নাই।
আল্লাহর রহমতে রাষ্ট্রপক্ষের মুখে চুনকালিঃ
রাষ্ট্রপক্ষের ঐরুপ বক্তব্য গ্রহন যোগ্য নয়। কারণ তদন্তকারী কর্মকর্তা তার জেরায় বলেন যে, পিরোজপুর এলাকার স্থানীয় লোকজন, স্কুল, কলেজে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের কোন ব্যাক্তি বা ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার কোন তথ্য তিনি তদন্তকালে পান নাই। উপরন্তু রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী (পিডব্লিউ)-৮ তার জেরায় জানান যে ঐ দিন সাঈদী সাহেব পাড়েরহাটে ছিলেন। উক্ত ঘটনাস্থল মেজর জিয়ার বাড়ীর পিছনে হওয়া সত্তেও এই ঘটনা মেজর জিয়া তার লিখিত বইতে বলেন নাই। উক্ত ঘটনাস্থলে ১৯৭১ সালে কোন বাসষ্টান্ডই ছিলনা।
সংশ্লিট সাক্ষী- ১। আশিস কুমার মন্ডল ২। সুমতী রানী মন্ডল ৩। সমর মিস্ত্রী।
৪৭ দিন সেইফ হাউজে থাকার পরেও তারা সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিতে রাজী না হওয়ায় তাদের কে সাক্ষী হিসাবে আনা হয়নি।
অভিযোগ-২:
৪ মে ১৯৭১, মাছিমপুর হিন্দুপাড়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে পাকিস্তানী আর্মীদের সহায়তায় লুটপাট করে তাদের বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করেন এবং পলায়ন পর অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের মধ্য হতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শরত চন্দ্র মন্ডল, বিজয় মিস্ত্রি, উপেন্দ্রনাথ, জগেন্দ্রনাথ মিস্ত্রি, সুরেন্দ্রনাথ মিস্ত্রি, মতিলাল মিস্ত্রি, জগেশ্বর মন্ডল, সুরেশ মন্ডলসহ আরো অজ্ঞাত নামা ৫ জনসহ মোট ১৩ জনকে হত্যা করেন।
চার্জ-১ এর ন্যায় এই চার্জের সমর্থনে রাষ্ট্রপক্ষ কোন সাক্ষী উপস্থাপন করে নাই। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট দেয়া ৪ জনের বক্তব্য প্রমান হিসাবে দাখিল করেছেন যা গ্রহন যোগ্য হওয়ার কোন যুক্তি সঙ্গত কারণ নাই।
রাষ্ট্রপক্ষের মুখে চুনকালিঃ
রাষ্ট্রপক্ষের ঐরুপ বক্তব্য গ্রহন যোগ্য নয়। কারণ তদন্তকারী কর্মকর্তা তার জেরায় বলেন যে পিরোজপুর এলাকার স্থানীয় লোকজন, স্কুল, কলেজে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের কোন ব্যাক্তি বা ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার কোন তথ্য তিনি তদন্তকালে পান নাই। উপরন্তু রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী-৮ তার জেরায় জানান যে ঐ দিন সাঈদী সাহেব পাড়েরহাটে ছিলেন। তাহলে সাঈদী সাহেবের পক্ষে এ ধরনের কাজ করা কিভাবে সম্ভব?
অভিযোগ-৩:
৪ মে ১৯৭১ সালে মাছিমপুর হিন্দুপাড়ায় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যাকান্ডের পর কালিবাড়ি, মাছিমপুর, পালপাড়া, শিকারপুর, রাজারহাট, কুকারপাড়া, ডুমুরতলা, কদমতলা, নবাবপুর, আলমকুঠি, ঢুকিগাতি, পারেরহাট এবং চিংড়াখালী গ্রামে ধর্মীয় কারণে বেসামরিক জনগোষ্ঠির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
রাষ্ট্রপক্ষের মুখে চুনকালিঃ
রাষ্ট্রপক্ষ হতে কোন সাক্ষী উল্লেখিত ১২টি গ্রামের হাজার হাজার লোকের মধ্য হতে ১ জন সাক্ষীকেও সাক্ষ্য হিসেবে হাজির করে নাই, শুধুমাত্র ১৯ (২) ধারায় গৃহিত সাক্ষী আশিষ কুমার মন্ডল, সুমতি রানী মন্ডল, সাক্ষী সমর মিস্ত্রী ও সাক্ষী সুরেশ চন্দ্র মন্ডলের তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট প্রদত্ত জবানবন্দী ছাড়া। যা বিশ্বাস করার কোন যৌক্তিক কারণ নাই। কেননা উল্লেখিত আশিষ কুমার মন্ডল, সুমতি রানী মন্ডল, সাক্ষী সমর মিস্ত্রী ও সাক্ষী সুরেশ চন্দ্র মন্ডলদেরকে দীর্ঘ ৪৭ দিন সেভ হাউজে আটকিয়ে রাখার পরও তারা সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী প্রদানে রাজী হয় নাই। উপরোক্ত রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ৮ গোলাম মোস্তফা এর জেরা হতে দেখা যায় সাঈদী সাহেব ঐদিন পারের হাটে উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়: বিবিধ
২৮৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন