ইতিহাস ই তার বদলা নেবে
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তবাতাস ২৩ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৭:২১:৫৪ সকাল
উদ্দেশ্যপ্রনিত ভাবে রায়ে জামায়াতে ইসলামী ও আলী আহসান মুজাহিদের নাম নেয়া হয়েছে, যা স্কাইপি সংলাফে বলা হয়েছিল যেকন ভাবে জামায়াতে ইসলামী কে রায়ের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে , না হলে জামায়াতের নেতাদের আটকানো যাবেনা, রায়ে আর বলা হয়েছে যে জামায়াত নাকি আল বদর, আল সামস, রাজাকার বাহিনী গঠন করেছে, কিন্তু এত দিন আমরা পড়ে আসছিলাম পাকিস্থানি সেনাবাহিনীর অর্ডিয়ান্সে তৎকালীন সরকারে মাধ্যমে জেলা প্রসাশক গন ( যেমন মখা, সাজেদা, ইঞ্জিনিয়ার মশাররফ, সামসলের ভাই নিজাম, ওলামা লিগের সভাপতি, ) রাজাকার বাহিনিতে নিয়োগ দিয়েছিলেন, আবার যারা ইউনিয়ন পরিষদের সেচ্ছাসেবক ছিল তারা ই এই রাজাক্র বাহিনীতেঁ যোগ দেয়, আর আজ রায়ে বলল জামায়াত নাকি এই বাহিনী গঠন করছে, এরা কি ইতিহাস্কে নতন করে লিখবে নাকি এই মিথ্যা আবার ইতিহাসের অংশ হল,
৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানকে এক রাখার পক্ষে ছিল মুসলিম লীগ সবার আগে , (দল হিসেবে মুসলিম লীগ ছিল ২য় অবস্থানে, আওয়ামীলীগ ছিল ১ম, সমাজ তান্ত্রিক দল গুলো ছিল তারপরে, আর পর নিজামে ইসলাম, জমিয়তে উলামা, তার পর জামায়াতে ইসলামী, সেই সময় সারা পূর্বপাকিস্থানে ৫০০০ ও জামায়াতে ইসলামী কর্মি ছিলেন কিনা সন্দেহ, ) তারপর নেজামে ইসলামী, জমিয়তে উলামা, পুর্বপাকিস্তান সমাজ তান্ত্রিক দন, তার পর জামায়াতে ইসলামী ছেয়েছিল পাকিস্থান এক থাকুক, এই সকল দলের চিন্তা ছিল পাকিস্থান ভেঙ্গে গেলে ভারত এই দেশকে দখন করে নেবে যেমন হায়দারাবাদ দখল করেছিল, আর এই ভয়ে ই এই সব দল পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, এই ভয় ভুল ও চিলনা, যা আজ আমরা দেখতেছি,
তাই ঐ সময় আকেবারে ইউনিয়ন পরিশদ থেকে শুরু করে সাংসদ পর্যন্ত আওয়ামিলিগের জয়ে হয়েছিল, এখন দেখা যাক, রাজাকার ছিল কয়েক লক্ষ্য, এখন যদি জামায়াতের ৫০০০ সবাই রাজাকার হয় (যদি ও বাস্তবে এমন হয় নি )২ লক্ষ্য ধরলে তারপর বাকি এক লক্ষ্য ৯৫ হাজার কারা ছিল,? নিশযয় মুসলিম লিগের, নেজামে ইসলামীর, আর আওয়ামিলিগের যেহেতু ঐ সময় সরকারের সব পদে আওয়ামীলীগ ছিল, পূর্ব আপকিস্তানের সকল পদে আওয়ামীলীগ জিতেছিল, আর শেখ মুজিওব সাহেব সখন ৭২। ৭৩ সালে বিচার শুরু করলেন তখন দেখা গেল ৯৫% ই আওয়ামিলিগের , আর জামাতে ইসলামীর কেউ নাই, কারণ তখন জামাত খুব ছোট দল ছিল, তাই শেষ পর্যন্ত উনি সাধারন ক্ষমা করে নিজের দলের সবাই কে মুক্ত করে দেন, আজ ২০১০ সালে কেন শুদু জামায়তে ইসলামী কে রাজাকার হিসেবে বলা হবে,? কারণ মুসলিম লীগ , নেজামে ইসলামী, বা পুর্বপাকিস্তান সমাজ তান্তিক দল এত ই ছুত হয়েছে যে তারা আজ আর আওয়ামিলিগের জন্য পথে কাটা না, পক্ষান্তরে জামায়াতে ইসলামী বর্তমান রাজনিতিতে একটি বড় ফ্যাক্টর, সরকার গঠনে এদের অবশ্যই দরকার, তাই এই দলকে সায়েস্তা করতে গিয়ে পিতার করা ক্ষমা কে অস্বীকার করে, দেশে ১ম প্রেসিদেন্তের সাধারন ক্ষমা কে বুড়ি আঙ্গুল দেখিয়ে তার ই মেয়ে ক্ষমতার জন্য মিথ্যা স্কাইপি বিচার করে যাচ্ছেন, যার খেসারত দিচ্ছে জাতি, আসলে এটা কে বিচার বলা যায় না, আর এই বিচারকগন একদিন এই জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে তাদের খায়েস মতো বিচার করে জাতিকে কমঙ্কিত করার কারনে, না হলে একটি ইতিহাসকে কেন বলদে উনারা নতুন মিথ্যা ইতিহাস রচনা করছেন, ব্যাক্তির বিচার করতে গিয়ে একটি সংগঠন কে দায়ী করছেন, আবার রায়ে মিথ্যার আস্রয় নিয়ে রায় দিচ্ছেন, এই জাতিকে কলংক মুক্ত করতে গিয়ে আর একবার সমস্ত জাতিকে ধর্ষন করলেন এই তথাকথিত ত্রাইবনালের বিচারক, প্রসিকিউটর, সহ এই সরকারের সবাই, কিন্তু এই ইতিহাস ই একদিন এই সব কিছু বদলা নেবে , ইন্ন শাহ আল্লাহ,
বিষয়: বিবিধ
১২৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন