আসলে কি হল এটা!! ৫% যদি আসে জামায়াত থেকে তাহলে বাকি ৯৫ % কারা ছিল ?? আপনারা ই বলেন,
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তবাতাস ১৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৭:২৮:২২ সকাল
''গত ১৩ নভেম্বর
২০০৭ইং তারিখে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত উপ-সম্পাদকীয়ের মাধ্যমে বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ খুব প্রযোজনীয় কিছু তথ্য দিয়েছেন। তার ভাষায়, “এখনকার পত্রিকা পড়লে মনে হবে, শুধু মুসলিম লীগ, জামায়াত বা নেজামে ইসলামীর লোকেরাই পাকিস্থানের দালাল ছিল। বস্তুত সব শ্রেণী ও গোষ্ঠীর মধ্যেই পাকিস্থানের সহযোগী ছিল। আবদুল হক তাঁর কমিউনিষ্ট পার্টির নামের সঙ্গে বাংলাদেশ হওয়ার পরও ‘পূর্ব পাকিস্থানই’ রেখে দেন। অত্যন্ত ‘প্রগতিশীল’ বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ পাকিস্থানিদের সহযোগীতা করেছেন।
১৬ ডিসেম্বর দেশ শত্রুমুক্ত না হলে, আর বছরখানেক টিক্কা খাঁরা বাংলাদেশ দখল করে রাখতে পারলে অনেক শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিকে আজ মানুষ ভিন্ন পরিচয়ে জানত।” সেই ‘শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিরা’ কারা? কবির চৌধুরী পুরো ৯ মাস টিক্কা খান সহ পাকিস্থান সরকারের অধীনে চাকুরি করার পরও অপরাধী নয়, বরং ঘাদানিকের সভাপতি!
কেন আজ তারা অপরাধী নয়?
তারা কি আজ আওয়ামী লীগ করে বলে?
বা আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে?
''রাজাকার সহ অন্যান্য বাহিনীতে আওয়ামী লীগ ও মুসলিম লীগের লোক জনই ৯৫% এর চেয়েও বেশী ছিলো তার ছোট একটা পরিসংখ্যান দেখে নিই... শুধুমাত্র এক এলাকার পরিসংখ্যান দিলেই অবাক হয়ে যাবেন।''
---১৯৭১ সালে জামায়াত ছিল একটি ক্ষুদ্র দল। জামায়াতের তুলনায় মুসলিম লীগ ছিল শতগুণে বড় দল। আর আওয়ামী লীগ ছিলো হাজার গুণ বড়। যেহেতু জামায়াত ছোট দল ছিল সেহেতু ১৯৭১ সালে তাদের ভূমিকাও খুবই নগণ্য ছিল। শান্তি কমিটি, রাজাকার ইত্যাদি সংগঠন ও বাহিনীর তালিকা দেখলে বোঝা যাবে জামায়াতের উপস্থিতি সেখানে নেই বললেই চলে।
সারাদেশে ১৯৭১ সালে গঠিত শান্তিবাহিনীতে জামায়াতকে কোন চেয়ারম্যানের পদ দিতে চায়নি অতি ক্ষুদ্র দল ছিল বলে এবং নেতা-কর্মী ছিলনা বলে।
বরং শান্তি কমিটি, রাজাকার সহ অন্যান্য বাহিনীতে আওয়ামী লীগ ও মুসলিম লীগের লোক জনই ৯৫% এর চেয়েও বেশী ছিলো। একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি আরো পরিস্কার হবে।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে তৎকালীন বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলের একটি আসনে জামায়াতে ইসলামী ভোট পেয়েছিলো ১৫০ মতো। আর ১৯৭১ সালে ঐ এলাকায় তালিকাভূক্ত রাজাকারই ছিলো ১১০০০ জনের উপরে। যার মাত্র ৩৫ জন ছিল
আওয়ামী লীগের কথা মতো যদি জামায়াতের প্রাপ্ত সকল ভোটকেই রাজাকার হিসেবে ধরা হয় তাহলে বাকি ১১ হাজারেরও বেশী লোকগুলো কারা? নিশ্চয়ই তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থক বা ভোটার ছিল। কারণ ঐ এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিল। সে হিসেবে সারাদেশের রাজাকার সহ অন্যান্য বাহিনীর তালিকা প্রকাশ করলেও দেখা যাবে ৯০% রাজাকার আওয়ামী লীগ থেকে এসেছে''
এখন আপনারা ই বলেন ঘটনা কি,? তাহলে কি আসল যুদ্ধাপরাধিদের ছেড়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে জামায়াত কে ই ধ্বংস করতে এই জাতীয় ইস্যুকে নিয়ে জাতির সাথে খেলা করা হচ্ছে না ?
বিষয়: বিবিধ
১১৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন