ধর্ষণ নয় হোক বন্ধুতা তারুণ্যে...

লিখেছেন লিখেছেন মোমিন মেহেদী ১৬ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৮:২৫:৪২ রাত

ক্রমশ সাহস শক্তি হারায় দানবের দাপটে। ভেঙেচুরে একাকার স্বপ্নআকাশ।

নীলের বদলে আজ কালোর মিছিল। শাদার বদলে আজ ধূসর সকাল।

এভাবে বাংলাদেশ; এভাবে বর্তমান; আর কারো চাওয়া নয়।

আমাদের আজ খুব বেশি প্রয়োজন মানুষের জয়

আর মানুষের জয়...




আমদের প্রতিবেশি দেশ ভারত যখন পরিণত হয়েছে ধর্ষণের নগরিতে; তখন তার ছায়া এসে পড়েছে বাংলাদেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলগুলোতে। রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতে অহরহ ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনা ঘটলেও তা থেকে যাচ্ছে ‘নারীর সতিত্ব সংকট’ নাম ইনভাইটেট কমার আড়ালে। পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের অহরহ ঘটে চলা ধর্ষণ-নিপীড়ন নামক কর্মটি চলছে মহাসমারোহে। তার প্রমান হিসেবে বর্তমানকে কষ্টময় কালো থেকে তুলে আনলে জানা যাবে, টাঙ্গাইলে গণধর্ষণের শিকার এক স্কুলছাত্রী মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে। আমাদের দেশে পরপর চারবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নারী। তাও আবার যেন তেন নারী নন; একজন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা, অন্যজন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ্একটা জরিপে দেখা গেছে যে, স্বাধীনতার পর থেকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রেসিডেন্ট পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ-এর শাসনামলের দীর্ঘ ২০ বছরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিলো ১৭ টি। অথচ এই দুই নারী নেত্রী ক্ষমতায় আছে ২০ বছর; এই ২০ বছরে আমাদের প্রায় ৫ হাজার মা- বোনেরা তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের সূত্র থেকে জানা যায়।

যেখানে পুরুষশাসিত সরকারের ২০ বছরে ১৭ জন; সেখানে নারীশাসিত ২০ বছরে ৫ হাজার নারী মুখোমুখি হয়েছে ভয়ংকর রকম অভিশাপের। এই অভিশাপের মূল কারন নারী নেত্রীদের দেশ শাসনের অযোগ্যতা; পাশাপাশি আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব এবং কুশিক্ষার রকম রকম পুস্তক(যার অধিকাংশের-ই লেখক জামায়াত-শিবিরের তথাকথিত পালিত লেখক-কবি কাসেম বিন আবু বকর, আসাদ বিন হাফিজ, জাকির আবু জাফর, আবুল আসাদ, রেজাউদ্দিন স্টার্লিন, মনসুর আজিজ, আমীরুল মোমেনীন মানিক প্রমুখ)। একদিকে পাকিস্তানের মদদপুষ্ট জামায়াত-শিবির; অন্যদিকে ভারতের মদদপুষ্ট উগ্র সাংস্কৃতিকত চর্চা(স্টার জলসাসহ বিভিন্ন চ্যানেলের সিরিয়িাল নামক অপ সংস্কৃতি উপখ্যান)। দুইয়ের মাঝখানে নারী নেত্রীদ্বয় আছেন নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের রকমারি চেষ্টায়। যে কারনে নারীরা আজ তাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হারানোর ঝুঁকির মধ্যে দিন যাপন করছেন।

এইতো সেই দিনের ঘটনা। গত ৬ ডিসেম্বর। বান্ধবীর ফাঁদে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৫ বছরের কিশোরী। 'আমাকে বাঁচাও মা, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে' বলে প্রলাপ বকছে ঘটনার পর থেকেই। বান্ধবী বিথী বোনের বিয়ের কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে তুলে দেয় তিন ধর্ষকের হাতে। ধর্ষক নুরুজ্জামান ওরফে গেদার বাসায় আটকে রেখে চার দিন ধরে চালানো হয় অমানুষিক শারিরীক নির্যাতন। ঘটনার আকস্মিকতায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে কিশোরী। হাত-পা বেঁধে রাখতে হচ্ছে তাকে। ধর্ষণের বিভৎসতা দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আর তাই পুরুষ দেখলে ভয়ে আঁতকে উঠছে মেয়েটি। প্রথমে টাঙ্গাইলে চিকিৎসা দেয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষণের পর ধর্ষকরা মুঠফোনে ধারণ করে রাখা ভিডিও অন্য মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো বিথী আক্তার ইভা (২৫), শাজাহান (৩৫), হারুন অর রশিদ (৩০), নুরুজ্জামান ওরফে গেদু (৩৫), মনিরুজ্জামান মনি (৪০)।

এই ঘটনায় শুধু টাঙ্গাইলজুড়েই নয়; সারাদেশের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের নয়াদিল্লিতে নির্ভয়াকে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় যেমন নাড়া দিয়ে গেছে বিবেকবান মানুষকে তেমনি আরেকটি ঘটনা ঘটল বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি টাঙ্গাইল মাহমুদুল হাসান স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি সেলাইয়ের কাজ শিখত। সেখানে আরেক প্রশিক্ষণার্থী বিথী নামের অন্য এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বন্ধুর মতো সম্পর্ক তৈরি হয়। এই সুযোগে গত ৬ ডিসেম্বর বিথী তার বোনের বিয়ের কথা বলে ডেকে নেয় তাকে। মধুপুরের ইদলপুরে ধর্ষক নুরুজ্জামান ওরফে গেদুর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিল ধর্ষক শাজাহান, গেদু ও হারুন অর রশিদ। বিথী তাদের কাছে তাকে রেখে চলে যায়। এরপর অভিযুক্ত যুবকরা টানা চার দিন ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অমানুষিক নির্যাতন চালায় মেয়েটির ওপর। এক পর্যায়ে মেয়েটির শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে পার্শ্ববর্তী রেল লাইনে ফেলে যায়। ধর্ষণের দৃশ্য মুঠফোনে ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়া হয়। নুরুজ্জামান ওরফে গেদার সুপ্তি কম্পিউটারের দোকান আছে। সেখান থেকে বিভিন্ন মুঠফোনে লোড করে দিয়েছে। সেখান থেকে স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করে মেয়েটির বাড়িতে নিয়ে যায়। প্রথমে বাড়িতে রেখেই চলে চিকিৎসা। গত ১২ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ২২ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তখনও জানানো হয়নি মেয়েটি ধর্ষণের শিকার। অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। সেই সঙ্গে মানসিক সমস্যাও তৈরি হয়। কোন পুরুষ দেখলেই চিৎকার দিতে থাকে। এখন নারী নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। আমরা আমাদের সমাজের অবক্ষয়ের জন্য নারী নেত্রীদ্বয়কেই দায়ি করবো। কেননা, নারী নেতৃদ্বয় কেবলমাত্র ক্ষমতার রাজনীতি করছেন। দেশ-মানুষ-মাটি নিয়ে ভাবার সময়-ই তাদের নেই। যে কারনে গত ২০ বছরে ৫ হাজার মা-বোনের সম্ভ্রবহানির খবর পত্রিকার পাতায় উঠে এসেছে। না জানি আরো কত মা বোন পত্রিকার পাতায় শিরোনাম না হয়েও হারিয়েছেন নারীর সতিত্ব।

বেদনাময় ঘটনার শিকার মেয়েটির বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের রসুলপুর গ্রামে। তিন বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। একমাত্র ভাই ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার্থী। মেয়েটির চিকিৎসক ড. বিলকিস জানান, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা জানান, আমার মেয়ের যারা এ অবস্থা করেছে তাদের যেন ফাঁসি হয়। আর যেন কোন মায়ের সন্তানকে ধর্ষিত হতে না হয়। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। শাস্তি হয়তো হবে, হয়তো হবে না। কিন্তু আমাদেরকে কষ্ট করে হলেও মনে রাখতে হবে যে, নারী মানেই আমাদের কারো না কারো মা, কারো না কারো বোন, কারো না কারো প্রিয়তর মানুষ। অতএব, বিন¤্র শ্রদ্ধায় জানাতে হবে ভালোবাসা-সম্মানের কথা। য়দিও ইদানিং আমাদের দেশে জন্মগ্রহণের পর থেকে একটি শিশুকে প্রতি পদে পদে ফরৎবপঃষু/রহফরৎবপঃষু শেখানো হয় - টিভি-ফ্রিজ-ওয়াশিং মেশিনের মতো তুমিও একটা প্রফিটেবল প্রোডাক্ট! এদের যেমন সার্ভিসিং-এর প্রয়োজন পড়ে, ঠিক তেমনি তোমারও সার্ভিসিং-এর দরকার হয়- নইলে যে ভ্যালু এড হবে না - তখন যে কেউ তোমাকে কনজিউম করবে না! আর এটা কে না জানে- যে পণ্যের কনজিউমার নেই, সেই পণ্যের অস্তিত্বও নেই। ভ্যালু বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় কাজিন/ বান্ধবীদের আদা জল খেয়ে লাগা দেখে সেই ছোট্ট মেয়েটিও ধীরে ধীরে তার ‘জীবনের লক্ষ্য’ অনুধাবন করতে পারে। পারিপার্শ্বিকতা তাকে বুঝিয়ে ছাড়ে দেহ-ই সত্য, দেহ–ই ধর্ম, দেহ-ই সাধনা। চিন্তা-ভাবনা-চেতনা-যুক্তি-বিবেচনাবোধ-মানবিকবোধ এসবের কোনো ভ্যালু নেই, তাই এরা পণ্যও না –পুঁজিবাদী লেনদেনের বাজারে এদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। অবশ্য একদম নিষিদ্ধ তা না। মুনাফার স্বার্থে, পণ্যের চাহিদা বাড়ানোর জন্য, কনজিউমার তৈরির জন্য মানবতার জয় গান নিচু স্কেলে এই সিস্টেমকে গাইতে হয় বৈকি! মেয়েদের শেখানো হয়, লাইফ এখন অনেক ফাস্ট! সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে নইলে পেছনে পড়ে যাবে তুমি! পুঁজিবাদী সিস্টেমে যেখানে নারীর মাথার চুল থেকে পায়ের নখ, এমনকি যৌনাঙ্গ পর্যন্ত কনজিউমার গুডস-এর তালিকায় বেশ লাভজনক পণ্য হিসেবে বিবেচিত হয়, সেই সিস্টেম তখন তাদের বাধ্য করে খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে, ফিগার সচেতন হতে, বিউটি পার্লার-জিমে নিয়মিত যেতে। ব্যায়াম করে যে যত বেশি গলার হাড্ডি স্পষ্ট করতে পারবে, সে তত বেশী ভরঃঃবংঃপ্রতিযোগিতায় ‘ংঁৎারাব’ করার চান্স তার একশো ভাগ নিশ্চিত। তার মধ্যে যদি ‘মাল’ না থাকে তাইলে সে আউট! তাকে সবাই ‘বিপিএল(বুক পাছা লেভেল)’ বলে ডাকতে শুরু করবে। আর ওয়েট বেড়ে গেলে তো কথাই নেই! অনবরত তাকে শুনতে হবে ‘ধুমসি হয়ে গেছো!’ ‘আর কত মোটা হবা?’ ‘এত মোটা হয়েছ, চিনতেই পারিনি!’, ‘শরীরে কার্ভ নাই, ধুর!’ ‘আগের সেই আবেদন আর নাই, বিয়ে করছে, ২/৩ পোলার মা, ঢলঢলে হয়ে গেছে!’ ‘ংযব রং হড়ঃ বহঃবৎঃধরহরহম ধহু সড়ৎব..হববফ ংড়সব ভৎবংয ঃববহ!’ ইত্যাদি ইত্যাদি।এই সিস্টেম তাকে নিয়ে কেনা-বেচা ততক্ষন পর্যন্তই করবে যতক্ষন পর্যন্ত সে যুবতী, যৌন আবেদনময়ী। এসব বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে ব্যর্থ হলে রদ্দি মালের মত প্রেমিকের/স্বামীর স্টোর রুমে তাকে জীবন পার করতে হবে । শারীরিক মিলনের পূর্বে তার নবষড়াবফ টিভি/সিডি-তে লাস্যময়ী পাতলা কোমড়ের নায়িকা দেখে আগে ধিৎস ঁঢ় করে নেবে। তারপর তার শরীরকে মডেম হিসেবে ব্যবহার করে ‘পতিপরম গুরু’ নায়িকা/কাছের–দূরের/পরিচিত-অপরিচিত নারীর শরীরে সংযোগস্থাপন করবে। টিকে থাকার লড়াই-এ তাকে তাই অনেক শারীরিক পরিশ্রম করতে হয় নইলে যে তার বয়ফ্রেন্ড/ হাজবেন্ডের নজর স্লিম, কার্ভি ‘চিকি’ শিকার করে বেড়াবে। আর পুরুষদেরই বা কী দোষ। অভঃবৎ ধষষ, ঃযবু ধৎব পড়হংঁসবৎ! ভোক্তা অধিকার আইনের নাম শোনো নি? অন্য প্রোডাক্টের মধ্যে খুঁত পেলে তারা অভিযোগ করে, দরকার পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়। কারণ রঃ রং ঃযবরৎ ৎরমযঃ ঃড় মবঃ বহংঁৎবফ ঃযব য়ঁধষরঃু ড়ভ ঢ়ৎড়ফঁপঃং ঁহপড়হফরঃরড়হধষষু। কিন্তু নারী নামক পন্যের ক্ষেত্রে তারা তো বেশ লিবারেল! কেউ কখনো শুনেছে প্রেমিকা/স্ত্রীর ঢ়বৎভড়ৎসধহপব-এ কোনো স্বামী অসন্তুষ্ট হয়ে চিল্লাফাল্লা করেছে? যৌন উত্তেজনা জাগাতে ব্যর্থ (বয়স, স্থুলতা, একঘেয়ে যে কারণেই হোক না কেন) প্রিয়তমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ কখনো কোনো প্রিয়তম করেছে? এই সিস্টেমে যিবহ ুড়ঁ ধৎব হড় ষড়হমবৎ ধঃঃৎধপঃরাব ঃড় ুড়ঁৎ ষড়াবৎ/যঁংনধহফ, ঃযবু রিষষ হধঃঁৎধষষু ংবধৎপয ভড়ৎ হবি ঢ়ৎড়ফঁপঃং. ঞযব ংবপৎবপু ঃযবু সধরহঃধরহ রং ধপঃঁধষষু ভড়ৎ ুড়ঁৎ ংধশব, ভড়ৎ ুড়ঁৎ বিষভধৎব, ঃৎু ঃড় ঁহফবৎংঃধহফ নধনু! হিন্দি ছবির স্বল্পবসনা নায়িকা বুক,কোমড়,পাছা ঢ়ৎড়াড়শরহম ধিু-তে দোলাতে দোলাতে যখন পুরুষদের উদ্দেশ্যে বলে, ‘এ তো কিছুই না- ট্রেলার মাত্র, পুরো ফিল্ম দেখাতে আমি আসছি,’ তখন মানুষতো কোন ছাড়, স্বয়ং ঈশ্বর কি নিজেকে আটকে রাখতে পারবে? তার উপর আবার রয়েছে ঈযরশহর-ঈযধসবষর-চড়ংঃবৎ; বাসে গণধর্ষিত শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী শোক প্রকাশ করে বলেন, “ৃযিধঃ যধঢ়ঢ়বহবফ যধং ংযধশবহ ড়ঁৎ পড়হংপরবহপব”. ‘সারে জাহা সে আচ্ছা’ ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী বলেন, “ঝযব রং ধ ঃৎঁব যবৎড়. ঝযব ংুসনড়ষরুবং ঃযব নবংঃ রহ ওহফরধহ ুড়ঁঃয ধহফ ড়িসবহ.” আরেক কেউকেটা বলেন, “ঝযব ধিং ধ নৎধাব মরৎষ যিড় ভড়ঁমযঃ ভড়ৎ যবৎ ফরমহরঃু ধহফ ষরভব.” এসব দিগগজদের কাছে জানতে ইচ্ছে করে, শুধু ভারত না- পুরো বিশ্বে নারীরা যেখানে আপনাদের কারণে, আপনাদের তৈরি করা সিস্টেমের কারণে ঘরে-বাইরে প্রতিনিয়ত শারীরিকভাবে, মানসিকভাবে ধর্ষিত হচ্ছে, অপমানিত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে তখন আপনাদের পড়হংপরবহপব ংযধশব করে না কেন? আপনাদের রিখটার স্কেলে এই ঝাঁকুনি ধরা পড়ে না কেন? ‘পড়হংপরবহপব’-এর কোনো বাজার দর নেই, তাই এটা পণ্যও না, তাই? পুঁজিবাদের কর্তা আপনারা নারীদের মানুষ না- ভোগ করার উপাদান হিসেবে বিজ্ঞাপনে, ফিল্মে, বই-পুস্তকে আরো অনেক জায়গায় উপস্থাপন করেন। দাসত্বের সরহফ ংবঃ সফলভাবে তাদের মনে-চিন্তায়-চেতনায় রোপণ করতে আপনারা সক্ষম হয়েছেন। দাস যুগে দাসেরা জানতো তারা কি, শেকলের টান তারা উপলব্ধি করতে পারতো। কিন্তু নয়া উদারনৈতিক অর্থনীতির যুগে নারী বুঝতেই পারে না ‘নতুন বোতলে পুরোনো মদ’-এর মত নব্য দাস ভিন্ন আর কিছুই না। এখান থেকে নারীদেরকে বেরিয়ে আসতেই হবে। তা না হলে ক্রমশ সাহস পরিণত হবে ভয়ের আখড়ায়।

নারীদেরকে কালো থেকে আলোয় বেরিয়ে আসার জন্য যা করতে হবে তা হলো- দুই নারী নেত্রীকে ‘না’ বলতে হবে। ‘না’ বলতে হবে আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজের সকল অন্যায় আইনকে। ‘না’ বলতে হবে নিজেকে ভোগ্যপোণ্য হিসেবে উপস্থাপনকে। ‘না’ বলতে হবে কানিজ আলমান খানের বিউটিনেসকে। ‘না’ বলতে হবে তথাকথিত নারী আন্দোলনকে। এগিয়ে আসতে হবে বাংলাদেশকে-বিশ্বকে গড়ার জন্য নারী হয়েও তার সত্যিকারের যোগ্যতাকে উপস্থাপনের জন্য। যেখানে আর যাই হোক সিরিয়াল দেখার জন্য অপেক্ষা থাকবে না; অপেক্ষা থাকবে না তথাকথিত সুন্দরী প্রতিযোগীতায় নিজেকে ক্রয়-বিক্রয়ের পণ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য; অপেক্ষা থাকবে না রাজনীতিতে ভালো অবস্থানের জন্য নারীত্ব বিকিয়ে দেয়ার সারিতে; অপেক্ষা থাকবে না নারী বলে পুরুষের রাজনৈতিক দানের জন্য। বরং নারী এগিয়ে যাবে জীবনের যা কিছু ভালো; তার জন্য আলোর সাথে...

মোমিন মেহেদী: কলামিস্ট ও আহবায়ক, নতুনধারা বাংলাদেশ

বিষয়: বিবিধ

২৬২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File