মানবাধিকার কমিশন,স্ব-রাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাহফুজুর রহমান
লিখেছেন লিখেছেন কথার কথা ১০ মার্চ, ২০১৩, ১২:৩৮:০৭ দুপুর
মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের মানবাধিকার রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য বর্তমান স্ব-রাষ্ট্রমন্ত্রি মহিউদ্দিন খাঁন আলমগীর এবং এটিএন চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে মানবাধিকার পদক দিয়ে সম্মানিত করেছে।
আসুন আমরা সংক্ষেপে এ মহান দু' মানবাধিকার কর্মীর মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে একটু সম-সাময়িক আলোচনা করি।মানবাধিকার কমিশন এ সময়ে তাদেরই বা কেন পদক দিল সে বিষয়ে আমার দুর্বল ভাবনা শেয়ার করা যাক।
বর্তমানে একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের বিচার কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন মঞ্চ থেকে তুই রাজাকার তুই রাজাকার ধ্বনী উঠছে।একাত্তরের সিংহ পুরুষ দশজনের তালিকা করলে দল-মত নির্বিশেষে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের নাম উঠে আসবে।তিনি বলেন ম.খাঁ আলমগীর একজন রাজাকার।ব্যাখ্যায় যাওয়ার দরকার নেই।বর্তমান সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ এ মন্ত্রির বিরুদ্ধে মিথ্যা বিষোদগার করা চাট্রি খানি কথা নয়, সম্ভয়ও নয়।সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ইসলাম নিয়ে তথাকথিত ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টরা কুরুচিপূর্ণ লেখা পোষ্ট এবং মন্তব্যের মাধ্যমে গোটা বাংলাদেশে ক্ষোভের আগুণ জ্বালিয়ে দিয়েছে।ফুঁসে ওঠা মুসলমানদের গুলির মাধ্যমে গণহত্যা বাস্তবায়নকারী হিসেবে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হওয়া এ মন্ত্রি কাদের নির্দেশে এ গণহত্যা চালিয়েছে তা সহজে অনুমেয়। তিনি পেয়েছেন মানবাধিকার পদক।
সাংবাদিক দম্পত্তি মেহেরুন রুমি এবং সাগর সরওয়ারকে হত্যা করা হয়।হত্যাকারীদের ধরতে বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রি থেকে শুরু করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা ও মন্তব্য দেশের মানুষকে বোকা বানাতে পারেনি বরং ব্যথিত করেছে।রাজনৈতিক ভীন্ন মত থাকলেও সাংবাদিক মহল এ বিষয়টি নিয়ে একমত।মহা-সমাবেশ করেছে এমনকি কর্মসূচী ঘোষণা করেছে।আন্দোলন অব্যাহত আছে। তাদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে যার নাম শোনা যায় তিনি এটিএনের মাহফুজুর রহমান।অনেকে বলে পদ্মা সেতু ডুবিয়েছে আবুল।দুদক যদি আবুলকে আসামি করতো তবে পদ্মা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠতোনা।তেমনি যদি সাংবাদিক দম্পত্তি হত্যা মামলায় মাহফুজুর রহমানকে আসামী করা হতো সাংবাদিক মহল কোন আন্দোলনে যেতোনা।বিশ্বব্যাংক যেমন রাজনীতি করেনা আবার সাংবাদিকদের ঐক্যমতেও কোন রাজনীতি নেই।তাহলে কার স্বার্থে এবং কার ইশারায় সরকার তাদের রক্ষা করছে?পাবলিককে আবাল ভাবার কোন সুযোগ নেই।জনগণ সবই জানে।আবার এ হত্যা মামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রীর কথা কাটাকাটি এবং উচ্চ-বাচ্চের কথা মিডিয়ায় এসেছে।দু'জনের মাঝে কোথায় যেন একটি মিল খুঁজে পাওয়া যায়।তারাকি সতীর্থ?।আর গভীরে যাওয়া উচিত হবেনা।অনেকের মুখে শুনি তারা নাকি বিদেশী কোন গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট।আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এ বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাইনা।আমাদের দেশের শীর্ষ স্থানীয় কোন মন্ত্রি আমলা মিডিয়া মোঘল কারো কাছে দাসখত দিয়ে চলবে স্বাধীন বাংলাদেশের একজন স্বাধীন মানুষ হয়ে এটি বিশ্বাস করতে চাইনা।সাম্প্রতিক কর্মকান্ড যদিও মনকে সেদিকে ধাবিত করতে চায়।
বিভিন্ন হট ইস্যু নিয়ে আলোচনায় আসা মিজানুর রহমান মানবাধিকার কমিশন নিয়ে দেশজুড়ে চষে বেড়িয়েছেন। বিভিন্ন কর্মকান্ড,আলোচনা ,সেমিনার এবং সিম্পোজিয়ামে মুখরোচক বক্তব্য এবং সরকারের সমালোচনার মাধ্যমে জন মানুষের মধ্যে এ ভাব সৃষ্টি করতে চেয়েছেন যে এ কমিশন আসলে মানবাধিকার রক্ষার কমিশন। জনগণও বিশ্বাষ করতে শুরু করেছে।যেই তিনি বুঝলেন জনগণকে ঘোরের মধ্যে আনতে পেরেছেন তখনই তিনি তার আসল রুপ দেখাতে শুরু করেছেন।সাপের খেলা দেখানো সাপুড়িয়ার মতো। খেলা দেখাতে দেখাতে যখন লোকজন জমে যায় এবং মোহগ্রস্থ হয়ে উঠে তখনই তাবিজ বের করে পোটলা থেকে এবং মোহগ্রস্থ লোকদের নিকট দ্রুত তাবিজ বিক্রি করে ফেলে।অবশ্য মোহ বেশিক্ষণ থাকেনা। মিজানুর রহমান সাহেব মানবাধিকার পদক দিয়ে চাটুকারীতার ষোলো কলা পূর্ণ করেছেন।কিন্তু এ সময়ে কেন? খুব বেশী রিস্ক নেয়া হয়নি? মিজান সাহেব জনগণকে আর মুখরোচক কথায় গলাতে পারবেন বলে মনে হয়না। প্রশ্ন হলো কাদের খুশি করার জন্য পদকের নাটক মঞ্চস্থ করলেন। জানতে একদিন জনগণ পারবেই। কারন একজন মহা-মনিষী বলেছেন 'বোকারাই নিজেদের চালাক মনে করে' আর ভুল তখনই হয় ।
বিষয়: রাজনীতি
১২৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন