আসুন ভাষার মাসে শহীদ সালামকে স্মরণ করি
লিখেছেন লিখেছেন কথার কথা ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০১:৫৭:৪১ দুপুর
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারী।আমরা জানি ভাষা আন্দোলন বা একুশ যাই বলিনা কেন প্রথমে যে নামগুলো উঠে আসে তাদের মধ্যে অন্যতম ভাষা শহীদ সালামের নাম। ফেনীবাসীর গর্বের ধন শহীদ সালাম। টুডের সকল ব্লগারদের বিশেষ করে বৃহত্তর নোয়াখালীর যারা আছেন তাদেরকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাই শহীদ সালাম সম্পর্কে যিনি যা জানেন তা যেন আমার এ পোষ্টে মন্তব্যের মাধ্যমে বিষয়টি উল্লেখ করেন। সালামের গ্রামের ছেলে হিসেবে আমরা দীর্ঘদিন যাবত ভাষা শহীদ সালাম স্মৃতি পরিষদ ব্যানারে বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছি।সকলকে এ কার্যক্রমে অংশ নেয়ার অনুরোধ রইল।
সালামের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরছি।
ভাষা শহীদ আবদুস সালাম ফেনী জেলার দাগনভুঁইঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামে ১৯২৫ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। লক্ষণপুরের বর্তমান নাম সালাম নগর। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ ফাজিল মিয়া এবং মাতার নাম দৌলতের নেছা। তিনি স্থানীয় মাতুভূঁইঞা করিমুল্লা জুনিয়র হাই স্কুলে নবম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। অতঃপর চাকরির সন্ধানে ঢাকায় আসেন। পূর্ব পাকিস্তান সরকারের ডিরেক্টরেট অব ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগে (শিল্প বিভাগের) পিয়ন হিসাবে চাকরি পান। ঢাকায় ৩৬বি, নীলক্ষেত ব্যারাকে তিনি বসবাস করতেন। ৪ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে আবদুস সালাম ছিলেন সবার বড়। বর্তমানে জীবিত আছেন শহীদ সালামের এক ছোটভাই আবদুল করিম ও বোন বলকিয়ত নেছা।
মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে বাহান্নের ভাষা আন্দোলনে টগবগে তরুণ সালামের হৃদয়েও আন্দোলনের ডাকে ছুঁয়ে যায়। ২১শে ফেব্রয়ারী (১৯৫২) এবং ৮ই ফাল্গুন ১৩৫৯ বাংলা সাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় ১৪৪ ধারা অগ্রাহ্য করে ছাত্র-জনতা বাংলা ভাষার দাবীতে যে মিছিল করে আবদুস সালাম সে বিক্ষোভ মিছিলে স্বপ্রণোদিত ভাবে অংশ গ্রহণ করেন। আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার সঙ্গে সালামও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে নেমে পড়লে মিছিলে পুলিশ নির্বাচারে গুলি চালায়।ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেন সালাম।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন