একটি বিয়ে। ১ম পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন মাসুদ রানা ২৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৩:৪৯:৫১ দুপুর
অনেক মেয়ে দেখা দেখির পর অবশেষে আমার একটা মেয়ে পছন্দ হয়ে গেল। মেয়েটা দুরের কেউ নয় আমার সম্পর্কের খালাতো বোনই হায় সে।
বন্ধুরা আপনাদের সব কিছু খুলে না জানালে আসল কাহিনী অজানাই থেকে যাবে তাই চেষ্টা করবো সব কিছু আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।
আমি দুবাই থাকি সেই ২০০৪ সাল থেকে মাঝে একবার ছুটি যাই ২০০৮ সালে তখন ছুটি টা ছিল অনেক লম্বা ৬ মাসের ছুটি পেয়েছিলাম তাই অনেক সময় আর মজা করতে পেরেছিলাম সেই ছুটিতে তার পর ছুটি শেষ করে কাজে যোগ দেই তারপর কেটে যায় প্রায় ৪ বছর।
৪ বছর পর ২০১২ সালে আবার বসের সাথে আলাপ করে ৭০ দিনের ছুটি নেয়ে চলে যাই দেশে। উদ্দেশ্য ছিলো এইবার ছুটিতে গিয়ে বিয়ে করবো আর তার জন্য যা যা সোনা দানা প্রয়োজন ছিল সব কিছু কিনে আগেই বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আমি আমার বসকে আর আমার সব অফিস কলিগকে আগেই জানিয়েছিলাম যে বিয়ে করতে যাচ্ছি আমার জন্য যেন সবাই দোয়া করে।
দেশে যাবার জন্য বেছে নিলাম আমার প্রিয় বিমান বাংলাদেশ ইয়ারলাইন্স কে। চট্রগ্রাম হয়ে ঢাকা পৌঁছলাম কিন্তু এক দেড় ঘণ্টা বেশী লেগে গেল কিন্তু তাতে আমি বিন্দু মাত্র বিরক্ত বা খারাপ লাগে নি। বরং আমি ইনজয় করেছি। তারপর ঢাকা বিমান বন্দরে নেমে বের হতে ঘণ্টা খানেক লেগে গেল ইয়ার পোর্ট থেকে বের হয়ে সোজা বাবার কাছে গেলাম কুশল বিনিময় করে গাড়ি তে চড়ে বসলাম। বাবা আগে থেকেই গাড়ি নিয়ে এসে ইয়ার পোর্টের বাহিরে অপেক্ষা করছিলেন। সেই দিন আবার হরতাল ছিল তাই আমি বাহিরে যেতে চাচ্ছিলাম না আমি বাবা কে বললাম বাবা হরতাল টা শেষ হোক তারপর যাওয়া যাবে বাহিরে গেলে কোন সমস্যা হতে পারে বাবা বললেন হরতাল শেষ হতে রাত লেগে যাবে তার চেয়ে আমরা ধিরে ধিরে বেরিয়ে পরি পথি মধ্যে যদি কোন অসুবিধা হায় তখন দেখা যাবে আর ড্রাইভার ভরসা দিলেন যে আমরা বেরিয়ে পড়লে কিছুই হবে না। আমি সেই ভাবেই গাড়ি চালিয়ে যাবো আর যদি কোন সমস্যা হায় তাহলে রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁর করবো আর বিপদ কেটে গেলে আমরা আবার চলতে শুরু করবো। যা কথা তাই কাজ আমরা আমি আমরা বেড়িয়ে পরলাম। এখানে একটা কথা বলতে ভুলেই গেছি যে আমি একা আসি নাই আমার জেঠাত ভাই ও ছিল ও আবুধাবিতে থাকে। আমরা আগেই ঠিক করেছিলাম ছুটির তারিখটা ও আবুধাবি থেকে ইতিহাদ ইয়ার লাইন্সে করে আমার এক ঘণ্টা আগে ঢাকা পৌঁছেছিল আমার চট্রগ্রাম দিয়ে ঘুরে আসতে এক ঘণ্টা বেশী লেগে গিয়েছিল।
যা হোক আমরা বাড়ি যাবার জন্য পথ চলছি। আমাকে রিসিভ করার জন্য বাবা আর আসলাম আমার জেঠাত ভাইকে রিসিভ করার জন্য তার বড় ভাই আকরাম আর ড্রাইভার মিলে পথ চলছি। আমরা যখন টাঙ্গাইলের পৌঁছলাম হঠাৎ করে গাড়িতে কেমন যেন আওয়াজ শুনতে পেলাম। তখন আমার একটু একটু ঘুম পাচ্ছিল। ভাল মত বুঝতে পারি নি আসলে কি হল গাড়িতে। আমি প্রথম ভেবেছিলাম হরতালের জন্য কেউ হায়তো আমাদের গাড়িতে অ্যাটাক করেছে। কিন্তু না ড্রাইভার গাড়ি রাস্তার ধারে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করলেন। তারপর সে নিজে মেকানিকের মত সব খুলে ফেললেন তারপর দেখা গেল একটা পার্টস ভেঙ্গে গিয়েছে এখন এটা চেঞ্জ না করলে গাড়ি চলবে না। তারপর আসেপাশে খোঁজ নিলাম সেখানে কোন মেকানিক বা গ্যারেজ আছে কিনা। কিন্তু কোন কিছু পাওয়া গেল না একজন এসে বললেন ১০ কিলোমিটার পিছনে আমরা যা ফেলে এসেছি ওখানে গেলে এই পার্টস পাওয়া যাবে কিন্তু নিজেকে লাগাতে হবে নিয়ে এসে।
আজকে এতটুকই লিখলাম।
১ম পর্ব
ব্লগের সকল বন্ধুকে আমার সাথে থাকার অনুরধো করছি আপনারা আমার সাথে থাকলে আমি লেখাটা শেষ করতে পারবো। আর যদি কোন জায়গায় ভুল হায় আমাকে প্লিজ উপদেশ দিবেন।
চলবে>>>>>>>>>>
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৭ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর কোন লাজ-শরম থাকার দরকার নাই! আমিও বহুত আগেই মেয়েদের ব্যাপারে লাজ-শরম শিকেয় তুলেছি!
মন্তব্য করতে লগইন করুন