আল আলা
লিখেছেন লিখেছেন মাসুদ রানা ২২ নভেম্বর, ২০১৩, ০৬:০৮:৫০ সন্ধ্যা
আল আলা
ভূমিকা (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তুর জন্য ক্লিক করুন)
নামকরণ :
প্রথম আয়াতে উপস্থাপিত আ’লা শব্দটিকে এর নাম গণ্য করা হয়েছে ।
নাযিলের সময় - কাল :
এর আলোচ্য বিষয় থেকে জানা যায় , এটি একেবারে প্রথম দিকে অবতীর্ণ সূরাগুলোর অন্যতম। ষষ্ঠ আয়াতে “ আমি তোমাকে পড়িয়ে দেবো , তারপর তুমি আর ভূলবে না ” এ বাক্যটিও একথা জানিয়ে দিচ্ছে যে , এটি এমন সময়ে অবতীর্ণ হয়েছিল , যখন রসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভালোভাবে অহী আয়ত্ব করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেননি। এবং অহী নাযিলের সময় তার কোন শব্দ ভুলে যাবেন বলে তিনি আশংকা করতেন। এই আয়াতের সাথে যদি সূরা ত্বা- হা’র ১১৪ আয়াত ও সুরা কিয়ামাহ’হ ১৬ - ১৯ আয়তগুলোকে মিলিয়ে পড়া হয় এবং তিনটি সূরার সংশ্লিষ্ট আয়াতগুলোর বর্ণনাভংগী ও পরিবেশ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হয় , তাহলে এখানে উল্লেখিত ঘটনাবলীকে নিম্নোক্তভাবে সাজানো যায় : সর্বপ্রথম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিশ্চয়তা দান করা হয়েছে যে , তুমি চিন্তা করো না , আমি এ বাণী তোমাকে পড়িয়ে দেবো এবং তুমি আর ভুলে যাবে না। তারপর বেশ কিছুকাল পরে যখন সূরা কিয়ামহ নাযিল হতে থাকে তখন তিনি অবচেতনভাবে অহীর শব্দগুলো পুনরাবৃত্তি করতে থাকেন। তখন বলা হয় “ হে নবী ! এই অহী দ্রুত মুখস্ত করার জন্য নিজের জিহ্বা সঞ্চালন করো না। এগুলো মুখস্থ করানো ও পড়িয়ে দেবার দায়িত্ব আমার । কাজেই যখন আমরা এগুলো পড়ি তখন তুমি এর পড়া মনোযোগ সহকারে শুনতে থাকো , তারপর এর মানে বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্বও আমার । ” শেষবার সূরা ত্বা- হা নাযিলের সময় মানবিক দুর্বলতার কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবার এই পরপর নাযিল হওয়া ১১৩টি আয়াতের কোন অংশ স্মৃতি থেকে উধাও হয়ে যাবার আশংকা করেন , ফলে তিনি সেগুলো স্মরণ রাখার চেষ্টা করতে থাকেন। এর ফলে তাঁকে বলা হয় : “ আর কুরআন পড়ার ব্যাপারে তাড়াহুড়া করো না , যতক্ষণ পর্যন্ত তোমার কাছে এর অহী সম্পূর্ণরূপে পৌঁছে না যায়।” এরপর আর কখনো এমনটি ঘটেনি। নবী ( সা) আর কখনো এ ধরনের আশংকা করেননি। কারণ এ তিনটি জায়গা ছাড়া কুরআনের আর কোথাও এ ব্যাপারে কোন ইংগিত নেই ।
বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য :
এই ছোট্ট সূরাটিতে তিনটি বিষয়বস্তুর অবতারণা করা হয়েছে । এক , তাওহীদ। দুই, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উপদেশ দান । তিন , আখেরাত ।
তাওহীদের শিক্ষাকে প্রথম আয়াতের একটি বাক্যের মধ্যেই সীমিত করে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে : আল্লাহর নামে তাসবীহ পাঠ করো। অর্থাৎ তাঁকে এমন কোন নামে স্মরণ করা যাবে না যার মধ্যে কোন প্রকার ত্রুটি , অভাব , দোষ , দুর্বলতা বা সৃষ্টির সাথে কোন দিক দিয়ে কোন প্রকার মিল রয়ে গেছে। কারণ দুনিয়ায় যতগুলো ভ্রান্ত আকীদার জন্ম হয়েছে তার সবগুলোর মূলে রয়েছে আল্লাহ সম্পর্কিত কোন না কোন ভুল ধারণা । আল্লাহর পবিত্র সত্তার জন্য কোন ভুল ও বিভ্রান্তিকর নাম অবলম্বন করার মাধ্যমে এ ভুল ধারণাগুলো বিকশিত হয়েছে। কাজেই আকীদা সংশোধনের জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন হচ্ছে , মহান আল্লাহকে কেবলমাত্র তাঁর উপযোগী পূর্ণ গুণান্বিত ও সর্বাঙ্গ সুন্দর নামে স্মরণ করতে হবে।
এরপর তিনটি আয়াতে বলা হয়েছে , তোমাদের এমন এক রবের তাসবীহ পাঠ করার হুকুম দেয়া হয়েছে যিনি বিশ্ব জাহানের প্রতিটি জিনিস সৃষ্টি করেছেন। তার মধ্যে সমতা কায়েম করেছেন। তার ভাগ্য তথা তার ক্ষমতাগুলোর সীমারেখা নির্ধারণ করেছেন এবং যে কাজের জন্য তাকে সৃষ্টি করা হযেছে তা সম্পন্ন করার পথ তাকে বাতলে দিয়েছেন। তোমরা নিজের চোখে তাঁর ক্ষমতার বিস্ময়কর ও বিচিত্র প্রকাশ দেখে চলছো। তিনি মাটির বুকে উদ্ভিদ ও গাছপালা উৎপন্ন করেন আবার সেগুলোকে প্রাণহীন আবর্জনায় পরিণত করেন । তিনি ছাড়া আর কেউ বসন্তের সজীবতা আনার ক্ষমতা রাখেন না আবার পাতাঝরা শীতের আগমন রোধ করার ক্ষমতা ও কারো নেই।
তারপর দু’টি আয়াতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উপদেশ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে : এই যে কুরআন তোমার প্রতি নাযিল হচ্ছে এর প্রতিটি শব্দ কিভাবে তোমার মুখস্ত থাকবে , এ ব্যাপারে তুমি কোন চিন্তা করো না। একে তোমার স্মৃতিপটে সংরক্ষিত করে দেয়া আমার কাজ। একে তোমার স্মৃতিপটে সংরক্ষিত রাখার পেছনে তোমার নিজম্ব কোন কৃতিত্ব নেই। বরং এটা আমার মেহেরবানীর ফল। নয়তো আমি চাইলে তোমার স্মৃতি থেকে একে মুছে ফেলতে পারি।
এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হয়েছে : প্রত্যেক ব্যক্তিকে সঠিক পথে পরিচালিত করার দায়িত্ব তোমাকে দেয়া হয়নি। বরং তোমার কাজ হচ্ছে শুধুমাত্র সত্যের প্রচার। আর এই প্রচারে সরল পদ্ধতি হচ্ছে , যে ব্যক্তি উপদেশ শুনতে ও তা মেনে নিতে প্রস্তুত থাকে তাকে উপদেশ দাও। আর যে ব্যক্তি তাতে প্রস্তুত নয় তার পেছনে লেগে থাকার প্রয়োজন নেই। যার মনে ভুল পথে চলার অশুভ পরিণামের ভয় থাকবে সে সত্য কথা শুনে তা মেনে নেবে এবং যে দুর্ভাগা তা শুনতে ও মেনে নিতে চাইবে না সে নিজের চোখেই নিজের অশুভ পরিণাম দেখে নেবে।
সবশেষে বক্তব্যের সমাপ্তি টেনে বলা হয়েছে : সাফল্য কেবল তাদের জন্য যারা আকীদা - বিশ্বাস , কর্ম ও চরিত্রে পবিত্রতা ও নিস্কলুষতা অবলম্বন করবে এবং নিজেদের রবের নাম স্মরণ করে নামায পড়বে। কিন্তু লোকেরা শুধুমাত্র এ দুনিয়ার আরাম আয়েশ এবং এর স্বার্থ ও আশা আনন্দের চিন্তায় বিভোর হয়ে আছে। অথচ তাদের আসলে আখেরাতের চিন্তা করা উচিত। কারণ এ দুনিয়া তো ক্ষণস্থায়ী । অন্যদিকে আখেরাত চিরস্থায়ী। আর দুনিয়ার নিয়ামতের তুলনায় আখেরাতের নিয়ামত অনেক বেশী ও অনেক উন্নত পর্যায়ের । এ সত্যটি কেবল কুরআনেই মানুষকে এই একই সত্যের সন্ধান দেয়া হয়েছিল।
﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى﴾
১) ( হে নবী ) তোমার সুমহান রবের নামরে তাসবীহ পাঠ করো৷১
﴿الَّذِي خَلَقَ فَسَوَّىٰ﴾
২) যিনি সৃষ্টি করেছেন এবং সমতা কায়েম করেছেন৷ ২
﴿وَالَّذِي قَدَّرَ فَهَدَىٰ﴾
৩) যিনি তাকদীর গড়েছেন৩ তারপর পথ দেখিয়েছেন৷৪
৪. অর্থাৎ কোন জিনিসকে কেবলমাত্র সৃষ্টি করেই ছেড়ে দেননি বরং যে জিনিসকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন তাকে সেই কাজ করার পদ্ধতিও বাতলে দিয়েছেন৷ অন্য কথায় তিনি শুধুমাত্র স্রষ্টাই নন , পথপ্রদর্শকও ৷ যে জিনিসকে তিনি যে মর্যাদার অধিকারী করে সৃষ্টি করেছেন তাকে তার উপযোগী পথনির্দেশনা দেবার এবং তার জন্য শোভনীয় উপায়ে পথ দেখাবার দায়িত্ব তিনি নিজেই গ্রহণ করেছেন৷ পৃথিবী , চন্দ্র , সূর্য ,গ্রহ ও তারকাকে তিনি এক ধরনের পথ দেখিয়েছেন ৷ সে পথে তারা চলতে এবং তাদের ওপর যে কাজের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তা সম্পাদন করে যাচ্ছে৷ আর এক ধরণের পথনির্দেশনা দিয়েছেন৷ পানি , বায়ু , আলো , জড়পদার্থ ও খনিজপদার্থকে৷ সেই অনুযায়ী যে কাজের জন্য তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে ঠিক সেই কাজই তারা করে যাচ্ছে৷ উদ্ভিদকে অন্য এক ধরনের পথনির্দেশনা দিয়েছেন৷ সেই অনুযায়ী তারা মাটির অভ্যন্তরে নিজেদের শিকড় বিস্তার করছে ও মাটির বুক চিরে অংকুরিত হচ্ছে৷ যেখানে যেখানে আল্লাহ তাদের জন্য খাদ্য সৃষ্টি করে রেখেছেন সেখান থেকে তা আহরণ করছে৷ কাণ্ড ও শাখা প্রশাখা বিস্তার করছে , পাতা ও ফুলে ফলে সুশোভিত হচ্ছে এবং তাদের প্রত্যেকের জন্য যে কাজ নির্ধারিত করা হয়েছে তা করে যাচ্ছে৷ এক ধরনের পথনির্দেশনা দিয়েছেন স্থলভাগ , জলভাগ ও শূন্যে উড্ডয়নশীল অসংখ্য প্রজাতির এবং তাদের প্রত্যেকটি প্রাণীর জন্য ৷ প্রাণীদের জীবন যাপন এবং তাদের কার্যকলাপে এর বিস্ময়কর ও সুস্পষ্ট প্রকাশ ঘটেছে৷ এমনকি একজন নাস্তিকও অবশেষে একথা মানতে বাধ্য হয় যে , বিভিন্ন ধরনের প্রাণীরা এমন কিছু নৈসর্গিক জ্ঞানের অধিকারী হয় যা মানুষ তার ইন্দ্রিয় তো দূরের কথা নিজের যন্ত্রপাতির সাহায্যেও অর্জন করতে পারে না৷ তারপর মানুষের জন্য রয়েছে আবার দু'টি আলাদা ধরনের পথনির্দেশনা ৷ তার মধ্যে যে দু'ধরনের অবস্থা বিরাজ করছে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ পথনির্দেশনা দেয়া হয়েছে৷ এক ধরনের পথনির্দেশনার সম্পর্ক রয়েছে মানুষের জৈবিক জীবনের সাথে৷ এরি বদৌলতে প্রতিটি মানব শিশু ভূমিষ্ঠ হবার সাথে সাথেই দুধ পান করা শিখে নেয়৷ এরি মাধ্যমে মানুষের চোখ , নাক , কান, হৃদয় , মস্তিস্ক , যকৃৎ , হৃদপিণ্ড , কলিজা, ফুসফুস , পাকস্থলী , অন্ত্র , স্নায়ূ , শিরা - উপশিরা সবকিছু যার যার কাজ করে যাচ্ছে৷ এ ব্যাপারে মানুষ সচেতন থাক বা নাই থাক তাতে কিছু আসে যায় না৷ তারি ইচ্ছা - অনিচ্ছায় সাথে এই অংগ - প্রত্যংগগুলোর কাজের কোন সম্পর্ক নেই৷ এ পথনির্দেশনার আওতাধীনেই মানুষের মধ্যে শৈশব , কৈশোর , যৌবন , পৌঢ়ত্ব ও বার্ধক্যাবস্থায় এমন সব শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আসতে থাকে যা কোথাও এবং কোন ক্ষেত্রেই তার ইচ্ছ , সংকল্প , আশা আখাংক্ষা এমন কি তার চেতনা শক্তির ও মুখাপেক্ষী নয়৷ দ্বিতীয় পথনির্দেশনাটির সম্পর্ক হচ্ছে মানুষের বুদ্ধি ও চেতনাগত জগতের সাথে ৷ চেতনাহীন জগতের পথনির্দেশনা থেকে এর ধরন সম্পূর্ণ আলাদা৷ কারণ জীবনের এ বিভাগে মানুষকে এক ধরনের স্বাধীন কর্মক্ষমতা দান করা হয়েছে ৷ যার ফলে যে ধরনের পথনির্দেশনা স্বাধীন কর্মক্ষমতাবিহীন জীবনের উপযোগী তা এ বিভাগের জন্য মোটেই উপযোগী নয়৷ এ দ্বিতীয় পর্যায়ের পথনির্দেশনাটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবার জন্য মানুষ যতই চেষ্টা করুক এবং যতই যুক্তি - তর্কের আশ্রয় নিক না কেন , যে স্রষ্টা এই সমগ্র বিশ্ব - জাহানের প্রতিটি জিনিসকে তার আকৃতি , প্রকৃতি ও অবস্থা অনুযায়ী পথনির্দেশনা দেবার ব্যবস্থা করেছেন তিনি মানুষকে এই দুনিয়ায় স্বাধীনভাবে সব জিনিস ভোগ - ব্যবহার করার ক্ষমতা দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু এই ক্ষমতা ব্যবহারের সঠিক ও ভ্রান্ত পদ্ধতি কি হতে পারে তা তাকে জানিয়ে দেননি , একথা অবশ্যি মেনে নেবার কোন কারণ নেই৷ ( আরো বেশী ব্যাখ্যার জন্য দেখুন তাফহীমূল কুরআন , আন নাহল ৯ , ১০ , ১৪ , ও ৫৬ টীকা , ত্বা - হা ২৩ টীকা , আর রহমান ২ও ৩ টীকা এবং আদ দাহর ৫ টীকা )৷
৪. অর্থাৎ কোন জিনিসকে কেবলমাত্র সৃষ্টি করেই ছেড়ে দেননি বরং যে জিনিসকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন তাকে সেই কাজ করার পদ্ধতিও বাতলে দিয়েছেন৷ অন্য কথায় তিনি শুধুমাত্র স্রষ্টাই নন , পথপ্রদর্শকও ৷ যে জিনিসকে তিনি যে মর্যাদার অধিকারী করে সৃষ্টি করেছেন তাকে তার উপযোগী পথনির্দেশনা দেবার এবং তার জন্য শোভনীয় উপায়ে পথ দেখাবার দায়িত্ব তিনি নিজেই গ্রহণ করেছেন৷ পৃথিবী , চন্দ্র , সূর্য ,গ্রহ ও তারকাকে তিনি এক ধরনের পথ দেখিয়েছেন ৷ সে পথে তারা চলতে এবং তাদের ওপর যে কাজের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তা সম্পাদন করে যাচ্ছে৷ আর এক ধরণের পথনির্দেশনা দিয়েছেন৷ পানি , বায়ু , আলো , জড়পদার্থ ও খনিজপদার্থকে৷ সেই অনুযায়ী যে কাজের জন্য তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে ঠিক সেই কাজই তারা করে যাচ্ছে৷ উদ্ভিদকে অন্য এক ধরনের পথনির্দেশনা দিয়েছেন৷ সেই অনুযায়ী তারা মাটির অভ্যন্তরে নিজেদের শিকড় বিস্তার করছে ও মাটির বুক চিরে অংকুরিত হচ্ছে৷ যেখানে যেখানে আল্লাহ তাদের জন্য খাদ্য সৃষ্টি করে রেখেছেন সেখান থেকে তা আহরণ করছে৷ কাণ্ড ও শাখা প্রশাখা বিস্তার করছে , পাতা ও ফুলে ফলে সুশোভিত হচ্ছে এবং তাদের প্রত্যেকের জন্য যে কাজ নির্ধারিত করা হয়েছে তা করে যাচ্ছে৷ এক ধরনের পথনির্দেশনা দিয়েছেন স্থলভাগ , জলভাগ ও শূন্যে উড্ডয়নশীল অসংখ্য প্রজাতির এবং তাদের প্রত্যেকটি প্রাণীর জন্য ৷ প্রাণীদের জীবন যাপন এবং তাদের কার্যকলাপে এর বিস্ময়কর ও সুস্পষ্ট প্রকাশ ঘটেছে৷ এমনকি একজন নাস্তিকও অবশেষে একথা মানতে বাধ্য হয় যে , বিভিন্ন ধরনের প্রাণীরা এমন কিছু নৈসর্গিক জ্ঞানের অধিকারী হয় যা মানুষ তার ইন্দ্রিয় তো দূরের কথা নিজের যন্ত্রপাতির সাহায্যেও অর্জন করতে পারে না৷ তারপর মানুষের জন্য রয়েছে আবার দু'টি আলাদা ধরনের পথনির্দেশনা ৷ তার মধ্যে যে দু'ধরনের অবস্থা বিরাজ করছে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ পথনির্দেশনা দেয়া হয়েছে৷ এক ধরনের পথনির্দেশনার সম্পর্ক রয়েছে মানুষের জৈবিক জীবনের সাথে৷ এরি বদৌলতে প্রতিটি মানব শিশু ভূমিষ্ঠ হবার সাথে সাথেই দুধ পান করা শিখে নেয়৷ এরি মাধ্যমে মানুষের চোখ , নাক , কান, হৃদয় , মস্তিস্ক , যকৃৎ , হৃদপিণ্ড , কলিজা, ফুসফুস , পাকস্থলী , অন্ত্র , স্নায়ূ , শিরা - উপশিরা সবকিছু যার যার কাজ করে যাচ্ছে৷ এ ব্যাপারে মানুষ সচেতন থাক বা নাই থাক তাতে কিছু আসে যায় না৷ তারি ইচ্ছা - অনিচ্ছায় সাথে এই অংগ - প্রত্যংগগুলোর কাজের কোন সম্পর্ক নেই৷ এ পথনির্দেশনার আওতাধীনেই মানুষের মধ্যে শৈশব , কৈশোর , যৌবন , পৌঢ়ত্ব ও বার্ধক্যাবস্থায় এমন সব শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আসতে থাকে যা কোথাও এবং কোন ক্ষেত্রেই তার ইচ্ছ , সংকল্প , আশা আখাংক্ষা এমন কি তার চেতনা শক্তির ও মুখাপেক্ষী নয়৷ দ্বিতীয় পথনির্দেশনাটির সম্পর্ক হচ্ছে মানুষের বুদ্ধি ও চেতনাগত জগতের সাথে ৷ চেতনাহীন জগতের পথনির্দেশনা থেকে এর ধরন সম্পূর্ণ আলাদা৷ কারণ জীবনের এ বিভাগে মানুষকে এক ধরনের স্বাধীন কর্মক্ষমতা দান করা হয়েছে ৷ যার ফলে যে ধরনের পথনির্দেশনা স্বাধীন কর্মক্ষমতাবিহীন জীবনের উপযোগী তা এ বিভাগের জন্য মোটেই উপযোগী নয়৷ এ দ্বিতীয় পর্যায়ের পথনির্দেশনাটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবার জন্য মানুষ যতই চেষ্টা করুক এবং যতই যুক্তি - তর্কের আশ্রয় নিক না কেন , যে স্রষ্টা এই সমগ্র বিশ্ব - জাহানের প্রতিটি জিনিসকে তার আকৃতি , প্রকৃতি ও অবস্থা অনুযায়ী পথনির্দেশনা দেবার ব্যবস্থা করেছেন তিনি মানুষকে এই দুনিয়ায় স্বাধীনভাবে সব জিনিস ভোগ - ব্যবহার করার ক্ষমতা দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু এই ক্ষমতা ব্যবহারের সঠিক ও ভ্রান্ত পদ্ধতি কি হতে পারে তা তাকে জানিয়ে দেননি , একথা অবশ্যি মেনে নেবার কোন কারণ নেই৷ ( আরো বেশী ব্যাখ্যার জন্য দেখুন তাফহীমূল কুরআন , আন নাহল ৯ , ১০ , ১৪ , ও ৫৬ টীকা , ত্বা - হা ২৩ টীকা , আর রহমান ২ও ৩ টীকা এবং আদ দাহর ৫ টীকা )৷
﴿وَالَّذِي أَخْرَجَ الْمَرْعَىٰ﴾
৪) যিনি উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছেন৷৫
৫. মূলে মারআ ( আরবী ------------) শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে৷ তৃণভূক প্রাণীদের খাদ্যের জন্য এ শব্দটি ব্যবহার হয়ে থাকে ৷ এই আয়াতের পরবর্তী আলাচনা থেকে বুঝা যায় , এখানে কেবল উদ্ভিদজাত খাদ্যের কথা বলা হয়নি বরং মাটিতে উৎপন্ন সব ধরনের উদ্ভিদের কথাই বলা হয়েছে৷
﴿فَجَعَلَهُ غُثَاءً أَحْوَىٰ﴾
৫) তারপর তাদেরকে কালো আবর্জনায় পরিণত করেছেন৷৬
৬. অর্থাৎ তিনি কেবল বসন্তকালের আগমন ঘটান না , শীতের ও আগমন ঘটান৷ তোমাদের চোখ তাঁর উভয় প্রকার ক্ষমতার প্রকাশই দেখছে৷ একদিকে তিনি সবুজ শ্যামল বৃক্ষলতায় ভরে দেন৷ তাদের তরতাজা শ্যামল শোভা দেখে মন আনন্দে ভরে ওঠে৷ আবার অন্যদিকে এ বৃক্ষলতাকে তিনি শুষ্ক শ্রীহীন করে কালো জঞ্জালে পরিণত করেন৷ এগুলো বাতাসে উড়ে বেড়ায় এবং বন্যার স্রোতে খড়কুটোর মতো ভেসে যায়৷ তাই এই দুনিয়ায় কোন ব্যক্তির এই ভুল ধারণা করা উচিত নয় যে, সে এখানে কেবল বসন্তকালই দেখবে, শীতের সাথে তার সাক্ষাতই হবে না ৷ এই একই বক্তব্য কুরআন মজীদের বিভিন্ন জায়গায় অন্যভাবে উপস্থাপিত হয়েছে৷ যেমন দেখুন সূরা ইউনস ২৪ আয়াত , সূরা কাহাফ ৪৫ আয়াত এবং সূরা হাদীদ ২০ আয়াত৷
﴿سَنُقْرِئُكَ فَلَا تَنسَىٰ﴾
৬) আমি তোমাকে পড়িয়ে দেবো , তারপর তুমি আর ভুলবে না৷৭
৭. হাকেম হযরত সা'দ ইবনে আবি ওয়াককাস (রা) থেকে এবং ইবনে মারদুইয়া হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস ( রা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন৷ তারা বলেন , রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভুলে যাবার ভয়ে কুরআনের শব্দগুলোর পুনরাবৃত্তি করতে থাকতেন৷ মজাহিদ ও কালবী বলেন , জিব্রীল অহী শুনিয়ে শেষ করার আগেই ভুলে যাবার আশংকায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গোড়ার দিক থেকে আবার পড়তে শুরু করতেন৷ এ কারণে আল্লাহ তাঁকে নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন , অহী নাযিলের সময় তুমি নিরবে শুনতে থাকো৷ আমি তোমাকে তা এমন ভাবে পড়িয়ে দেবো যার ফলে চিরকালের জন্য তোমার মুখস্থ হয়ে যাবে৷ এর কোন একটি শব্দ তুমি ভুলে যাবে , এ ভয় করো না৷ এ নিয়ে তৃতীয়বার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অহী আয়ত্ব করার পদ্ধতি শেখানো হয়৷ এর আগে আরো দু'বার সূরা ' ত্বা হা'র ১১৪ আয়াতে এবং সূরা ' কিয়ামাহ'র ১৬ - ১৯ আয়াতে এর আলোচনা এসেছে৷ এই আয়াত থেকে একথা প্রমাণিত হয় , কুরআন যেমন মু'জিযা হিসেবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর নাযিল করা হয়েছিল ঠিক তেমনি মুজিযা হিসেবেই তার প্রতিটি শব্দ তাঁর স্মৃতিতে সংরক্ষিত করে দেয়া হয়েছিল৷ এর কোন একটি শব্দ তিনি ভুলে যাবেন অথবা একটি শব্দের জায়গায় তাঁর সমার্থ অন্য একটি শব্দ তাঁর মুবারক কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হবে , এ ধরনের সকল সম্ভাবনার পথই বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল৷
﴿إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ ۚ إِنَّهُ يَعْلَمُ الْجَهْرَ وَمَا يَخْفَىٰ﴾
৭) তবে আল্লাহ যা চান তা ছাড়া ৷৮ তিনি জানেন প্রকাশ্য এবং যা কিছু গোপন আছে তাও৷৯
৯. এমনিতে এ শব্দগুলো সাধারণভাবে ব্যবহৃত এবং তার অর্থ এই যে , আল্লাহ গোপন ও প্রকাশ্য সবকিছুই জানেন৷ কিন্তু যে বক্তব্য প্রসঙ্গে একথাগুলো এখানে বলা হয়েছে তা সামনে রাখলে এর যা অর্থ দাঁড়ায় তা হচ্ছে : তুমি জীব্রীলের ( আ ) সাথে সাথে যে কুরআন পড়ে চলেছো ৷ তা আল্লাহ জানেন এবং ভুলে যাবার ভয়ে যে এমনটি করছো তাও আল্লাহ জানেন ৷ তাই তাঁকে নিশ্চয়তা দান করে বলা হচ্ছে , তোমার ভুলে যাবার কোন সম্ভবনা নেই৷
﴿وَنُيَسِّرُكَ لِلْيُسْرَىٰ﴾
৮) আর আমি তোমাকে সহজ পথের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি৷
﴿فَذَكِّرْ إِن نَّفَعَتِ الذِّكْرَىٰ﴾
৯) কাজেই তুমি উপদেশ দাও , যদি উপদেশ উপকারী হয়১০
১০. সাধারণভাবে মুফাসসিরগণ এ দু'টি বাক্যকে পৃথক পৃথক অর্থে গ্রহণ করেছেন৷ তারা প্রথম বাক্যের অর্থ করেছেন , আমি তোমাদেরকে একটি সহজ শরীয়াত দিচিছ৷ এ শরীয়াত অনুযায়ী কাজ করা সহজ ৷ আর দ্বিতীয় বাক্যটির অর্থ করেছেন , উপদেশ দাও , যদি তা কাজে লাগে৷ কিন্তু আমার মতে "ফাযাককির" ( আরবী ) শব্দটি উভয় বাক্যকে পরস্পর সংযুক্ত করে দিয়েছে এবং শেষের বাক্যটির বিষয়বস্তু প্রথম বাক্যটির বিষয়বস্তুর ওপরই সংস্থাপিত হয়েছে ৷ তাই আল্লাহর এই বাণীটির অর্থ আমি যা বুঝেছি তা হচ্ছে : হে নবী ! দীন প্রচারের ব্যাপারে আমি তোমাকে কোন সংকটের মুখোমুখি করতে চাই না৷ যার শ্রবণশক্তি নেই তাকে শুনাতে হবে এবং যার দৃষ্টিশক্তি নেই তাকে দেখাতে হবে , এ ধরনের সংকটে তোমাকে ফেলতে চাই না৷ বরং তোমার জন্য একটি সহজ পথ তৈরি করে দিচ্ছি৷ সে পথটি হচ্ছে , যেখানে তুমি অনুভব করো কেউ উপদেশ গ্রহণ করতে এবং তা থেকে প্রকৃত হতে প্রস্তুত সেখানে উপদেশ দিতে থাকো ৷ এখন কে উপদেশ থেকে উপকৃত হতে এবং কে উপকৃত না হতে চায় , তার সন্ধান পাওয়া যেতে পারে সাধারণ প্রচারের মাধ্যমেই ৷ কাজেই সাধারণ প্রচার জারী রাখতে হবে৷ কিন্তু সেখানে তোমাদের উদ্দেশ্য হবে এমনসব লোকদের খুঁজে বের কর যারা এর সাহায্যে উপকৃত হয়ে সত্য সরল পথ অবলম্বন করবে৷ এসব লোকই তোমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার অধিকার রাখে এবং এদের শিক্ষা - দীক্ষার প্রতি তোমাদের দৃষ্টি দিতে হবে৷ এদেরকে বাদ দিয়ে এমন সব লোকের পেছনে পড়ার তোমাদের কোন প্রয়োজন নেই৷ যাদের ব্যাপারে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তোমরা জানতে পেরেছো যে , তারা উপদেশ গ্রহণ করতে চায় না৷ প্রায় এই একই ধরনের বিষয়বস্তুই সূরা আবাসায় অন্যভাবে বর্ণনা করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে : " যে ব্যাক্তি বেপরোয়া ভাব দেখায় তার প্রতি তুমি দৃষ্টি দিচ্ছো ৷ অথচ সে সংশোধিত না হলে তোমার ওপর তার কী দায়িত্ব বর্তায় ? আর যে ব্যক্তি নেজে তোমার কাছে দৌঁড়ে আসে এংব সে দৌঁড়রত রয়েছে , তার প্রতি তুমি অনাগ্রহ দেখাচ্ছো৷ এতো একটি উপদেশ , যে চায় এটা গ্রহণ কতে পারে৷ " ( ৫- ১২ আয়াত )
﴿سَيَذَّكَّرُ مَن يَخْشَىٰ﴾
১০) যে ভয় করে সে উপদেশ গ্রহণ করে নেবে৷১১
১১. অর্থাৎ যে ব্যক্তির মনে আল্লাহর ভয় এবং খারাপ পরিণতির আশংকা থাকবে সেই ভাবতে থাকবে যে , সে ভুল পথে যাচ্ছে কি না এবং সেই ব্যক্তিই হেদায়াত ও গোমরাহীর পার্থক্য এবং সাফল্য ও সৌভাগ্যের পথের দানকারীর উপদেশ মনোযোগ সহকারে শুনবে৷
﴿وَيَتَجَنَّبُهَا الْأَشْقَى﴾
১১) আর তার প্রতি অবহেলা করবে নিতান্ত দুর্ভাগাই ,
﴿الَّذِي يَصْلَى النَّارَ الْكُبْرَىٰ﴾
১২) যে বৃহৎ আগুনে প্রবেশ করবে ,
﴿ثُمَّ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَىٰ﴾
১৩) তারপর সেখানে মরবেও না, বাঁচবেও না ৷১২
১২. অর্থাৎ তার মৃত্যু হবে না৷ যার ফলে আযাব থেকে রেহাই পাবে না৷ আবার বাঁচার মতো বাঁচবেও না ৷ যার ফলে জীবনের কোন স্বাদ - আহলাদও পাবে না৷ যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের উপদেশ আদৌ গ্রহণ করেনি এবং মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে পর্যন্ত কুফরী , শিরক বা নাস্তিকতাবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল তারই এ শস্তি লাভ করবে ৷ আর যারা মনের অভ্যন্তরে ঈমানকে পোষণ করে কিন্তু নিজেদের খারাপ কাজের দরুন জাহান্নামের নিক্ষিপ্ত হবে তাদের সম্পর্কে হাদীসে বলা হয়েছে , তারা নিজেদের শাস্তি ভোগ করার পর আল্লাহ তাদের মৃত্যু দান করবেন৷ তারপর তাদের পক্ষে শাফা'আত কবুল করা হবে৷ তাদের অগ্নিদগ্ধ লাশ এনে জান্নাতের ঝরণার কিনারে ফেলে দেয়া হবে৷ জান্নাতবাসীদের বলা হবে , ওদের ওপর পানি ঢালো৷ বৃষ্টির পানি পেয়ে যেমন মৃত উদ্ভিদ জীবন্ত হয়ে ওঠে ঠিক তেমনি জান্নাতের পানি পেয়ে তারাও জেগে উঠবে৷ এ সম্পর্কিত হাদীস মুসলিমে হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রা) থেকে এবং বাযযারে হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে৷
﴿قَدْ أَفْلَحَ مَن تَزَكَّىٰ﴾
১৪) সে সফলকাম হয়েছে , যে পবিত্রতা অবলম্বন করেছে ১৩
﴿وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلَّىٰ﴾
১৫) এবং নিজের রবের নাম স্মরণ করেছে ১৪ তারপর নামায পড়েছে ৷ ১৫
﴿بَلْ تُؤْثِرُونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا﴾
১৬) কিন্তু তোমরা দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকো৷১৬
﴿وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ وَأَبْقَىٰ﴾
১৭) অথচ আখেরাত উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী৷১৭
﴿إِنَّ هَٰذَا لَفِي الصُّحُفِ الْأُولَىٰ﴾
১৮) পূর্বে অবতীর্ণ সহীফাগুলোয় একথাই বলা হয়েছিল ,
﴿صُحُفِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَىٰ﴾
১৯) ইবরাহীম ও মূসার সহীফায়৷১৮
১৮. এই দ্বিতীয়বারের মতো কুরআনে হযরত ইবরাহীম (আ) ও হযরত মূসা ( আ) এর সহীফা শিক্ষার বরাত দেয়া হয়েছে৷ এর আগে সূরা আন নাজমের তৃতীয় রুকূ তে আর একবার এ ধরনের বরাত দেয়া হয়েছে৷
Next >>>>>>>>>>>>>>>>
বিষয়: বিবিধ
২২৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন