শূণ্যস্থানপূরন।
লিখেছেন লিখেছেন মিছবাহ ১৭ মার্চ, ২০১৩, ১২:১৬:৩১ দুপুর
মহাব্যাস্থ হয়ে যখন ক্ষমতার পালা বদল চলিতেছে। নিঃশব্দের মত তখন মানুষ গড়ার কিছু কারিগররা কাজ করে চলছে। দারুণ কঠিন অধ্যবসায় আর অনুশীলনে তারা তিমির মহাতিমির অতিক্রান্ত করে সুবেহসাদেকের অতি নিকটে চলে এসেছে।
অপরদিকে কিছু তীব্র স্বাধীনতার উল্লাসে নেচে গেয়ে, দিগ্বিদিকের ঞ্জান হারিয়ে, জীবন ও জগতের পরিমাপে,মাত্রাতিরিক্ত এক দুঃসময় হতে আরেক দুহসময়ের পরিত্রাণ,যেন এক প্রলয়ঙ্করী ঘুটঘুটে অনন্ত এক কালো রাত্রির ধ্বংস কালবৈশাখী। আজ যদিও অতি বিদ্ধান এবং অতি পণ্ডিত মহাজনদের বাঁধ ভাঙ্গা জলের মতন ঞ্জানের বিকিরণে জর্জরিত এবং উত্তপ্ত এক তেজস্ক্রিয়তায় এ সমাজ।
কে সেই অসুস্থ মানুষ কি তার রোগ!কি এতই জটিল?আফসোস বৃদ্ধ চাচার ছেলে হয়েছে নাবিক বাবার ওষুধ নাই! আজ চাষির উচিত ছিল একজন ভাল চাষি তৈরি পাওয়া।সচিবের বড়ই প্রয়োজন ছিল একজন ভাল সচিব,প্রশাসকের জন্য একজন ভাল প্রশাসক, স্বরপঞ্চের ঘরে হবে আরেক স্বরপঞ্চ, ডাক্তারের জন্য একজন ভাল ডাক্তার,ব্যবসায়ীর জন্য উপযুক্ত একজন ব্যবসায়ী।বয়সের ভারে নত হয়ে আজ বড়ই একা চারিদিকে শূণ্যস্থান।বিকারগ্রস্থ রাজনীতিতে আজ তাহাই নিরলজ্জ্য প্রতীয়মান।
ব্যক্তি থেকে জাতীয় রাজনৈতিক চরিত্রে প্রধান প্রধান দলগুলোতে আজ দ্রুত পতন্মূখী এক পচা দুর্গন্ধময় অধ্যায়।ন্যায় অন্যায় আর চিরন্তন ধর্মের অনুশাসন যে পিতা মাতার কাছে প্রহসন,সন্তানের কাছে কি ভাবে হবে সেটা আশীর্বাদ ? ধিক্কার আর গ্লানির বোঝায় সেটা আজ বিরাট প্রশ্নবোধক!
বাস্তু-ভিটা-মাঠি সব ত্যাগ করে,দেশের এক বিরাট অংশ আজ প্রবাসী! ব্যক্তিগত উদ্দোগে আর ন্যায়সঙ্গতভাবে বাঁচার তাগিদে, জীবনের সরবোচ্চ ঝোকি নিয়ে। গোটা পৃথিবীর বুকে এই বাংলাদেশী প্রবাসীরা উদাহরণ স্থাপন করে স্বীকৃতি নিয়েছে কিভাবে সৎ এবং কঠিন পরিশ্রম করে মেধাবী হওয়া যায়? প্রশাসনিক উর্বর বিন্যাসে, সামান্যতম আয়ের সংস্পর্শে।মানবিক ভাবে উন্নত হওয়া যায় আপন ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে কুঠারাঘাত না করেও।শান্তির শাশ্বত বাণী আদান প্রদান করে করে, আত্মার উন্নত স্তরের মানুষরূপে, পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে। অথচ আহারে আমার মাতৃভূমি,একি শুনী শৃগাল আর নেকড়ের বিলাপ!
অবৈধ আয়ের পক্রিয়ায় বেড়ে উঠা কারো যতনের ফসল ফানুশ হয়ে গাঁজার নেশায়,লুন্ঠন কারি নতুবা জনতার নর্তকী,ভারসাম্যহীন যাযাবর।হয়তবা অন্ধকার জগতে ভয়ানক কোন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী আর এইত চলছে ব্যাস রাজনীতি।নুনের দাম কত,চালের দাম কত তার চেয়ে ভালো জানে বোতলের দাম কত? ছেলে মেয়েদেরকে মানুষ করতে পেরে নিজেদেরকে ধন্য মনে করছি।সেও আজ স্বপ্ন দেখে রাষ্ট্রনায়ক হয়ে জাতিকে মুক্ত করে ছাড়বে।
খদ্দের বারবার ধুঁকা খায় না একসময় পাক্কা উস্তাদ বনে যায়। কোনটা আসল আর কোনটা নকল এবার কিন্তু সঠিক জবাব দিবার পালা।সময় এসেছে, স্বপ্ন বাস্তব হবে, শহীদের রক্ত বিফল হবে না,শূন্যস্থান পূর্ণ হবে, সুনাগরিকের মঞ্চ হতে একদল সৎ ও মেধাবী মানুষের নেত্রিত্তে,রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে, ভরহক ইনশাল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১৪২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন