আধ্যত্মবাদ ও বস্তুবাদ।
লিখেছেন লিখেছেন মিছবাহ ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:৫৬:২৭ রাত
অনেকে আজকাল বস্তু ঞ্জাণে বেশ পারদর্শী হয়ে উঠেছেন অপরদিকে আত্মার এক বিশাল জগত উপেক্ষায় পড়ে আছে । আবার অনেকে আত্মাকে জয় করতে বসেছেন অথচ বস্তুকে অনিচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা মেরে ঠেলে দিয়ে। দুটোই বিপরীতমুখী উদ্ভ্রান্ত দিকবিহীন। যোগে যোগে অগনিত পথ প্রদর্শকরা, বস্তুকে আত্মার মোড়কে টেনে নিয়ে কিভাবে একই গন্ত্যব্যে পৌঁছানো যায় তার ব্যবস্থাপত্র উপস্থাপন করে গিয়েছেন। অতিঞ্জাণী পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গরা, সর্বদা তাহা ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় অবহেলা করে গেছেন। আত্মা বস্তুর উপর ভর করিয়া আছে তাই বস্তু আত্মার উপর ভর করিয়া আছে।আত্মাবিহীন বস্তু অচল এবং বস্তুবিহীন আত্মা অচল। আত্মার স্রষ্টা আছেন, ছায়া নাই, অনুভব করা যায়।বস্তুর ছায়া আছে , আত্মার ভিতরে নকল করা যায়, স্রষ্টা নাই। তুচ্ছ্য বস্তুর ভিতর অতিরিক্ত কিছু ঢোকানো যায় না আত্মার ভিতর অনন্ত তাহার সমাপ্তি নাই এক গতিপথ থেকে অন্য গতিপথে চিরকাল আজ্ঞাবহ হয়ে প্রবাহমান। জগতকে জোর করে দখল করা বস্তুজগতকে স্বেচ্ছাচারী হয়ে নিজেকে স্বৈরাচারী তৈরি করে লাগামহীন চিত্তের লালসাপনায় অনিয়ম আর কুকার্য করেও ক্ষয়ে যেতে হয় ।আত্মা তখন বস্তু হতে অপবর্তন হয়ে অনন্তে মিশে যায় বস্তুর গ্লানিকে ছেড়ে দিয়ে। মহাজনরা কিন্তু আত্মা আর বস্তুর সামঞ্জ্যস্য মুটামুটি ঠিক রেখে উত্তরসুরিদের দিক নির্ণয় সঠিকভাবে দিয়ে গেছেন।
আজ আমরা শুধু বস্তবাদী অথবা আধ্যাত্যবাদী হব বলে একটা ক্লেশের পাহাড় সৃষ্টি করে চলছি অথচ এককভাবে কোনটাই গ্রহন যোগ্য নহে। আমাদের শিক্ষায় এবং ব্যবহারিক মূল্যায়নে যাহা নিষ্ঠুর নির্দয় ভাবে প্রতিফলিত। জীবন জীবিকা আর জীবের প্রয়োজনে দুটি দর্শনের সমীকরণ কতটা জরুরি? ক্ষত বিক্ষত পূর্ব আর পশ্চিম বিকশিত সমাজব্যবস্থায় চীৎকার করে করে বলে যাচ্ছে। থামাও গতি একটু দাড়াও , ভাবতে দাও ,প্রয়োজন কি ,অসিমের মাঝে গন্ত্যব্য ঠিক করি।
বিষয়: বিবিধ
১২৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন