বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৮৯তম জন্মবার্ষিকী
লিখেছেন লিখেছেন জীবনের গল্প ২৫ জানুয়ারি, ২০১৩, ১১:৩৯:৪৩ রাত
বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৮২৪ সালের এদিনে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলার ‘মধুকবি’ ছিলেন যুগপ্রবর্তক কবি। তিনি তার কাব্যের বিষয় সংগ্রহ করেছিলেন প্রধানত সংস্কৃত কাব্য থেকে। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান অপরিসীম। তিনি যা কিছুই রচনা করেছেন তাই এক নতুন মহিমায় সাহিত্যে স্থান করে নিয়েছে।
বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কবির জন্মভিটা সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা-২০১৩-এর আয়োজনসহ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ১৯৭৩ সাল থেকে সাগরদাঁড়িতে তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার আয়োজন হয়ে আসছে। এবারও ২১-২৭ জানুয়ারি সাগরদাঁড়িতে ‘মধুমেলার’ আয়োজন করা হয়েছে।
মধুকবিই প্রথম বাংলা সাহিত্যে পাশ্চাত্য সাহিত্যের সার্থক প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। তার অসাধারণ প্রতিভার গুণে বাংলা সাহিত্যের বিষয় ভাবনা ও প্রকাশে যে আড়ষ্টতা ছিল তা দূর হয়। তার হাত ধরেই বাংলা সাহিত্য আধুনিক ধারায় আসার পথ খুঁজে নিয়েছিল। ঊনিশ শতকে বাঙালি নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন তিনি।
বাংলার এই মহান কবির জীবনের শেষ দিনগুলো নিদারুণ দারিদ্র্যে কেটেছে। ঋণের দায়, অসুস্থতা, চিকিৎসাহীনতায় জীবন ছিল দুর্বিষহ। স্ত্রী হেনরিয়েটার মৃত্যুর তিন দিন পরে কপর্দকহীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় এই মহান কবির। ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন মারা যান মহাকবি মধুসূদন দত্ত।
১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে এক জমিদার বংশে তার জন্ম। পিতা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন কলকাতার একজন প্রতিষ্ঠিত উকিল। মা জাহ্নবী দেবী। কলেজে পড়ার সময় তিনি ইংরেজিতে কাব্যচর্চা শুরু করেন। এরপর ১৯৪৩ সালের ৯ ফেব্র“য়ারি তিনি খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করায় তিনি পরিবার, আত্মীয়দের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৮২৪ সালের এদিনে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলার ‘মধুকবি’ ছিলেন যুগপ্রবর্তক কবি। তিনি তার কাব্যের বিষয় সংগ্রহ করেছিলেন প্রধানত সংস্কৃত কাব্য থেকে। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান অপরিসীম। তিনি যা কিছুই রচনা করেছেন তাই এক নতুন মহিমায় সাহিত্যে স্থান করে নিয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
২৩৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন