নির্বাচনী প্রশিক্ষনের নামে চলছে লুটপাট

লিখেছেন লিখেছেন মিকি মাউস ১৪ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৭:৪৪:৫১ সন্ধ্যা

ঢাকা, ১৪ জানুয়ারী (.............)-- জাতীয় সংসদ থেকে স্থানীয় নির্বাচন, সকল ক্ষেত্রেই নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের নামে চলছে অর্থ লুটপাট।

নেপথ্যে রয়েছেন নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ (ইসি), নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। প্রশিক্ষনে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকায় বেড়ে যায় খরচের পরিমাণও। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কমিশনের অনুমোদন নেই বাড়তি অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ না দিয়েই বরাদ্দকৃত টাকা আত্নসাৎ করেন কিছু কর্মকর্তা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইটিআইয়ের মহাপরিচালক খন্দকার মিজানুর রহমান বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের চাহিদার অনুযায়ী নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ বাবদ অর্থ বরাদ্দ করা হয়। তাদের চাহিদানুযায়ী ইসি তা যাচাই-বাছাই করে সম্মতি দেওয়ার পর ইটিআই অর্থ বরাদ্দ দেয়।’

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সব কমিশন অবগত না থাকলেও প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে সিইসির সম্মতি থাকে।’

চট্টগ্রাম-১২ উপনির্বাচন উপলক্ষ্যে গত ১১ ও ১২ জানুয়ারি দুই দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণে ব্যয় দেখানো হয় প্রায় ১১ লাখ টাকা। উপনির্বাচনে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণের নামে দু’দিনে খরচ করা হয় ১০ লাখ ৯৯ হাজার ২শ টাকা। প্রশিক্ষক হিসেবে কমিশন সচিবালয় থেকে যাদের পাঠানো হয়েছে তাদের যাতায়াত ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক ব্যয় রয়েছে এর বাইরে।

জানা যায়, নির্বাচনে সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণের জন্য দৈনিক একজন প্রশিক্ষক পান ৪ হাজার টাকা। সাধারণ মাঠ পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের একদিনে ৪টি সেশন করে দৈনিক ৩ হাজার ২শ টাকা পান। ১ জন প্রশিক্ষকের জন্য ৮শ টাকা বরাদ্দ রাখা হয় প্রতিটি সেশনে। এছাড়া যাতায়াত ও থাকা বাবদ দৈনিক ১০ হাজার টাকা নেন এক একজন প্রশিক্ষক।

নির্বাচন এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে চলছে ফ্রি স্টাইলে এ প্রশিক্ষণ আয়োজন।

বিষয়: বিবিধ

১০৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File