এ জার্নি ফর ফ্রেস মাইন্ড-১
লিখেছেন লিখেছেন মিকি মাউস ২৯ আগস্ট, ২০১৩, ১২:০৩:৩১ দুপুর
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা। ভাইয়ার ফোন, এখনও বের হলি না। দেরি করলে ট্রেন মিস করবো তো। সাথে সাথেই বের হয়ে গেলাম অফিস থেকে। বাসায় গিয়ে কোন রকম রেডি হয়ে ভাইয়ার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।
১.৪৫ এ ভাইয়ার বাসায় পৌছলাম। খাওয়া শেষ করে বের হলাম কমলাপুর রেল স্টেশনের উদ্দেশ্যে। ট্রেন ছাড়ার ৫ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছলাম। সুবর্ণ এক্সপ্রেস এক মিনিটও লেট না করে ৩ টায় চলতে শুরু করলো।
রাত ১০ টায় চিটাগং বটতলী স্টেশনে নামলাম। এদিকে বাসা থেকে একটু পর পরই মেঝো আপুর ফোন কতদুর আসলি।
বাসায় পৌছলাম ১১ টায়। খেয়েই দিলাম এক ঘুম। সকালে ভাইয়ার ডাকে ঘুম ভাঙলো। নাস্তা খেয়ে বের হলাম। দুলাভাই, ভাইয়া আর আমি। মোটর সাইকেলে করে মুরাদপুর গেলাম।
ভাইয়াকে তার অফিসে নামিয়ে দিয়ে আমরা চলে আসলাম বায়েজিদ বোস্তামীর টিএন্ডটি কলোনীতে। যেখানে অপেক্ষা করছিল ছোট খালাম্মা। খালাম্মার বাসায় আসার পর প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছিল। কোথাও বের হলাম না। সবার সাথে কথা বলেই কাটিয়ে দিলাম দুপুর পর্যন্ত। এর মধ্যে কোথাও ঘুরা হলো না।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভাইয়া, খালাতো ভাই জুবায়েরসহ আমার যাওয়ার কথা ছিল হেফাজতে ইসলামের হেডকোয়ার্টার হাটহাজারী মাদ্রাসায়।
কিন্তু বেকে বসে জুবায়ের। ও বলে ওখানের লোকজন ভালো না। ওর ভাষ্য, আমাকে ৫ কালেমা জিজ্ঞাসা করলে আমি যদি না পারি তাহলে আমাকে মেরেই ফেলবে।
ঘটনা যখন এমন তখন মনে মনে আমিও কিছুটা ভয় পেলাম। কিন্তু আমি যে হারার পাত্র নয়। আমি সেখানে যাবই যাব। আমাকে দেখতে দেশ কাঁপানো সেই নেতারা এখন কি করছেন, কেমন ই বা আছেন তারা।
ভাইয়াকে বললাম চলুন আমরা দুজন ই যাব। ভাইয়া ও বলল চলো।
ভাইয়ার অফিসে কিছু কাজ বাকী ছিল। শেষ করতে করতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেল টের পাইনি। হাটহাজারীতে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম আল্লামা শফি কিংবা জুনাঈদ বাবু নগরী সন্ধ্যার পর বাহিরের কারো সাথে দেখা করেন না।
এমতা বস্থায় সেখানে যাওয়া বাদ দিয়ে চলে গেলাম পতেঙ্গা বিচ এ।
এর আগেও এখানে আমি পাঁচবার এসেছি, কিন্তু এবারে ন্যায় ভালো আর কখনও লাগেনি। এবং এবারই প্রথম পতেঙ্গা বিচের তীরে নেমে অনেক দূর যেতে পেরেছি।
রাত ১১টা পর্যন্ত সেখানে থেকে ছোট মামার বাসায় গেলাম। সেখানে রাতে থেকে পরদিন সকালে আপুর বাসায় গিয়ে জামাকাপড় চেঞ্জ করেই আবার বের হলাম।
আমি গেলাম হাটহাজারী আর ভাইয়া অফিসে।
৪০ মিনিটের মধ্যে হাটহাজারী পৌছে গেলাম। বাবুনগরীর পিএসের সাথে দেখা করলাম। সে আমাকে নিয়ে গেলো হেফাজতে ইসলামরে নায়েবে আমীর মাও. মহিউদ্দিন রূহীর কাছে। তার সাথে অনেকক্ষন কথা বললাম। ছোটখাট একটা সাক্ষাৎকার নিলাম হেফাজতের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে।
দুপুরের পর জুনাঈদ বাবুনগরীর সাথে দেখা করলাম।
লোকটাকে দেখে খুবই খারাপ লাগলো, ইনি সেই লোক যার ডাকে সারাদেশের মানুষ এক হয়ে সবছেড়ে রাস্তায় নেমেছিল। আর এখন হাটতে পারছেন না। হুইল চেয়ারে করে দুজন ছাত্রের সাহায্যে চলা ফেরা করতে হয় তাকে।
আমাকে দেখেই বলল কেমন আছেন, বললাম ভালো আছি আপনি কেমন আছেন। বললেন দেখতেই পাচ্ছেন আমার অবস্থা। এসময় তার সাথে আরো অনেক কথা হলো।
ফেরার সময় হাত বাড়িয়ে দিলাম হ্যান্ডশেক করার জন্য, তিনি আমাকে একেবারে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলেন। আর বললেন সবসময় সত্যটা লিখবেন, কখনও মিথ্যার আশ্রয় নিবেন না। আল্লাহ সাহায্য করবেন। চলবে...
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন