‘প্রতিটি বাড়িতে শতকরা ১০ ভাগ ব্যাচেলর কোটা রাখতে হবে’
লিখেছেন লিখেছেন মিকি মাউস ০৮ জুন, ২০১৩, ০৩:৫৬:২১ দুপুর
এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ভাড়াটিয়া পরিষদ সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, স্বামী-স্ত্রী বা পরিবারের সঙ্গে ব্যাচেলরদের কোনো সমস্য হয় না। কিন্তু যাদের পরিবার ঢাকায় থাকে না। তাদের নানান ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়। এ জন্য ব্যাচেলর ছেলেমেয়েদের জন্য প্রতিটি বাড়িতে শতকরা ১০ ভাগ কোটা রাখতে হবে।
সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া ও কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকায় আসে। কিন্তু ব্যাচেলর এসব ছেলেমেয়েদের জন্য কোথাও বাড়ি ভাড়ার সুযোগ নেই।
এ জন্য ব্যাচেলরদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা এবং ব্যাচেলর শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য সরকারিভাবে আবাসিক কলোনি গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিতে হবে।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাড়াটিয়া পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসকল দাবি জানানো হয়।
“সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত ভূমিতে স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষের আবাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য চলতি বাজেটে অর্থ এবং বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১-এর সংস্কার ও বাস্তবায়ন” এর দাবিতে এ সংবাদ সম্মলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাহারানে সুলতান বাহার।
লিখিত বক্তব্যে বাহারানে সুলতান বলেন, সরকারি খাস জমিতে শ্রমজীবী স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য গণকলোনি গড়ে তোলা, আইন বহির্ভূতভাবে বাসা ও দোকান ভাড়া বৃদ্ধি বন্ধ করা, রশিদ ছাড়া ভাড়া নেওয়া যাবে না,একমাসের বেশি অগ্রিম ভাড়া নেওয়া যাবে না, বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করতে হবে, ভাড়াটিয়ার ডাটাবেইজ থাকতে হবে।
আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট চালু করা, যখন তখন ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করা যাবে না এবং আইন অমান্যকারীদের শাস্তির বিধানের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের উপদেষ্টা মো.ফারুক হোসেন টিপু, সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক জান্নাত ফাতেমা প্রমুখ।
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন