ইসি হাফিজের বিরুদ্ধে সীমানা পূননির্ধারনে চক্রান্তের অভিযোগ
লিখেছেন লিখেছেন মিকি মাউস ২৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:১৫:৪০ বিকাল
ঢাকা: সংসদীয় আসনের সীমানা পূননির্ধারনের শুনানীর প্রথম দিনে একজন নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেন ঐই আসনের আবেদন কারীরা।
মঙ্গলবার সকালে ইসির সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীব উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্তে এ শুনানী শুরু হয়।
কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারি, রৌমারী, রাজিবপুর) সংসদীয় আসনের শুনানি চলাকালে ঐই আসনের সরকার দলীয় এমপি জাকির হোসেন এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, একজন নির্বাচন কমিশনারের ছেলে শাহরিয়ার হাফিজ শান্ত বিএনপি থেকে নির্বাচন করতে চাচ্ছে। এজন্য পছন্দসহ সীমানা সাজাতে কুড়িগ্রামের চারটি আসনে হাত দিয়েছে ঐই কমিশনার।
এই পরিবর্তনকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে এই অভিযোগকারি বলেন, নির্বাচনের নিচতলা থেকে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি গোলাম হাবিব বলেন, এই উপজেলা বিভাজন করায় কুড়িগ্রাম -৪ এর জনগন ক্ষুদ্ধ। তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার হরন করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের যুক্তি হলো ১৯৭৬ সালে সীমানা পূননির্ধারন আইন ৫০এর ক্ষমতা বলে তারা এই সীমানা পূননির্ধারন করেছে।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আবু হাফিজ সাহেব নিজের ভাতিজি জামাই ফজলুল হক মনি ও ছেলে শাহরিয়ার হাফিজ শান্তের নির্বাচনী সুবিধা দিতে এই প্রসাষনিক অখন্ডতা।
প্রধান ৩টি শর্ত প্রসাসনিক, ভৌগলিক এবং ভোটার তারতম্যের ভিত্তিতে ইসি সীমানা পূননির্ধারন করতে পারবেন, কিন্তু সেই ক্ষেত্রে ইসি এগুলোর কোনটি না মেনেই চিলমারি উপজেলাকে ভাগ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এব্যাপারে আবু হাফিজ বলেন, কমিশন আইনের বাহিরে কিছুই করেনি করবে না। ব্যক্তিগত জীবনে আমি এমন কিছু করিনি। এক্ষেত্রে আমার এবং তাদের ব্যক্তিগত জীবন দেখুন।
নিজের স্বচ্চতার ব্যাপারে এই কমিশনার বলেন, ‘আমার স্বচ্চতার ব্যাপারে কারো সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই কেননা আমি চাকরী থেকে অবসর নেওয়ার পর আমার ব্যাংক এ্যাকাউন্টে সেই সময় মাত্র ৫ হাজার টাকা ছিল। যা কিনা অবিসাস্বও বটে।’
এব্যাপারে শাহনেওয়াজ বলেন, এই ব্যাপারটি এখনো প্রক্রিয়াধীন। আইনের প্রক্রিয়াতেই হয়েছে। তবে এব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি নই।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন