ইউনাইটেড এয়ারের পরিচালকের প্লেন চালনার সনদ জালিয়াতি
লিখেছেন লিখেছেন বিধন ১৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ১১:২৬:৪৪ সকাল
তার দায়িত্ব এয়ারলাইন্সের সব যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অথচ তিনিই তাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। যাত্রীদের নিরাপত্তা বিষয়ক পরীক্ষা পাসের জন্য উড়োজাহাজ চালনার মিথ্যা সনদ দাখিল করেছেন সেই ব্যক্তি নিজেই।
বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ফ্লাইট সেফটি পরিচালক ক্যাপ্টেন লিয়াকত এ খানের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ক্যাপ্টেন লিয়াকত আলী খানের মন্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বাংলানিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্যাপ্টেন লিয়াকত খান এমডি-৮৩ উড়োজাহাজের সেপ কোর্স ও রিফ্রেশার কোর্স পাস করেছেন মর্মে দুটি সনদ জমা দিয়েছেন। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্তৃক কোর্স দুটি অনুমোদনের তথ্য ও কাগজপত্র দেখানো হয়েছে।
এই সনদে বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের গ্রাউন্ড প্রশিক্ষক ক্যাপ্টেন এইচ এল ব্রিটেনের সই রয়েছে। ইউনাইটেড এয়ারের মনোগ্রাম সংবলিত সনদ দুটিতে দুই ধরনের সই পাওয়া গেছে। ব্রিটেনের একটি সইয়ের সঙ্গে আরেকটি সইয়ের কোনো মিলই নেই। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সই দুটি জাল করা।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ক্যাপ্টেন লিয়াকত নিজেই এই সনদে ব্রিটেনের সই জাল করেছেন। সেপ কোর্সে ব্রিটেনের সই করা সনদে ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর উল্লেখ রয়েছে। উপরোল্লিখিত সময়ে লিয়াকত খান যে সনদ দাখিল করেছেন ওই সময় ব্রিটেন গ্রাউন্ড প্রশিক্ষক ছিলেন না। সেই সঙ্গে তিনি ব্রিটেন লিয়াকতের কোনো ক্লাসও নেননি। ঠিক একইভাবে রিফ্রেশার কোর্সের ক্ষেত্রেও একইভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।
ক্যাপ্টেন লিয়াকতের এই সনদ জালিয়াতি বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগও জমা পড়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে আজ পর্যাপ্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
যে প্রতিষ্ঠানের যে বিভাগের প্রশিক্ষকের সই জাল করে এই কাজটি করা হয়েছে সেই বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ফ্লাইট সেফটি পরিচালক উইং কমান্ডার নাজমুল আনাম বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন। এ বিষয়ে এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন