ঢাকায় ভূমিকম্প হলে...
লিখেছেন লিখেছেন ইন্টেলিটেক ১৪ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৩:৫৮:০২ দুপুর
ঢাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে মানুষের চাপ, বাড়ছে ভবন। একমাত্র সমাধান আশপাশের জলাশয়, ডোবা ও নিচু জমি ভরাট করা। কিছু ভরাট করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাকিটা ডেভেলপাররা। যেহেতু বিকল্প নেই, তাই প্রকৌশলবিদ্যার সঠিক প্রয়োগে ভূমি উন্নয়ন হোক না হোক, মানুষ কিন্তু ঠিকই এসব জমি কিনছে ও বাড়ি বানাচ্ছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা
ঢাকার একটি বিশাল অংশ ভরাট ভূমি। নিচু জমিগুলো ভরাট করার জন্য ঢাকার আশপাশের নদী থেকে ড্রেজিং করে নদীর তলা ও পাড় থেকে বালি সংগ্রহ করে তা বড় নৌকায় নিয়ে আসা হয়। তারপর তাতে পানি মিশিয়ে বালির স্লারি (অর্ধতরল) বানানো হয়। ওই স্লারি পাম্প করে সরাসরি নিচু ভূমিতে ফেলা হয়। এইভাবে ভরাটকৃত বিভিন্ন প্রকল্পে আমরা জিওটেকনিক্যাল অনুসন্ধান করেছি। তা থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে কিছু জায়গার ভরাট ভূমির মাটির অবস্থা ছবিতে দেখানো হয়েছে। ঢাকায় যেকোনো সময় বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। শহরের বেশির ভাগ ভবনেরই সে কম্পন সহনের ক্ষমতা নেই।
দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ওপরের অংশটি (১০ থেকে ৩০ ফুট) বালির স্তর। ভূমিকম্প হলে ওপরের বালির স্তরটি লিকুয়িফাই (এই অবস্থায় মাটি তরলের মতো আচরণ করে এবং এর ভারবহন ক্ষমতা থাকে না) হয়ে যেতে পারে। সেই স্তরে ফাউন্ডেশন দেওয়া হলে তা যত শক্তিশালীই হোক না কেন, ভবন হেলে পড়বেই। এ কারণে ১৯৬৪ সালে জাপানের নিগাতা শহরে ভূমিকম্পে বড় ক্ষতি না হলেও বেশ কিছু ভবন হেলে পড়েছিল। ঢাকায় ভূমিকম্প হলে একই ঘটনা ঘটবে।
কিছু জায়গায় ভরাট করা স্তরের ঠিক নিচে যে স্তরটি থাকে সেটি খুবই নরম। কাঠ, পাতা ইত্যাদি বিভিন্ন জৈব উপাদান দিয়ে এই স্তরটি তৈরি। যার নাম জৈব স্তর। এই স্তর খুব নরম এবং এর ভারবহন ক্ষমতা অত্যন্ত কম। ফলে অগভীর ভিত্তির স্থাপনার জন্য এই স্তরটি হুমকিস্বরূপ। এই জৈব স্তর মাটির মাঝামাঝি স্থানে আছে। এর ওপরের স্তরে রয়েছে ভরাট বালি এবং নিচের স্তরে শক্ত মাটি। তাই গভীর ভিত্তির স্থাপনার ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলবে জৈব স্তর।
তাই বলে কিন্তু মন খারাপ করে লাভ নেই। সময়মতো জরুরি করণীয় হচ্ছে ক) ভূমির উন্নয়ন খ) সয়েল টেস্ট ও গ) বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ।
আরো জানতে ভিজিট করুনঃ http://www.intellitechbd.com/quake-alarm.php
Eathquake Alarm
বিষয়: বিবিধ
১০৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন