”খুতবা শুনে মনে হলো সব মুসলমান জঙ্গি আর অন্য ধর্মের সবাই ভদ্রলোক”

লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ১৭ জুলাই, ২০১৬, ০৩:০৬:৩০ দুপুর

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন,’জুমার নামাজে গিয়ে যে খুতবা শুনলাম, আর ১০ বার এ রকম খুতবা হলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। খুতবায় মনে হলো সব মুসলমান জঙ্গী আর সবাই ভদ্রলোক। কেন, হিন্দু-খ্রিষ্টানরা জঙ্গী হতে পারে না? আমাদের মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্যে এই মৌলভী সাহেবরা উঠেপরে লেগেছে। আগে শুনতাম শুধু মাদরাসার ছাত্ররা জঙ্গী হয়, এখন দেখি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি পড়ুয়া ছাত্ররাও জঙ্গী। সবাই জেনে রাখুন, মুসলমানদের সাথে জঙ্গীদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

কালিহাতী উপজেলা শাখা আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন,‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন, আশা করি গুলশান ও শোলাকিয়া হামলাসহ সকল জঙ্গি হামলার বিচার আপনি করবেন। এ সময় তিনি মন্ত্রিসভার দুই মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও হাসানুল হক ইনুর অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

তিনি বলেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ঢোল বাজাতে চেয়েছে। সেই মতিয়া চৌধুরীর বিচার করুন। হাসানুল হক ইনু গণবাহিনীর সহকারী প্রধান, তার বিচার করুন। তাদের মন্ত্রী সভায় বগলতলে রেখে অন্য অপরাধীদের বিচার কিভাবে করেন এমন প্রশ্ন তুলে কাদের সিদ্দিকী বলেন, তাদের মন্ত্রীসভা থেকে বহিস্কার করে বিচার করুন।

কাদের সিদ্দিকী ওই দুই মন্ত্রীর অতীতে বঙ্গবন্ধু বিরোধী সকল অনৈতিক কাজের কড়া সমালোচনরা করেন। তিনি শুক্রবার বিকেলে কালিহাতী আর এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সরকার প্রধানকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন। এসময় জাতীয় ঐক্য গড়ে জঙ্গিবাদ ইস্যুতে দেশকে রক্ষার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন। এজন্য আপনি জাতীয় নেতায় পরিনত হয়েছেন। তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন বাজি রেখেছে তারা আজ আর আওয়ামী লীগে নেই। আর যারা বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছে তারা আপনার চার পাশে বসে রয়েছে। তাই ১৯৭৪ সালে যারা গণবাহিনী করে দেশের মানুষকে হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে।

তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, আপনিই বলেন দেশ এখন বিপদে আছে, অথচ সাত বছরে একবারও কোন রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরণের উপায় খোঁজেননি। এখনই সময় দল-মত ভুলে সকলকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে রক্ষা করুন। তা না করে যদি দেশকে ধ্বংসের চেষ্টা করেন তাহলে কোন বাঙ্গালিই তা মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত ৭ বছরে সব দলকে নিয়ে এক সাথে বসে কোন জাতীয় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেননি। আপনি জনবিচ্ছিন্ন সরকার নিয়ে দেশকে ধ্বংস করতে পারেন না। এটা মেনে নেয়া যায় না। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেহে যতক্ষণ রক্ত আছে এর প্রতিবাদ করবোই।

কালিহাতী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দলের উপজেলা সভাপতি হাসমত আলী নেতা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক, জেলা সভাপতি এ এইচ এম আব্দুল হাই, কেন্দ্রীয় যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবীবুন্নবী সোহেল প্রমুখ। -বিডিমর্নি

-

http://www.taza-khobor.com/bd/politics/67760-2016-07-16-05-06-20?q=12

বিষয়: বিবিধ

১১২৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

374837
১৭ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:২৪
374841
১৭ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৭
হতভাগা লিখেছেন : আমি যেই মাসজিদে নামাজ পড়েছি সেই মাসজিদের ঈমামের কথা শুনে মনে হয়েছে ওকে না আবার নামাজের পর ধরে নিয়ে যায় ।

এসব বেশী দিন মনিটরিং করতে পাবে না । বন্ধু রাষ্ট্র ও বান্ধা ভোটারদের ইনস্ট্যান্ট খুশী করতে এই ফাঁপড়বাজি । আফটার অল হাসুবু কিন্তু মদীনা সনদেই দেশ চালাচ্ছেন।
374858
১৭ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:৩৬
শেখের পোলা লিখেছেন : বীর উত্তমের মনে থাকা উচিৎ স্বাধীনের পর উনিও ৪০ জন মানুষকে বিনা বিচারে ব্যানোট দিয়ে খুঁচিয়ে মেরেছিলেন, আর তাই তিনি উত্তম বীর হয়েছেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File