শিশুদের সাথে নিয়ে ভ্রমণ করা ভাল।

লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ১৭ মে, ২০১৬, ১২:০৬:৩৯ দুপুর



পূর্ণবয়স্ক হওয়ার পর আমরা বুঝতে পারি ভ্রমণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রমণ মানুষের জীবন ও মন পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কোন বয়স থেকে ভ্রমণ করা উচিত। নাকি ভ্রমণে যেতে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছোটকাল থেকেই শিশুদের ভ্রমণ করা উত্তম। কেন না এ সময় তাদের শিক্ষা গ্রহণের সময় ও সব কিছু গ্রহণের মানসিকতা তাদের ভেতর থাকে। আর এ সময় তাদের মস্তিষ্কেও অনেক গ্রহণক্ষমতা থাকে। তাই ছোটবেলা থেকেই ভ্রমণ শিশুর জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক।

শিক্ষা কখনো চার দেয়ালের অন্তরালে হয় না। শিশুদের নিয়ে ভ্রমণ সহজ কোনো বিষয় নয়। কিন্তু তবু শিশুদের নিয়ে ভ্রমণ করা জরুরি কারণ, প্রত্যেক মা-বাবার দায়িত্ব শিশুদের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সব কাজ করা। আর ভ্রমণ জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য এমনই এক প্রাকৃতিক মাধ্যম। শিশুদের নিয়ে ভ্রমণের কারণগুলো বোল্ডস্কাইয়ে প্রকাশিত লাইফস্টাইলে বলা হয়েছে।

১. উদারতা ও মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি

নতুন মানুষ ও নতুন জায়গায় ভ্রমণের কারণে আপনার শিশুর মন আরো উদার হবে। ফলে বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। শুধু তাই নয়, সবাইকে সম্মান করা, অন্যের সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করার মতো মানসিকতাও তৈরি হবে।

২. পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় হয়

স্বপরিবারে ভ্রমণে গেলে পরিবারের সবাই একসঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়। ফলে দৃঢ় হয় পারিবারিক বন্ধন।

৩. মানসিকভাবে বিকশিত হতে

বর্তমানে শিশুরা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইলসহ বিভিন্ন টেকনোলজি-নির্ভর হয়ে পড়েছে। তাই একটি ভ্রমণ হতে পারে ভাসমান দুনিয়া থেকে বের করে আসল পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।

৪. নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন

ভ্রমণ শিশুদের নতুন স্থান, ভাষা, মানুষ ও তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়, যা শিশুর অভিজ্ঞতা ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে।

৫. পরিশ্রমের গুরুত্ব সম্পর্কে জানা

ভ্রমণ কখনো ফ্রিতে হয় না। এ জন্য প্রয়োজন মোটা অঙ্কের অর্থ। আপনার সন্তান যখন দেখবে, ভ্রমণে অনেক খরচ হয় তখন সে কাজের প্রতি আরো সচেতন হবে এবং ভবিষ্যতে কঠোর পরিশ্রমী হবে।

৬. সমবেদনা তৈরি

শখ ও বিলাসবহুল জীবন-যাপন করার মানে ভ্রমণ নয়। সমাজে কোনটি গ্রহণযোগ্য ও কোনটি বর্জনীয় তা জানা যায় ভ্রমণের মাধ্যমে। নতুন মানুষ ও পরিবেশে বিরাজ করে সমবেদনার আসল মানে উপলব্ধি করে জীবন-যাপন করতে শেখা যায় ভ্রমণের মাধ্যমে।

(লেখাটা সংগৃহীত।)

বিষয়: বিবিধ

১১২৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

369408
১৭ মে ২০১৬ বিকাল ০৪:১৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় ভাই।

শিশুদের মন ও দেহ বিকশিত করতে অবশ্যই ভ্রমণ একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়।

সুন্দর লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
১৮ মে ২০১৬ সকাল ১০:১১
306635
নেহায়েৎ লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম সালাম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
অনেক ধন্যবাদ।
বারকাল্লাহুমা ফিকুম। Happy
369412
১৭ মে ২০১৬ বিকাল ০৪:৩৬
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভ্রমন করা খুবই ভালো উদারতা ও মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় লেখাটি ভালো লাগলো আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
১৮ মে ২০১৬ সকাল ১০:১২
306636
নেহায়েৎ লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। শিশুর মানসিক বিকাশ হয় আর জানার আগ্রহ বাড়ে।
369426
১৭ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমাদের দেশের বেশিরভাগ মা ই শিশুদের নিয়ে ভ্রমন করতে দুরে থাক দাওয়াতে ও যেতে চান না। যদি দামি নতুন শাড়ি টা কিছু নষ্ট করে দেয়!!! শিশুদের প্রশ্নের জবাব দেওয়া ও অনেক পিতা-মাতাই অপমানজনক মনে করেন।
১৮ মে ২০১৬ সকাল ১০:১৩
306637
নেহায়েৎ লিখেছেন : ঠিক বলেছেন। এরা জসীম উদ্দিনের পথে প্রবাসে পড়লে অনেক কিছু শিখতে পারত।
370536
৩১ মে ২০১৬ দুপুর ০২:৩৭
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : আমি সাধারণত পরিবারসহ ভ্রমণ করি- বউ আর আমার ছেলে সহ। গতবছর গিয়েছিলাম বান্দরবান, চট্টগ্রাম আর সিলেট।

এবার দেশের বাইরে যাওয়ার প্ল্যান ছিল কিন্তু ছেলের পাসপোর্ট এখনো করা হয় নি। সময় পাচ্ছি না। দোয়া কাম্য।
০৪ জুন ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬
307801
নেহায়েৎ লিখেছেন : ইনশা আল্লাহ। দোয়া আমার জন্যও করবেন। আমিও পরিবার নিয়ে দেশের বাহিরে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। একসাথে যেতে পারলে ভাল হতো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File