ঘুরে আসুন ঐতিহাসিক পানাম নগর।

লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ০৪ এপ্রিল, ২০১৬, ১১:১৬:৩৬ সকাল



পানাম নগর।

আলহামদুলিল্লাহ।ব্যাচেলর লাইফে অনেক ঘুরেছি দেশের আনাচে-কানাচে। আর আমার বউ বিয়ের আগে ঢাকার বাইরে কোথাও যায়নি! এখন তার সাথে অলিখিত একটা চুক্তি হয়েছে। প্রতি বছর কমপক্ষে দুই/তিনটি জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যেতে হবে ঢাকার বাইরে। প্রথমবার(২০১৪সালে) নিয়ে গিয়েছিলাম বান্দরবান। গত বছর ঢাকার আশ-পাশে তিনটি জায়গায়। তার মধ্যে একটা হল ঈশা খাঁর রাজধানী খ্যাত সোঁনার গায়ের পানাম নগর।



আমার মোবাইলে তোলা ছবি।

যান্ত্রিক জীবনের নানান ব্যস্ততার মাঝে একটুখানি ফুরসৎ পেলেই এসব স্থান থেকে বেড়িয়ে আসা যায় সহজেই।হাজারো সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য বহন করে যুগের পর যুগ ধরে রাজধানীর পাশেই রয়েছে পানাম সিটি যা অনেকের কাছে সোনারগাঁ নামে পরিচিত। একদিনের ছুটিতেই আপনি বেড়িয়ে আসতে পারেন পরিবার নিয়ে। দেখবেন সবকিছু পরিবারের সবাই চাঙ্গা হয়ে উঠবেন।



পানাম সিটির পূর্বদিক।

গত শীতে ঘুরে এলাম সোনার গাঁ। নিধারিত দিনে ফজরের সালাত আদয় করে বাসা থেকে বের হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, এই শীতেই শুরু হল ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ভিজতে ভিজতে রিক্সা নিয়ে বাসষ্ট্যান্ড যাইতে যাইতে কর্ম কাবার। কাক ভেজা হয়ে বাসে উঠে। সোজা গুলিস্থান। সেখান থেকে দোয়েল পরিবহনে করে। সোনার গাঁ মোগড়া পাড়া বাসষ্ট্যান্ড। সেখানে নেমেই দেখি আমার সেজ ভাই ছাতা নিয়ে অপেক্ষা করছেন আমাদের জন্য। কাঁদাপনি মারিয়ে তার বাসায় গিয়ে সকালের নাস্তা! প্লান এরকমই ছিল। একটু রেষ্ট নিয়ে রিক্সায় করে সোজা জাদুঘর।



আমার কম দামের নোকিয়া মোবাইলে তোলা ছবি।

নতুন কেউ গেলে প্রথম দেখায়ই চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে! মনে হবে ভুল কোনো শতাব্দীতে ঢুকে পড়েছি। এ যে চোখের সামনে পঞ্চদশ শতকের এক হারানো রাজ্য, চারশো বছরের পুরোনো পানামনগরী।



প্রথমে জাদুঘরে না ঢুকে ভাবলাম আগে পানাম নগর দেখে আসি তারপর জাদুঘরে। ওখানে গিয়ে বেকুব বনে গেলাম! এইটুকু পানাম নগর দেখতে ২০টাকা টিকেট! আগে যতবার এসেছি কখনও টিকেট লাগে নাই। জিজ্ঞেস করে জানলাম গতমাস থেকে টিকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি চিন্তা করলাম দেখি কি করা যায় পুরাটাইতো বাহির হতে দেখা যাচ্ছে, আর মাত্র তিন/চার হাত দেখার জন্য কেন টিকেট করব! এটা আমার কাছে প্রতারণা মনে হল। বাহিরে গেটে ডাব দেখে ভাবলাম আগে ডাব খাই তারপর একটা বুদ্ধি বের হবে ইনশা আল্লাহ।



ডাব খেয়ে মজা করে ডাবের শ্বাশ খেলাম! আলহামদুলিল্লাহ।

আল্লাহর রহমতে ডাব খেয়ে বুদ্ধি বের হল। আমরা আশ-পাশ ঘুরে দেখতে লাগলাম। বাহিরে রাস্তার বামদিকে সুন্দর সুন্দর একটা ঈশা খার আমলের ব্রীজ দেখতে পেলাম।



ব্রীজটা দেখে সোজা পূর্বদিকে পানাম বাজারের দিকে গেলাম। যেতে পথের আশ-পাশ তাকালে কিছু পুরাতন আমলের সুন্দর বাড়ি মন্দির দেখা যায়। বাজারের পুর্বপাশ দিয়ে ছোট একটা সেতু পার হয়ে আমরা পানাম নগরে প্রবেশ করলাম। ওদিকে টিকেট এদিকে পুরা ফাঁকা!! কেউ নাই! আমরা পুরোটা দেখে আবার সেদিক দিয়েই বের হয়ে আসলাম!

ব্যবসায়ী আর জমিদারদের বসবাসের এই নগরীর প্রতিটি দালান অপূর্ব কারুকার্যমণ্ডিত। নগরীকে চিরে দুই ভাগ করে চলে যাওয়া পাঁচ মিটার প্রশস্ত ও ৬০০ মিটার দীর্ঘ একটি সড়কের দুই পাশে একতলা, দোতলা ও তিনতলা মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ৫২টি ভবন। সড়কের উত্তর পাশে আছে ৩১টি ভবন এবং দক্ষিণ পাশে আছে ২১টি ভবন। ওয়ার্ল্ড মনুমেন্ট ফান্ড ২০০৬ সালে পানামনগরকে বিশ্বের ধ্বংসপ্রায় ১০০টি ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায় স্থান দেয়।



সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে এই পানামনগর, ঈশা খাঁর নগর। একসময় ছিল তাঁত ব্যবসায়ীদের আবাসস্থল, বাংলার মসলিন ঐতিহ্যের কেন্দ্রবিন্দু। ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা এই নগরী তৎকালীন কাছেপিঠের অন্য সব নগর থেকে ছিল বেশি আকর্ষণীয়। এখানে শুধু যে দালানকোঠা আছে, তা কিন্তু নয়। মসজিদ, মন্দির, কূপ, সরাইখানা, পঞ্চপীরের মাজার এমন আরো অনেক কিছু চোখে পড়বে পানামে এলে।



এই নগরীর পুরোটাই খাল দিয়ে বেষ্টিত যার নাম পঙ্খীরাজ খাল। এই পথেই বিলেত থেকে আসত বিলাতি থানকাপড় আর দেশ থেকে যেত মসলিন।



এবার রিক্সা একটা রিজার্ভ নিয়ে আশ-পাশের গ্রামগুলো দেখতে থাকলাম। আশ-পাশে মাঝে মাঝে পুরোনো আমলের বাড়ি দেখতে পাবেন সোনার গাঁয়ে।



বেশকিছু সময় ভেতরে গ্রাম-বাড়িঘর দেখে পুণরায় ফিরে আসলাম জাদুঘরে। এবার টিকেট কেটে জাদুঘরে ঢুকে দেখি প্রচন্ড ভিড়! সেদিন ছুটির দিন হওয়ার কারণেই এমন ভীড়।

দেশি-বিদেশী হাজারও পর্যটক, পিননিক পার্টির ভীড়ে খুব একটা খারাপ লাগে নাই।



আমার ফহিন্নি মোবাইলে তোলা ছবি।

পরাণ ভইরা দেখে, বেড়িয়ে, খেয়ে আবার রিক্সা নিয়ে সোজা সেজ ভাইয়ের বাসা মোগড়া পাড়া। জুম্মার সালাত আদায় করে বাসায় গিয়ে গোসল সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে বাসায় আড্ডা-গল্প করে সময় কাটিয়ে সন্ধ্যা। রাতটা কাটিয়ে পরদিন সকালে ঢাকায় ফেরা এবং আল্লাহ চাইলে গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক দেখার প্লান করা!!!

কিভাবে যাবেন-

ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে করে যেতে পারেন। দোয়েল, বোরাক আর স্বদেশের বাস ছাড়ে সেখান থেকে। ভাড়া বাসভেদে ২৫-৪৫ টাকা। নামবেন সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড। ওখান থেকে রিকশায় ১৫-২০ টাকা।

বিষয়: বিবিধ

১৯২০ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

364603
০৪ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০২:৪৫
আবু জান্নাত লিখেছেন : ২০০৮ সালে আমরা ফেনী থেকে ছাত্র শিক্ষক সবাই গিয়েছিলাম শিক্ষা সফর নাম দিয়ে।

আসলে শিক্ষা থেকে দূর্ভোগই বেশি হয়েছিল, একে তো দীর্ঘ পথ আবার প্রায় শতখানিক বনি আদম। ছাদে দুপরের জন্য পাক করা বিরিয়ানী।

বড়দের জন্য ভালই কাটলো, কিন্তু ছোটদের জন্য অনেকটা কষ্ট হয়ে গেল। তবুও নতুন নতুন কিছু দেখাতে অনেক প্রফুল্ল ছিল।

বিকেলে গেলাম বাংলার তাজমহল দেখতে, তখন ৫০টাকা টিকেট ছিল। এতগুলো বাচ্চা নিয়ে ৫০টাকা করে টিকিট অনেকটা বেশি মনে হল।

তাই বড় ছাত্রছাত্রীদের যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। বাকীদের বাইরে অপেক্ষা করা আর কি!

কিছুক্ষণ পর ওখানের সুপারভাইজার ব্যপারটা বুঝতে পেরে বাকি সবাইকে বিনে টিকিটে প্রবেশের ব্যবস্থা করলো।

অনেকটা ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিলাম।

০৫ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১০:৫৯
302505
নেহায়েৎ লিখেছেন : ভাল কাজ করেছেন। আমি তাজমহলে গিয়েছিলাম আরো দুই বছর আগে। গিয়ে মেজাজ খারাপ ৫০ টাকা টিকেট কেটে ঢুকে ভাল লাগে নাই। ভিতরে তেমন কিছুই নাই। এটা কোন তাজমহল হয়নি। আর টিকেটের দাম সে তুলনায় অনেক বেশি।
364606
০৪ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:০৩
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ পিলাচ
০৫ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:০০
302506
নেহায়েৎ লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
364610
০৪ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৮
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম

হি হি হি
ভাই, দেখি স্টিকির বন্যা বসাইয়া দিলেন Applause
০৫ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:০০
302507
নেহায়েৎ লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম সালাম। তাইতো দেখতাছি। জীবনেও কখনও আমার লেখা ষ্টিকি হল না আর এবার কি শুরু হল কন দেখি?!?
০৫ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:০৫
302513
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : আপনার উপর মনে হয়
কু - নজর পরছে Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
সাবধানে থাইকেন Tongue Tongue
০৫ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
302535
নেহায়েৎ লিখেছেন : নজর কূ না সু আল্লাহ ভাল জানেন।
364612
০৪ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩১
আবু জান্নাত লিখেছেন : স্টিকির বন্যায় ফুলেল বন্যাও শুরু করতে চাই.. Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose
০৫ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:০১
302508
নেহায়েৎ লিখেছেন : আসলেই ভাই এটা কি শুরু হল। জীবনে এই প্রথম আমার দুইটা পোষ্ট ষ্টিকি হল। তাও এই বুড়ো বয়সে এসে।
০৫ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:৪০
302517
আবু জান্নাত লিখেছেন : মুডুদের দলে যোগ দিয়েছেন মনে হচ্ছে.... Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
০৫ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
302534
নেহায়েৎ লিখেছেন : এই ব্লগের মডুদের কাউকে আমি চিনি না। কখনও দেখিনি কখনও কথাও হয়নি। কেন এমন হল বুঝতাছি না!Surprised
364613
০৪ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সোনার গাঁয়ে পানাম নগর কিন্তু বেশি ঐতিহাসিক নিদর্শন নয়। এর পাশে আরো প্রাচিন নিদর্শন আছে। যার মধ্যে বাংলার সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ এর কবর এবং প্রাচিন মুসলিম বাংলার প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামার মাদ্রাসা ও কবর।
০৫ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:০২
302509
নেহায়েৎ লিখেছেন : আপনি যেগলোর কথা বলছেন সেগুলো দেখা হয়নি আর এসব নিয়ে এত লেখালেখিও হয় না তাই সম্ভবত পরিচিতি কম। যদি সুযোগ হয় ইনশা আল্লা্হ সেসব দেখা যাবে।
364615
০৪ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:০৭
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার কমদামী ফোনের হাই কোয়ালিটির ছবিগুলো দেখে লোভ লাগছে৷ যাব ইনশাআল্লাহ, যদি আপনাকে গাইড পাই৷
একেই বলে দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া-----৷ মানুষ আগে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া দেখতে যায় অথচ বাড়ির কাছে কতকি দেখার রয়েছে৷ পর বর্তী স্পট কোথায়? সুন্দবন বা ষাট গম্বুজ যেতে চাইলে এখন না গিয়ে অপেক্ষা করতে অনুরোধ রইল৷ বাকীটা-------৷ ধন্যবাদ৷
০৫ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:০৪
302510
নেহায়েৎ লিখেছেন : ইনশা আল্লাহ যাওয়া যাবে। সুন্দর বন দুইবার গেছি আল্লাহ চাইলে বার বার যাওয়ার ইচ্ছা আছে। দেখি আল্লাহ তা'আলা পরবর্তীতে কোথায় নেন। দেশে আসলে জানাবেন ইনশা আল্লাহ।
০৫ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:৫০
302520
আবু জান্নাত লিখেছেন : সুন্দবন ও ষাট গম্বুজ আলহামদু লিল্লাহ দুটোই দেখা হয়েছে। ঠাকুর দিঘী ও খান জাহান আলীর মাজার দেখে এলাম। রূপসা নদীর ইলিশ দিয়ে ভাত খাওয়াও হয়েছে।

আলোচিত কুখ্যাত ব্যক্তি এরশাদ শিকদারের স্বর্ণকমল ও টুটপাড়ার কবর ও দেখে এলাম।

রায়েন্দা স্বরণখোলার রাজাপুর দিয়ে সুন্দর বন দেখে এলাম। এটি ঘুর্ণঝড়ের পরবর্তী সময়ে, সম্ভবত ২০০৮ সাল হবে। ধন্যবাদ
364634
০৪ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১০:৫৯
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

ফহিন্নি মোবাইলকে মোবারকবাদ
০৫ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:০৫
302511
নেহায়েৎ লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম সালাম ওয়াহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই।
364653
০৫ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৮:৩৩
কুয়েত থেকে লিখেছেন : السلام عليكم ورحمة الله وبركاته ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৫ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:০৫
302512
নেহায়েৎ লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম সালাম ওয়াহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।
364671
০৫ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমি গতকাল হাই ডেজার্ট জাদুঘর দেখতে গিয়েছিলাম ২০০কি:মি: দূরে। প্রবেশ টিকেট ১২ ডলার। কিন্তু যা দেখলাম এবং মানুষকে চরম আগ্রহভরে দেখতে দেখলাম,তা এই পানাম নগরীর কাছে ধুলো মাটিসম। আমি পানাম নগরীর নাম শুনেছি। সোনাগায়েও ২ বার গেছি কিন্তু এখানে যাওয়া হয়নি। সত্যিই অসাধারন জিনিস। বৌয়ের সাথে ঘোরা মজার,কারন তাতে ভালোভাবে দেখা যায়। বার বার ফোন করে বলবে না...এই তুমি এখনও ফিরোনি....!!! যাক কাজের কাজ করে ফেলেছেন ২০১৪ সালেই। যদিও দাড়ি পেকে চৈত্রের মাঠ হয়ে গেছে Happy Happy...দোয়া করেন যেন আমারটা সহি সালামতে হয়...
০৫ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
302537
নেহায়েৎ লিখেছেন : আসলে আমাদের দেশে দেখার মতো অনেক কিছু আছে। কিন্তু আমরা দেখার জন্য আগে বিদেশ ছুটি টাকা হলেই।আর আমার এত টাকাও নাই বিদেশ যাওয়াও নাই! দেশটাকেই ঘুরে-ফিরে দেখি। এই সোনার গায়ে অনেক কিছুই আছে দেখতে চাইলে সারাদিন ঘুরে শেষ করা যাবেনা। একবার সময় পেলে দেখে যাবেন। হ অ-ভাই দাড়ীতে পাক ধরেছে অনেক আগেই। কি আর করা মনটাতো আর বুড়ো হয় নি। তবে মৃত্যুচিন্তা হয় যেকোন সময় মালাকুল মওত এসে পড়তে পারে। আল্লাহ যেন মাফ করে দেন। আল্লাহ আপনাকে সহিসালামতে একটা দান করুন। আমীন। Love Struck
০৫ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:২৪
302541
কুয়েত থেকে লিখেছেন : অনেক দেরী করে ফেলেছেন হে যুবক পুঁটির মার আশায় এত দেরী করা ঠিকনয়। পুটির মার খবর লইছেন তো..?ধন্যবাদ
০৫ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১০:২৭
302583
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমিন !! কুয়েত থেকে ভাই পুটির মায়ের খবর হয়েছে ,ইনশাআল্লাহ আগামী বছর বিয়ে হবে। Happy
০৬ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৯:৩৮
302610
নেহায়েৎ লিখেছেন : দ্যা স্লেভ ভাই বিবাহ কি দ্যাশো আইয়া করবেন নাকি আমরিক???
০৭ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩
302710
দ্য স্লেভ লিখেছেন : দেশেও না .আেিরিকাতেও না। কোথায় তা এখন বলা গুরুর নিষেধ Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১০ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৯:৫৩
302984
নেহায়েৎ লিখেছেন : না মানে ভাবতেছিলাম জেয়াফত খাইতে পারমু কি না।
১০
364873
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০১:৩২
বড়মামা লিখেছেন : ভালো লাগল গরুর গাড়ী কই? আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
০৭ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
302702
নেহায়েৎ লিখেছেন : সব জায়গার ছবি তোলা হয় নি। তবে আগে ওসব জায়গার ছবি তুলেছিলাম। এবার ক্যামেরা নিয়ে যাইনি। শুধু মোবাইলে তোলা ছবি।
১১
364881
০৭ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৬:৩৮
মহিউদ্দিন মাহী লিখেছেন : ভালো লাগলো
আসলেই আমাদের সবারই উচিৎ একটু সময় বের করে প্রিয়জনদের নিয়ে অপরূপ সুন্দর এই দেশের এমনসব ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরে আসা।
অনেক ধন্যবাদ।
০৭ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
302703
নেহায়েৎ লিখেছেন : জি ঘুরে দেখা উচিত। শরীর-মন উভয় চাঙ্গা হয়। মাশা আল্লাহ। এই দেশটা অনেক সুন্দর।
১২
364888
০৭ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:১২
আবু জারীর লিখেছেন : সর্ব শেষ দেখেছিলাম সেই ১৯৯৬এ আর আজ দেখলাম আপনার ব্লগে ঠিক ২০ বছর পরে!
০৭ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
302704
নেহায়েৎ লিখেছেন : আবার একবার যেতে পারেন। এখনতো দেশেই আছেন। আল্লাহর রহমতে দেশটা অনেক সুন্দর।
১৩
365074
০৯ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:০০
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : গিয়েছিলাম বেশ কয়েকবার। আপনার ছবিগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই সমস্যা আমারও হয়। পুরনো কিছু পোস্ট এ ছবি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সুন্দর ও সাবলীল বর্ণনায় ভালো লেগেছে আপনার ভ্রমণ। জাযাকাল্লাহ খাইর।
১০ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৯:৫২
302982
নেহায়েৎ লিখেছেন : আসলে কিছু কিছু জায়গায় যতোবার যাই আবার যেতে মন চায়। পানাম নগর তেমন এক জায়গা। ছবি এখন ঠিক হয়েছে। মাঝে মাঝে এরকম হয়ে যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। বারাকাল্লাহুমা ফিকুম।
১৪
365156
১০ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০২:১১
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আপনার লিখাটা পড়ে আমার ও যেন ভ্রমণ হয়ে গেল! ধন্যবাদ আপনাকে
১০ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৯:৫৩
302983
নেহায়েৎ লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File