পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ!
লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ০৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১০:৩৮:২০ সকাল
কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী ফরজ বিধান দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ (সুব। ইরশাদ হচ্ছে:
إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ অর্থ: “বিধান দিবার অধিকার আল্লাহরই।”(সূরা ইউসুফ ১২:৪০)
আল্লাহ (সুব আরও ইরশাদ করেছেনঃ
أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ অর্থ: “জেনে রেখো সৃষ্টি এবং বিধান তাঁরই।”(সূরা আরাফ ৭:৫৪।
পীর-সূফীদের আক্বীদাহ হলো পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ। যেমন চরমোনইয়ের পীর সাহেব ‘মাওয়ায়েজে এসহাকিয়া’ নামক কিতাবে বলেন: ‘পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ’। তিনি আরও বলেন, ‘যদি কারো দুইজন পীর হয় তবে দুই পীর তোমার দুই ডানা ধরে বেহেশতে নিয়ে যাবেন। কোনই ক্ষতি নাই।’ (‘মাওয়ায়েজে এছহাকিয়া’ সৈয়দ মা:মো: মোমতাজুল করীম রচিত: পৃষ্ঠা নং: ৫৫-৫৬ ) এছাড়া তিনি আরও বলেন: ‘যার কোন পীর নাই তার পীর শয়তান।’ এজন্য তারা একটি আরবী বাক্য তৈরী করেছে যাতে সাধারণ মানুষের আরবী দেখে এটাকে কুরআন-হাদীস মনে করে বিনা আপত্তিতে মেনে নেয়। সে বাক্যটি হলো: مَنْ لَيْسَ لَهٌ شَيْخٌ فَشَيْخُه شَيْطَانٌ অর্থ: “যার কোন পীর নাই তার পীর শয়তান।” (‘ভেদে মারেফাত বা ইয়াদে খোদা’ মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ এছহাক রচিত: পৃষ্ঠা নং: ২৩।)
এ আরবী বাক্য শুনে অনেকেই এটিকে হাদীস বলে বিশ্বাস করে অথচ এটি কোন হাদীস নয় পীর-সূফীদের মনগড়া একটি বাক্য মাত্র। পীরদের যতগুলো সিলসিলা রয়েছে প্রায় সকলের আক্বিদাই এরকম । যেমন চরমোনাই পীরদের আক্বিদাহ তাদের বই থেকে উপরে উল্লেখ করা হলো।
এনায়েতপুরী পীর ও তার অনুসারীদের আক্বীদাহ-বিশ্বাসও একই রকম। তাদের রচিত কিতাব ‘শরীয়তের আলো’ নামক কিতাবে উল্লেখ আছে, ‘পীর ধরা সবার জন্য ফরজ’।( ‘শরীয়তের আলো’ খাজা বাবা এনায়েতপুরী সাহেবের অনুমোদন ক্রমে মাওলানা মো: মকিম উদ্দিন প্রণীত। প্রকাশক পীরজাদা মৌ: খাজা কামার উদ্দিন (নুহ মিয়া)।)
সুরেশ্বরী পীর লিখেছেন: ‘পীরের নিকট দীক্ষিত না হইলে কোন বন্দেগী কবূল হয় না।'(নুরে হক গঞ্জে নুর, পৃষ্ঠা নং ২৫, সুরেশ্বর দরবার এর পক্ষে সৈয়দ শাহ নূরে মঞ্জুর মোর্শেদ (মাহবুবে খোদা) ও ভ্রাতাগণ কর্তৃক প্রকাশিত, একদশ সংস্করণ ১৯৯৮।)
বিষয়: বিবিধ
২২১৯ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রবাসে আছি হিসাবে এসব বই থেকে যাচাই করা সম্ভব নয়, যদি পারেন বা সম্ভব হয়, তবে স্ক্রিনশঠ দেওয়ার জন্য বিনিত অনুরোধ করছি।
যাতে করে আমার মত হক অনুসন্ধানীরা উপকৃত হতে পারে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই চারটি পয়েন্ট কিন্তু ইসলাম বিদ্ধেশি কথা। এইগুলোর তাহকীক খুবই প্রয়োজন। চেষ্টা চালিয়ে যান, যখন কোন প্রমান হাতে পাবেন, এই বান্দাহকে স্ক্রিনশঠ দিবেন।
শয়তান ও মানুষের পীর হতে পারে, একথা মিথ্যে নয়, তবে একথাটি একটু ব্যখ্যা সাপেক্ষ। সরাসরি ঈমান বিরোধী বলা যাবে না।
উপরোল্লেখিত ৪টি পয়েন্ট কিন্তু ভয়াভহ কথা।
ধন্যবাদ
অনেকে আবার সহি হাদিসের কথা বলে জয়ীফ ও জাল হাদিস ও চালিয়ে দেন। তাই তো ধর্মীয় ব্যাপারে প্রত্যেকটি কথা প্রমাণসহ পেলে ভালো লাগে। @সাকা ভাই।
১। চরমোনইয়ের পীর সাহেব ‘মাওয়ায়েজে এসহাকিয়া’ নামক কিতাবে বলেন: ‘পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ’।
২। তিনি আরও বলেন, ‘যদি কারো দুইজন পীর হয় তবে দুই পীর তোমার দুই ডানা ধরে বেহেশতে নিয়ে যাবেন।
৩। ‘পীর ধরা সবার জন্য ফরজ’
৪। ‘পীরের নিকট দীক্ষিত না হইলে কোন বন্দেগী কবূল হয় না।'
এই চারটি পয়েন্ট কিন্তু ইসলাম বিদ্ধেশি কথা। এইগুলোর তাহকীক খুবই প্রয়োজন। চেষ্টা চালিয়ে যান, যখন কোন প্রমান হাতে পাবেন, এই বান্দাহকে স্ক্রিনশঠ দিবেন।
শয়তান ও মানুষের পীর হতে পারে, একথা মিথ্যে নয়, তবে একথাটি একটু ব্যখ্যা সাপেক্ষ। সরাসরি ঈমান বিরোধী বলা যাবে না।
উপরোল্লেখিত ৪টি পয়েন্ট কিন্তু ভয়াভহ কথা।
ধন্যবাদ
পীর সম্বন্ধীয় এসব ঘটনার সাথে আল্লাহর বানীর মিল পাওয়া যায় ।
আল্লাহর কথাই সত্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন