বিপদে পড়লে নাস্তিকরাও বলে আল্লাহ আছে।
লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১০:৩০:২৬ সকাল
সীমাহীন অসীম দয়ালু প্রভুর বান্দা তার প্রভুর কাছে যতগুলো দোয়া করে কিছু চায় তার বেশিরভাগই রাব্বানা দিয়ে শুরু। যেমন ১. রাব্বানা তাকাব্বাল মিন্না ২. রাব্বানা ইন্নাকা যামিউন্নাস ৩. রাব্বানা ইন্নানা সামি’না ৪. রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বয়াইয়ানি ইত্যাদি। রাব্বানা অর্থ হছে আমার প্রভু। যিনি পালনকর্তা। দুনিয়া জাহানের সকল সৃষ্টির লালন পালন তার হাতে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তার বান্দাকে তার কাছে প্রার্থনা করতে যত দোয়া শিখিয়েছেন, প্রায় চল্লিশটি দোয়া রাব্বানা দিয়ে শুরু।
প্রভু বলতে কি বুঝায়? প্রভুর সহজ ব্যাখ্যা এ রকম, ‘যার, যখন, যেখানে, যতটুক্,ু যেভাবে এ প্রয়োজন- তাকে, তখনই, সেখানে, ওই পরিমাণ, সেভাবে, মুহূর্তেই যিনি দিতে পারেন তিনিই রব। হিমালয় পর্বত চূড়ায় প্রচণ্ড তুষারপাত কালে বিছিন্ন হয়ে যাওয়া একাকি একজন পর্বতারুহির অক্সিজেন ও শক্তি যুগিয়ে দিয়ে যিনি বাঁচান তিনি রব, মহা সমুদ্রের ১১ কিলোমিটার তলদেশে নীল তিমির পেটের ব্যথা যিনি ভাল করেন তিনি রব, মায়ের গর্ভের বাচ্চাকে ইনকিউবেটরের তাপমাত্রায় রেখে, এখনও আবিস্কার হয়নি এমন খাবার দিয়ে যিনি বাঁচিয়ে রাখেন তার নাম প্রভু। সব সৃষ্টিকূলের স্রষ্টাকে স্বীকার করে না অথচ তাকেও অসংখ্য নিয়ামত এ ডুবিয়ে রেখেছেন তিনিই রব।
১৯৬৯ সালের জুনে কুমিল্লা মুরাদনাগর গোমতি নদীর মাঝে নৌকায় ঘূর্ণি ঝড়ের কবলে পড়ে একদম মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসেন আল্লায় অবিশ্বাসী এক ভাই। তার স্বীকৃতি হছে, ভাই খুদার দয়া ছাড়া আজ বাঁচতে পারতাম না। নব্বই এর দশকের শুরুতে একজন বড় বাম নেতা (বর্তমানে তিনি মন্ত্রী) সন্ত্রাসীর গুলিতে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন লন্ডনে চিকিৎসা শেষে। তার স্ত্রীকে মিডিয়াতে বলতে শুনেছি আল্লাহর দয়ায় আমার স্বামী বেঁচে ফিরেছেন। সিরিয়া ইরাকে মানব তৈরি দুর্যুগে আল্লাহ রহমত দূরে থাকবে কেন, যখন চিলির খনিতে ৩০০ মিটার নিচের আটকা পড়া মানুষকে ২১ দিন পরেও আল্লাহ বাঁচিয়ে দেন। ভূমধ্য সাগর তীরে শিশু আইলানের মত ফুল ছিঁড়ে নিয়ে প্রভু তার অসহায় বান্দাদের কাকে কোথায় থিতু করেন তা বুঝতে সময় লাগবে। আল্লাহ বলেছেন, তিনি দেশ-জাতি-কাল থেকে মানুষের একটি অংশকে উঠিয়ে নিয়ে যান। আবার বহু জনপদকে তিনি ধ্বংসও করেন। মানুষ যেন তার দয়াকে মশকরা না করে। আল্লাহ বলেন, লা তাকনাতু মিররাহমা তিল্লাহ-তোমরা আমার রহমত থেকে নিরাশ হইয়ো না। আমি কার জমিনে দাঁড়িয়ে আছি, কার আসমান এর নিচে আমার অবস্থান, কার অক্সিজেন টেনে হুংকার দেই, আমার দেহের মালিক কে? এসব ভাবনায় যার শির অবনত নয় তিনি বা তারা কিভাবে রহমতের যোগ্য হন? তবু তারা রহমত পান। তিনি যে দয়াল প্রভু।
(আমাদের এক স্যার বিমান বাহিনীর সাবেক উইংকমান্ডার। তিনি রাশিয়ায় ছিলেন কিছুদিন। তখন সেখানকার বেশিরভাগ মানুষ নাস্তিক, কিন্তু তারা হাত থেকে কিছু পড়ে গেলে বা উষ্টা খাইলে রাশিয়ান ভাষায় একটা শব্দ উচ্চারণ করে। যার অর্থ ওহ গড! কিন্তু তারা গড আছে বিশ্বাস করে না!!!)
লেখক: গবেষক ও প্রকৌশলী
বিষয়: বিবিধ
১২৪৪ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
স্রষ্টার অস্তিত্ব মানুষের নিজের দেহে ও অবচেতন মনের গভীরে প্রোথিত, এ থেকে মুক্ত হবার কোন সাধ্যই মানুষের নেই- তার বাহ্যিক পরিচয় ও আচরণ যা-ই হোক!!!!
এটাই ফিতরাত। মানুষ ফিতরাতের উপর জন্মগ্রহণ করে।
প্লিজ, কারো দিকে আর তাকিয়ে থাকা নয়, কেউ আসুক অথবা নাই আসুক, আপনি আসছেন, লিখছেন, ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করছেন, এটাই নিশ্চিত করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন