বড় পীর আব্দুল কাদের জীলানী (রহঃ)

লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ০৬ আগস্ট, ২০১৫, ০১:৪৭:৪৯ দুপুর

তাঁর নাম আবু মুহাম্মাদ আব্দুল কাদের বিন মূসা বিন আব্দুল্লাহ। তিনি ৪৭০ হিঃ মোতাবেক ১০৭৭ খৃষ্টাব্দে বর্তমান ইরানের অন্তুর্ভুক্ত তাবারিস্তানের জীলান নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি ৪৮৮ হিজরীতে বাগদাদ গমন করেন। সেখানে বিভিন্ন বিদ্বানগণের নিকট কুরআন-হাদীছ ,ফিক্বহ, আদব, নাহু সহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন।

ইবনুল আছীর, ইমাম যাহাবী, সাম‘আনী প্রমুখ বিদ্বানগণ তাঁকে সৎ, পরহেযগার, ফক্বীহ, যাহেদ ও হাম্বলী মাযহাবের ইমাম হিসাবে অভিহিত করেছেন (আল-কামেল ৯/৩২৬; যাহাবী, তারীখুল ইসলাম ৩৯/৮৯; সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ২০/৪৩৯-৪১)। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, তাঁর সুন্দর সুনাম ছিল... তাঁর মাঝে দুনিয়াবিমুখতা অধিক ছিল। তাঁর ব্যাপারে তাঁর অনুসারী ও সাথীদের অনেক বক্তব্য রয়েছে। তারা তার অনেক কথা, কর্ম ও কাশফ-কারামাতের কথা উল্লেখ করেন, যার অধিকাংশই বাড়াবাড়ি বৈ কিছুই নয়। বরং তিনি সৎ ও পরহেযগার ছিলেন। তিনি আল-গুনিয়াহ ও ফুতূহুল গায়েব গ্রন্থদ্বয় রচনা করেছেন। তাতে অনেক সুন্দর বিষয় রয়েছে। তবে তাতে তিনি বহু যঈফ ও জাল হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (আল-বিদায়াহ ১২/৭৬৮)। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ)-কে আব্দুল কাদের জীলানীর কবরে শিরকী কর্মকান্ড সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে শায়খ আব্দুল কাদের এ সব কর্মকান্ড করতে বলেননি এবং তিনি এ ব্যাপারে নির্দেশও দেননি। তার ব্যাপারে যারা এ সব কথা বলবে তারা মিথ্যাবাদী। বরং শিরকী ও চরমপন্থী একদল লোক এসব বিদ‘আত আবিষ্কার করেছে’ (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ইবনু তায়মিয়াহ ২৭/১২৭)। তিনি ৫৬১ হিজরী মোতাবেক ১১৬৬ খৃষ্টাব্দে ইরাকের বাগদাদে মৃত্যুবরণ করেন।

উল্লেখ্য যে, তিনি মায়ের গর্ভে থাকাকালীন সময় ১৮ পারা কুরআন মুখস্থ করেছিলেন মর্মে যে বক্তব্য প্রচলিত আছে, তা ভিত্তিহীন(দ্রঃ প্রশ্নোত্তর ৩/১২৩, জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী’১৪)।

বিষয়: বিবিধ

১৭৩৩ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

334077
০৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০১:৫৮
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রাহ) এর নামে মুসলমানদের মাঝে অনেক কল্প কাহিনী চালু করেছে কবরপুজারী ধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায়গুলো!
০৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:২৯
276204
নেহায়েৎ লিখেছেন : তাতে ব্যবসার সুবিধা হয়। পীরদের মূল সম্বল হল কল্প-কাহিনী।
334079
০৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০১:৫৯
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : বড় পীর!!!!?
০৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:২৮
276203
নেহায়েৎ লিখেছেন : তাইলে কি উনি ছোট পীর?!? উনি ছোট পীর হলে চর্ম নাই কি? দেওয়ান বাগী কি? আট রশি কি? ফুরফুরা কি? লেংটা বাবা কি? Happy Happy Happy
০৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:৫১
276212
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : ছোট পীর!!!!?
০৮ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৯:৪৮
276498
নেহায়েৎ লিখেছেন : আপনার কি ধারণা উনি মাইজা পীর?? আসলে উনি কোন পীরই ছিলেন না।
০৯ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
276712
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : এই এখন লাইনে আসছেন। রেল লাইন বহে সমান্তরাল।
334082
০৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:৩২
নাবিক লিখেছেন : ভালো লাগলো
১০ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
276915
নেহায়েৎ লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
334093
০৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:৫৩
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : তিনি হাম্বলী মাযহাবের ইমাম আর আমাদের বিদআতীরা হানাফী দাবী করে..? গাউছিয়া খতম পড়ে বড় পীরের নামে..বিষয়টা সাংঘর্ষিক না?
ধন্যবাদ। আরো লিখুন বিদআত-শিরকের মুলোৎপাটনের জন্য..
০৮ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৯:৪৯
276499
নেহায়েৎ লিখেছেন : উনারে পীর বানাইছে উনার মৃত্যুর অনেক পরে। আর কোন মাযহাবের লোকজন তাকে পীর বানাইছে এটা সবাই জানে। নামটাও বড় ব্যবসাটাও অনেক ভাল হয় তাই আর কি।
334104
০৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০৩:২৮
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বাংলাদেশে অর্ধেক মানুষ আবদুর কাদের জিলানী (রাঃ) এর অতিরঞ্জিত কাহিনীর দ্বারা মুশরেক হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ
০৮ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৯:৫০
276500
নেহায়েৎ লিখেছেন : অতিরঞ্জিত করার কারণেই ব্যবসাটা জমছে ভাল। তাছাড়া কি এত মার্কেট পাইত ভাইয়া?
334107
০৬ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০৩:৪০
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর
০৮ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৯:৫১
276501
নেহায়েৎ লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম সালাম ওয়ারহমাতুল্লাহ। বারাকাল্লাহুমা ফিকুম।
334147
০৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : উনার নামে প্রচলিত কিতাব এর বেশিরভাগই উনার লিখা নয়। যেখানে তার মৃত্যুর পড়ে জন্ম নেওয়া ফরিদুদ্দিন আত্তার ও শামস তাবরিজির লিখা থেকে উদ্দৃতি দেওয়া হয়েছে।
০৮ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৯:৫২
276502
নেহায়েৎ লিখেছেন : অনেক কল্প-কাহিনীই মানুষ বিশ্বাস করে। আল্লাহ আমাদের সঠিকটা জানার তাওফিক দান করুন।
344763
০৭ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
মনসুর লিখেছেন : পীর ফারসি শব্দ আর আরবী হল মুরশিদ যার অর্থ পথপ্রদর্শক, আভিধানিক পরিভাষায় ওস্তাদ, শিক্ষক, অভিবাবক ইত্যাদি। ইসলামের ইতিহাসের আলোকে হজরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) একজন প্রতিষ্ঠিত শিক্ষক, গবেষক, চিন্তাবিদ-যুক্তিবিদ-লেখক, আলোচক ও সুবক্তা। এবং তাঁর সমকালীন ও পরবর্তীকালে অপরাপর ইসলামী শিক্ষক ও চিন্তাবিদগণ তাঁর এই জ্ঞানের উচ্চ মানকে মেনে নিয়ে তাঁকে "বড় পীর" হিসাবে আখ্যয়িত করেছেন, এটা মেনে নিতে সমস্যা কোথায় !!

যে বা যারা "পীর পূঁজা" করেন, সেটা কেবলই তাদের ঈমানের দূর্বলতা, ইসলামী জ্ঞানের অজ্ঞতা, খবিস ইবলিস প্রিয়তা। এই জন্য বড় পীর হজরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ)-কে বা তাঁর প্রচলিত ভাবধারা (তরিকা)-কে সমালোচনা করা বাতুলতা মাত্র।

মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File