সিনেমা
লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ২৭ জুলাই, ২০১৫, ১০:২৯:৩৪ সকাল
এটা আমার মতামত মাত্র কেউ মাইন্ড খাইয়েন না প্লিজ!
-
-
-
স্কুলে থাকতে সিনেমা দেখতাম। কলেজে উঠার পর বাদ বলা যায়। তারপর একেবারেই বাদ। টিভি দেখতাম, কিন্তু ব্যাপক অশ্লীলতা দেখে এক সময় সিদ্ধান্ত নিলাম নিজে যখন সংসার শুরু করব জীবনে কখনও টিভি কিনব না। আলহামদুলিল্লাহ কিনি নাই। তবে পূর্বে যা দেখেছি সেখান থেকেই আমি কিছু বলতে চাই।
বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্থান এই তিন দেশে কিছু নামধারী মুসলিম সিনেমা তৈরী করে। তারা যদি কখনও সিনেমায় ইসলাম নিয়ে কিছু দেখায় সেটা হয় মাজার কেন্দ্রীক। এই তিন দেশের সিনেমায় ইসলাম মানেই মাজার আর পীর বাবা! স্কুলে থাকতে দেখেছিলাম-
পাগলা বাবার দরবারেতে ফেলছি চোখের জল,
বাবা কবে আসবে বাড়ি সত্য করে বল!
এই গানের মধ্যে ঝড় উঠে বাতাসের মধ্যে থেকে এক পীর বাবা এসে বর দিয়ে যায়। ছেলেটি এক সময় তার বাবাকে ফিরে পায়!!!
ইদানীং শুনছি ভারত একটা সিনেমা তৈরী করেছে 'বজরঙ্গী ভাইজান' না কি যেন নাম। সেখানেও সিনেমার কাহিনী পুরাটাই নাকি মাজার আর পীর বাবা কেন্দ্রীক! অর্থাৎ ইসলামের কাহিনী মানেই মাজার আর পীর বাবা! এভাবেই মূর্খ অজ্ঞ মুসলমানদের চিন্তা-চেতনায় ঢুকানো হচ্ছে ইসলাম মানেই মাজার আর পীর বাবা!!!
মাস কমিউনিকেশন এর ক্ষেত্রে সিনেমা একটি শক্তিশালী মাধ্যম। তাই আমি মনে করি এই শুধু দূরে থেকে ঘৃণা না করে, আর এই নামধারী মুসলমানদের হাতে এই মাধ্যম ছেড়ে না দিয়ে এখন সময় হয়েছে প্রকৃত মুসলমানদের এখানে কাজ করার। ইসলামের প্রকৃত রূপ সিনেমার ক্যানভাসে তুলে ধরার। যেমন- জাকির নায়েক স্যাটেলাইট মাধ্যমে ইসলামে সৌন্দর্য তুলে ধরার কাজ করছেন। আর দূরে থেকে ঘৃণা নয়, এবার নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাছাড়া একসময় এর বিষবাষ্প কি ভংকর রূপে আঘাত করতে পারে সেটা হয়ত আমরা চিন্তাও করছি না।
অনেকদিন আগে আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেব এর একটা ওয়াজ শুনেছিলাম। তিনি বলেছিলেন সিনেমা আল্লাহর একটা বিশাল নিয়ামত। সেই নেয়ামত কাজে না লাগিয়ে আমরা অপকর্মে ব্যবহার করছি!!!
বিষয়: বিবিধ
১২১৫ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমরা তো সেটাই পারি না।
প্রযুক্তি হোক আশীর্বাদ
সবাই যে ছবিটিকে নিয়ে এত বাহবা দিচ্ছে , এই অল্প কিছু সময়ে সেরকম কিছু মনে হয় নি ।
এখানে একটা জিনিস খুব খারাপ লেগেছে যে পাকিস্তানী মাওলানা (ওমপুরি) এর কাছ থেকে যখন বিদায় নিয়ে সালমান ও পিচ্চি মেয়েটি চলে যায় তখন মাওলানার সালামের পরিবর্তে সালমান হিন্দুদের রীতি ব্যবহার করে । পরে মাওলানাও একই রীতিতে সালমানকে বিদায় দেয় ।
একজন মাওলানা হয়ে হিন্দুদের মত সম্ভাসন দিবে , এটা ভাল লাগে নি ।
তবে পরে বুঝে গিয়েছি যে , যেহেতু বলিউডের সিনেমাগুলো হিন্দু ও হিন্দুমনঃষ্করা তৈরি করে , সেহেতু তারা তাদের সিনেমাতে তাদের ধর্মকেই বেশী প্রাধান্য দেবে এবং ইসলাম সহ অন্য ধর্মকে পঁচান দেবে ।
বলিউডি ছবি ও গানের বেশীর ভাগ জুড়েই থাকে তাদের দেব দেবীদের গুণকীর্তন ।
বোকা মুসলমানেরা এসব না বুঝেই গেয়ে থাকে ।
শুনেছি ছবিটা করেছেন কবির খান - যিনি কি না NDTV তে জাকির নায়েককে এনে পঁচাতে চেয়েছিলেন । সাথে ছিল সোহা আলী খান , শাহরুখ খানের মত ধর্মপ্রাণ (!) কিছু মুসলিম এবং মুভি ডিরেক্টর করণ জোহর ।
তবে আল্লাহর সাথে এই সম্পর্ক দেখাতে তিনি মাজার, ওলী, দরবেশ, দরগাহ গুলোর আশ্রয় নিয়েছেন। এখান থেকে সাধারণ মানুষ আরো মাজার মুখী হয়েছেন। এই পরিচালকের একটি সাক্ষাতকার দেখেছিলাম, তিনি বলছেন, আমি একজন প্রকৃত মুসলিম চলচিত্র পরিচালক হিসেবে, প্রতিটি ছবিতেই ধর্মীয় আবহ সৃ্ষ্টি করেছি, আল্লাহ হয়ত আমাকে মাফ করবেন।
তাঁকে এই কথা কে বুঝাবে যে, ইসলাম পালন মনে করে যা করলেন সেটা যে, ইসলাম ধ্বসের সর্বনাশা খেলাম অন্যতম। ধার্মীক মানুষ কোনদিন চলচিত্র জগতে টিকতে পারেনা।
আমরা প্রযুক্তিতে দুরে ঠেলে দিচ্ছি আর এই সুযোগে এর উপর ভর করে ওরা ইসলাম এর বিকৃতি ঘটাচ্ছে। আমাদের এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন