ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার প্রথম ২৬ জন প্রিন্সিপাল!
লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ০৬ জুলাই, ২০১৫, ০২:১৩:২৪ দুপুর
ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার প্রথম ২৬ জন প্রিন্সিপাল ছিলেন খৃষ্টান। ১৮৫০ থেকে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত তারা ঐ পদে ছিলেন। অর্থাৎ প্রথম ৭৭ বছর ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ছিল খৃষ্টান। তাদের নামের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলঃ-
০১) ড. এ. স্প্রেংগার।
০২) স্যার উইলিয়াম নাসসান লীজ।
০৩) মিস্টার জে. স্ট্যাকলিপ।
০৪) মিষ্টার হেনরী ফার্ডিনান্ড ব্লকম্যান।
০৫) মিস্টার এ. ই. গ্যাফ।
০৬) ড. এ এফ. আর হর্নেল।
০৭) মিস্টার এইচ প্রথেরো।
০৮) ড. এ এফ. আর হর্নেল।
০৯) মিস্টার এফ. জে. রৌ।
১০) ড. এ এফ. আর হর্নেল।
১১) মিস্টার এফ. জে. রৌ।
১২) ড. এ এফ. আর হর্নেল।
১৩) মিস্টার এফ. জে. রৌ।
১৪) মিস্টার এফ. সি. হিল।
১৫) স্যার আর্ল স্টেইন।
১৬) মিস্টার এইচ. এ স্টার্ক।
১৭) লে. কর্ণেল জি. এম. এ. রেংকিং।
১৮) মিস্টার এইচ. এ স্টার্ক।
১৯) স্যার এডওয়ার্ড ড্যানিসন রস।
২০) এইচ. ই. স্টেপলটন।
২১) স্যার এডওয়ার্ড ড্যানিসন রস।
২২) মিস্টার চ্যাপম্যান।
২৩) স্যার এডওয়ার্ড ড্যানিসন রস।
২৪) মিস্টার আলেকজান্ডার হেমিলটন হার্লি।
২৫) মিস্টার এম. জে. বটমলী।
২৬) মিস্টার আলেকজান্ডার হেমিলটন হার্লি।
এইসব মৌলভী সাহেব কি সিলেবাস তৈরী করেছেন? আর কি পড়াইছেন মুসলমানদের? কি ঢুকাইছেন ইসলামের ভিতরে? কি বিকৃত করিয়াছেন কতটুকু?
মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমদ লিখিত (ইসলামিক ফাউন্ডেশন কতৃক প্রকাশিত) মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ইতিহাস বইতে নামগুলি আছে।
বিষয়: বিবিধ
৩৫২৯ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হানাফি মাজহাবের মুল কিতাব (আল মুখতাসারুল কুদুরী)-
লেখকের নাম আবুল হাসান,পিতার নাম আহমাদ।কুদুরী নামেও পরিচিত।হারি পাতিলকে বলা হয় কুদুর। আর হারি পাতিলের ব্যবসায়ীকে বলা হয় কুদুরী।সম্ভবত গ্রন্থকার হারি পাতিলের ব্যবসায়ী ছিলেন বলে তাকে কুদুরী বলা হত।
তিনি জন্মগ্রহন করেছেন 362 হিজরীতে। ম্রিত্যুবরন করেন 428 হিজরীতে।
গ্রন্থখানী তিনি নিজ হাতে লিখেন নাই।কিতাবের শুরুতে লিখিত আছে যে আবুল হাসান বলেছেন-।এতে প্রমান হয় যে,আবুল হাসান 12 হাজার মাসআলাহ বলেছেন,অন্য কেউ তা লিপিবদ্ধ করেছেন।অতঃপর ওই লিপিবদ্ধ গ্রন্থকে আল মুখতাসারুল কুদুরী নামকরন করা হয়েছে।কে লিখেছেন,তার নাম, ঠিকানা কিছুই জানা যায় না।অতএব,সংকলনকারীর নাম ও ঠিকানা বিহীন এই গ্রন্থখানাই হল হানাফি মাযহাবের নির্ভরযোগ্য কিতাব।
আবুল হাসানের মৃত্যুর দিন যদি গ্রন্থ লেখার শেষ দিন ধরা যায় তাহলে গ্রন্থ লেখা হয় 428 হিজরিতে। হানাফি মাযহাব অর্থ ইমাম আবু হানীফার মাযহাব। ইমাম আবু হানীফার জন্ম 80 হিজরীতে, মৃত্যু 150 হিজরীতে। অর্থাত ইমাম আবু হানীফার মৃত্যু (428-150)=278 বৎসর পর গ্রন্থটি সংকলিত হয়।আবুল হাসানের সাথে ইমাম আবু হানীফার কোন দিন সাক্ষাৎ হয়নি।তিনি ইমাম আবু হানীফার কথাগুলি কার নিকট পেলেন তার কোন সূত্র বর্ননা করেন নাই।অতএব, ইমাম আবু হানীফার নামে বর্নিত কথাগুলির কোন সুত্র নাই। তেমন বহু কথা আছে যা ইমাম আবু হানীফারও নয়,তাও হানাফি মাযহাব বলে পরিচয় দেয়া হয়।যেমন-আবু হানীফার মতে মাটি জাতীয় সমস্ত বস্তূ দ্বারা তায়াম্মুম জায়িয।
যেমন বালি,পাথর,চুন,সুরকী,সুরমা,হরিতাল[কুদুরী42পেজ] এ কথাটা ইমাম আবু হানীফার নামে বলা হল।কিন্তু ইমাম আবু হানীফার মৃত্যুর 212 বৎসর পর জন্ম নিয়ে কোন সূত্রে আবু হানীফার কথাটা পেলেন লেখক তা বললেন না।অতএব,কথাটা আবু হানীফার তা বিশ্বাস করার কোন প্রমান নেই।
কুদুরীতে লেখা আছে-"যদি কোন ব্যক্তির শরীরে বা কাপড়েএক দিরহাম পরিমান(এক তোলা অর্থাৎ রিয়াদ মিউজিয়ামে রক্ষিত দিরহামকে নমুনা ধরা হয়েছে) রক্ত,মলমুত্র,মদ লেগে থাকে তাহলে তা সহ নামায় পরা জায়েয হবে(কুদুরী 52পেজ)।
এ মাসাঅলাটা কে রচনা করেছেন,তার নাম নাই। অথচ এটা কুরাআনে নাই,হাদীসে নাই,কার কথা তারও নাম নাই।আর এটাই হানাফী মাযহাব।
এ হানাফী মাযহাব চালু হয়েছে ইমাম আবু হানীফার মৃত্যুর (428-150)=278 বৎসর পর।বিশ্বের সকল সহীহ হাদীস সংকলনের বহু বছর পর।
1: পৃথিবীর সর্বপ্রথম সহীহ হাদীসের সংকলন হয় মুয়াত্তা মালিক সংকলিত হয় 179 হিজরীতে। আর কুদুরী লিপিবদ্ধ 428 হিজরীতে।অতএব,কুদুরী মুয়াত্তা মালিকের (428-179)=249 বৎসর পর রচিত হয় ।
2: সহীহ আল বুখারীর (428-256)=172 বৎসর পর।
3: সহীহ মুসলিমের (428-261)=167 বৎসর পর।
4: সুনান আবু দাউদের (428-261)=167 বৎসর পর।
5: সুনান তিরমিযীর (428-279)=149 বৎসর পর।
6: সুনান ইবনু মাজার (428-273)=155 বৎসর পর।
7: সুনান নাসাঈর (428-303)=125 বৎসর পর
অর্থাৎ সিহাহ সিত্তার সংকলনের বহু বছর পর আল মুখতাসারুল কুদুরী হানাফি মাযহাবের কিতাব লিপিবদ্ধ হয়।এই কিতাবে সিহাহ সিত্তার কোন বরাত নেই।
অতএব,হানাফী মাযহাবের সাথে হাদীসেরও কোন সম্পর্ক নাই,তেমন আবু হানীফারও কোন সম্পর্ক নাই। আবু হানীফার নামে সম্পুর্ন এ একটি বানানো মাযহাব।
কেউ বলতে পারেন সিহাহ সিত্তার পুর্বে যে সকল হাদীসের সংকলন ছিল আবুল হাসান কুদুরী তার বরাতে মাসআলাহ লিখেছেন অথবা ইমাম আবু হানীফা তার বরাতে মাসাঅলাহ আবিস্কার করেছেন। তার জবাবে বলব, তাহলে ওই সকল হাদীসের সংকলনের নাম ঠিকানা বলুন পরীক্ষা করে দেখা যাক।আমরাতো কিতাবে কোন হাদীসের সংকলনের নাম ঠিকানা পাই না।
(মুসলমানদের ফিকহ শাস্ত্র লিখিত হওয়া উচিত কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে গবেষণা করে। এভাবে কুরআন ও সুন্নাহ বিরুধী কথা লিখে মুসলিমদের বিভক্ত করা ছাড়া আর কোন ফায়দা হবে না)
এই মাসআলাতে কুরআন আদীসের বিপরীত কিছু থাকলে উল্লেখ করুন, যাতে আমরা সতর্ক হতে পারি।
কুদুরীতে লেখা আছে-"যদি কোন ব্যক্তির শরীরে বা কাপড়েএক দিরহাম পরিমান(এক তোলা অর্থাৎ রিয়াদ মিউজিয়ামে রক্ষিত দিরহামকে নমুনা ধরা হয়েছে) রক্ত,মলমুত্র,মদ লেগে থাকে তাহলে তা সহ নামায় পরা জায়েয হবে(কুদুরী 52পেজ)।
এই মাসআলার ব্যপারেও একই কথা বলবো, কুরআন ও সহীহ হাদীসের বিপরীত কিছু থাকলে অনুগ্রহ করে উল্লেখ করুন, যাতে করে আমরা উপকৃত হতে পারি।
জাযাকাল্লাহ খায়ের।
আজকে, কওমিতে পড়েছে এক ভাইয়ের কাছে শুনলাম, কওমি মাদ্রাসাতে নাকি ছেলেরা অনিরাপদ!!! মেয়েদের মতো!!!!
পুরোই জ্ঞান হীন মূর্খ মানব। দুনিয়ার জ্ঞান আছে দ্বীনের জ্ঞানে মূর্খ আবার নাকি মাদরাসা পড়েছেন। আসলে তখন মাদরাসা না গিয়ে কি আর তার কোন উপায় ছিলো!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন