একটি ঐতিহাসিক- সালাত

লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ১১ জুন, ২০১৫, ১২:২৪:২৮ দুপুর

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আসসালামু আলাইকুম।



খালিদ বিন ওয়ালিদ মুসলিম বিশ্বের এক অপরাজিত কমান্ডার। ১০০ এর উপরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেও কোনো যুদ্ধে পরাজিত

হননি। উপাধি লাভ করেন” আল্লাহর তরবারী” হিসাবে।

হযরত উমার রাঃ খলীফা হয়েই এই মহান মুসলিম প্রধান সামরিক কমান্ডারকে সেনাপতির দায়িত্ব থেকে অপসারণ করেন। কারণ হিসাবে উমার রাঃ বলেন- মানুষের মনে একটা ভুল ধারণা জন্মাচ্ছিলো যে- খালেদের অসাধারণ সমর কৌশল, মেধা, তেজস্বীতা, সিংহের মতো অদম্য সাহস, বাঘের মতো হুংকার, নির্ভিকতা ইত্যাদীর জন্যই খালিদ প্রতিটি যুদ্ধেই অপরাজিত । মানুষের মন থেকে এ ভুল ধারণা মুছে দেয়ার জন্য আমি উমার রাঃ খালিদকে প্রধান সামরিক শাসকের পদ থেকে অপসারণ করলাম।

এ প্রসঙ্গে উইকিপিডিয়া থেকে উমার রাঃ এর একটি কথা কোট করি-

” I want them to know that it is Allah who

give us victory; and there should be no

mischief in the land .

খালিদ বিন ওয়ালিদ খলীফার আদেশ মাথা পেতে নিয়ে সুপ্রীম মিলিটারি কমান্ডারের পদ থেকে একেবারে সাধারণ এক সৈন্যে পরিণত হলেন। মুসলিম কমান্ডারের এতো বড় পদ মুহুর্তেই ছেড়ে দিলেন। কোনো ক্ষোভ নাই, কোনো আক্ষেপ নাই, কোনো দুঃখ নাই। নতুন মুসলিম কমান্ডার হলেন আবু উবায়দা।

৬৩৪ সাল। বায়জান্টাইন সম্রাট হিরাক্লিয়াস আর মুসলিম বাহিনী বর্তমান সিরিয়ার ইয়ারমুক প্রান্তরে মুখোমুখি। সম্রাট হিরাক্লিয়াসের বিশাল সেনাবাহিনী। মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা একেবার হাতে গোনা। খুবই নগন্য। নতুন মুসলিম সেনা প্রধান আবু উবায়দা

ফজরের নামাজ শেষ করেছেন ।নিজেই ইমামতি করলেন। মহান রাব্বুল আলামীদের দরবারে সাহায্য চাইলেন। এরপর বললেন- পরাক্রমশালী বায়জান্টাইন সেনাবাহিনীকে মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত কে? প্রথম একজন মুসলিম ওঠে দাঁড়ালো। আবু উবায়দা বললেন, আপনি বসুন। এবার ২য় জন ওঠে দাঁড়ালেন। আবু উবায়দা বললেন, আপনিও বসুন।

এবার ৩য় জন ওঠে দাঁড়ালে , আবু উবায়দা উনাকেও বসিয়ে দিলেন। এরপর ওঠে দাঁড়ালেন মহান সিপাহশালার খালিদ বিন ওয়ালিদ। আবু উবায়দা এবার খুব খুশী হয়ে বললেন,

আমি মনে মনে চাচ্ছিলাম ,আপনি এ যুদ্ধের নেতৃত্ব দিন। কিন্তু গতকালই ছিলেন আপনি মুসলিম বাহিনীর প্রধান কমান্ডার আর আমি ছিলাম আপনার অধীন। তাই আমি চাইছিলাম না আপনাকে কোনো আদেশ করতে। খালিদ বিন ওয়ালিদ এবার বললেন- হে নবনিযুক্ত মুসলিম বিশ্বের প্রধান সেনাপতি, আমি আপনার আদেশ মাথা পেতে নেবো । আপনি যা বলবেন , তাই

হবে। আপনি প্রধান সেনাপতি, আর আমি এক আগ্গাবহ সৈনিক।

প্রকৃত আল্লাহভীতু, পরহেজগার মুসলিম এক মুহুর্তের জন্যও ক্ষমতার লোভী, পদের লোভী, অর্থের লোভী, দুনিয়ার কোনো

কিছুর মোহে আকৃষ্ট হতে পারেনা। খলীফা উমার রাঃ যা ভালো মনে করেছেন তাই করেছেন। আমি একজন সাধারণ সৈন্য হিসাবেই এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবো। আমার সাথেও কাউকে দিতে হবেনা। প্রজাদের ওপর জুলুমকারী,নির্যাতন কারি, লম্পট

হিরাক্লিয়াসের মোকাবিলায় মহান আল্লাহর মেহেরবানীতে আমি একাই যথেষ্ট। খালিদ বিন ওয়ালিদের জবাবে মুসলিম শিবিরে চরম উৎকন্ঠা বয়ে গেলো। ইয়ারমুকের নদীর তীরে হিরাক্লিয়াসের প্রায় ৬০ হাজার সৈন্য । আর খালিদ একাই তাদের মোকাবিলা করবেন। এ কেমন কথা। খালিদের কি নিজের জীবনের প্রতি কোনো মায়া নেই। জীবন কি এতোই

তুচ্ছ। এতো একেবারে অবুঝের মতো নিজের জীবন স্বেচ্ছায় বিলিয়ে দেয়া। এতো শাহাদাতের তামান্না না। এতো এক

ধরণের আত্মহত্যা।

আবু উবায়দা বললেন, আপনি একাই যাবেন? এর মানে কি?

খালিদ বললেন- হে মহান সেনাপতি। ত্রুটি মার্জনা করবেন? কোনোদিন কি আপনি কোনো কবরস্থানে গিয়েছেন? আবু ওবাইদ বললেন, হ্যাঁ। অবশ্যই গিয়েছি। একা গিয়েছেন কি, কখনো? আবু ওবায়দা বললেন, হ্যাঁ অনেকবার গিয়েছি।

শত, হাজারো মৃত মানুষের কবরস্থানে একা যেতে কি কখনো ভয় পেয়েছেন? আবু ওবায়দা বলেন, না । ভয় পাবো কেন?

মৃত মানুষকে আবার কীসের ভয়? খালিদ এবার হেসে বলেন, একজন নগন্য মুসলিম হিসাবে আমি বিশ্বাস করি, যারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে, যারা শুধুমাত্র আল্লাহকে ভয় করে-তারা হলো জিন্দা। আর যারা শ্রষ্ঠায় বিশ্বাস করেনা, তারা হলো মুর্দা। তাই হিরাক্লিয়াসের সেনা ৬ জন হলেও যা,

৬০০ হলেও তা , ৬০০০ হলেও একই ব্যাপার, ৬০ হাজার হলেও আমার কাছে এর কোনো পার্থক্য নেই। সবাই মুর্দা। একজন জিন্দা মানুষ হয়ে ৬০ হাজার মুর্দার মোকাবিলা

আমি করতে পারবোনা ? আমাকে আদেশ দিন , আমি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এক মুহুর্ত আগেও যদি আমি যু্দ্ধের ময়দানে যাই, তবে এক মুহুর্ত আগে প্রজাদের উপর হিরাক্লিয়াসের জুলুম বন্ধ

হবে। আবু উবায়দা বললেন, আমাদের জান, মাল, ইজ্জতের হেফাজতকারী মহান রাব্বুল আলামীন। কার মৃত্যু কীভাবে লিখা, কোথায় হবে তা কেউ জানিনা। কিন্তু মুসলিম সেনাপতি হিসাবে আমারও দায়িত্ববোধ আছে। আমি চাই, আপনি ৫৯

জন সৈন্য নিয়ে ইয়ারমুকের যুদ্ধের ময়দানে হাজির হোন।

যোহর গড়িয়ে আসর হয়েছে। আসরের ওয়াক্তও প্রায় শেষ হয়ে আসছে। আবু উবায়দা খুবই বিচলিত। আল্লাহই জানেন, যুদ্ধের কী হলো। ৬০ হাজার প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মাত্র

৬০ জন সৈন্য। কেউ কি বেঁচে আছে না সবাই শহীদ হয়ে গেছে। আসরের নামাজের পর দুরাকায়াত নফল নামাজ আদায় করেন। চোখের পানিতে জায়নামাজ ভিজে যায়। আবু উবায়দা ঘোড়ার পিঠে ওঠে কয়েকজন সাথী নিয়ে ইয়ারমুকের যুদ্ধের ময়দানের দিকে রওয়ানা হলেন। গিয়ে দেখেন যু্দ্ধ শেষ হয়েছে। আবু ওবাইয়দা লাশের মাঝখান দিয়ে হাঁটেন আর নিজে একটি একটি করে লাশ উল্টিয়ে দেখেন। এই বুঝি পাওয়া গেলে

খালিদের মৃত দেহ। এই বুঝি পাওয়া গেলো কোনো শহীদের মৃত দেহ। হঠাৎ দেখেন নদী তীরে, আসমানের দিকে দু হাত ওঠিয়ে কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। আবু উবায়দা যা মনে করেছিলেন তাই। গিয়ে দেখেন, এরা সবাই খালিদের সৈন্যদল। আবু উবায়দা প্রথমেই সালাম করেন, আসসালামু আলাইকুম খালিদ জবাব দেন, ওয়ালাইকুমুস সালাম। আবু ওবাইয়াদা বলেন, যুদ্ধের খবরাখবর পরে নিবো। সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে

পড়েছে। আপনারা যুহর আর আসরের নামাজ পড়ে নিন।

খালিদ বলেন, হে সেনাপতি। যুদ্ধের জন্যতো নামাজা কাযা করতে পারিনা। কাফির আর মুসলমানের মূল পার্থক্যই তো

হলো নামাজ। সেই নামাজই যদি কাযা করে ফেললাম, তব কীসের জন্য এতো যুদ্ধ করলাম।

আর শুধু নামাজ পড়েছি যে তাই নয়। যুদ্ধের ময়দানে আযান দিয়ে জামায়াতের সাথে নামাজ পড়েছি। এবং সেই নামাজে

ইমামতিও করেছি। আর আপনার সাথে ফজরের নামাজ শেষ করে যে বের হয়েছিলাম সেই অযুও এখনো আছে। ইনশাল্লাহ এই অযু নিয়ে মাগরিবের নামাজও আদায় করবো। আবু ওবাইয়দা বলেন-আমি বুঝতে পারছিনা। হিরাক্লিয়াসের সেনাবাহিনী আপনাদের নামাজ পড়ার সুযোগ দিলো? খালিদ বলেন, ইয়ারমুকের নব মুসলিমকে সিজদারত অবস্থায় যে হিরাক্লিয়াসের সেনা তলোয়ার দিয়ে মাথা কেটে ফেলেছে। যার সদ্য ভুমিষ্ট নবজাতক সন্তানকে ইয়ারমুকের নদীতে জীবন্ত ভাসিয়ে দিয়েছে। আপনি কি মনে করেন সেই অত্যাচারী জালিম শাসক আমাদের আযান দিয়ে নামাজ পড়ার সুযোগ দিবে?

তাহলে, কীভাবে নামাজ আদায় করলেন? ৫০ জন যুদ্ধের মাঠে ছিলাম বাকি ১০ জন নামাজ পড়েছে। ১০ জন নামাজ শেষ করে যুদ্ধে ফিরে গেছে বাকী ১০ জন নামাজ আদায় করেছে। এভাবে ঠিক সময়েই সবাই যুহর আর আসরের ফরজ নামাজ আদায় করেছি আলহামদুলিল্লাহ । আবু ওবাইয়দা খালিদের কপালে চুমু দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেন। এবার যুদ্ধের কথা বলুন।

আমরা ৫০ জন এখানে আছি। বায়জান্টাইন সেনাদের ৬০ হাজারের মধ্যে অনেকেই মারা পড়েছে। অনেকেই পালিয়ে গেছে।

আবু ওবায়দা বলেন, আর আমাদের বাকী ১০ জন । ওরা কি শহীদ হয়েছে? খালিদ বলেন- নয় জন হয় শহীদ হয়েছে না

হয় যুদ্ধবন্দী হয়েছে।, আবু ওবায়দা বলেন, আর বাকি একজন। খালিদ বলেন, যুদ্ধ শেষ হতে না হতেই যে কাপুরুষ নারীর সম্ভ্রম হানির চেষ্টা করে সে মুসলিম হোক, আর কাফির হোক খালিদের তলোয়ার হতে তার নিস্তার নেই। নিজ তলোয়ারের আঘাতেই তাকে খুন করেছি। সূর্য পশ্চিমা আকাশে লাল বর্ণ ধারণ করেছে। খালিদ মাগরিবের আযান দেন। আর আবু ওবায়দার ইমামতিতে একান্ন জন মানুষ আল্লাহর দরবারে সিজদায় একসাথে মাটি স্পর্শ করেন। মহান রাব্বুল আলামীনের শুকরিয়ায় চোখের পানিতে ভিজে ওঠে ইয়ারমুকের বালুকাময়

প্রান্তর।

(পরিশিষ্টঃ উইকিপিডিয়া থেকে-

যুদ্ধবন্ধী হিরাক্লিয়াসের মেয়েকে

খালিদ সসম্মানে ফিরিয়ে দেন ।

হিরাক্লিয়াস বলেন,’I have come to know

what you have done to my army. You have

killed my son-in-law and captured my

daughter. You have won and got away

safely. I now ask you for my daughter.

Either return her to me on payment of

ransom or give her to me as a gift, for honor

is a strong element in your character. ”

Khalid said to the ambassador:

“ Take her as a gift, there shall be no

ransom ”

আর ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর থেকেই খালিদের ইচ্ছে ছিলো- তিনি শহীদি মৃত্যু বরণ করবেন। কিন্তু তার গায়ে একটি তরবারির আচড় ও লাগেনি। সাধারণ মানুষের মতো তিনি মারা যান। তিনি মৃত্য শয্যায় শায়িত হয়ে বড় আফসোস করে

বলেন- একটা বুড়ো উটের মতো মৃত্যু ভাগ্যই আমার ললাটে জুটলো।-

“I’ve fought in so many battles seeking

martyrdom that there is no spot in my body

left without a scar or a wound made by a

spear or sword. And yet here I am, dying on

my bed like an old camel. May the eyes of

the cowards never rest.—Khalid ibn Walid

(উইকিপিডিয়া থেকে)

বিপ্লবী চে’র জীবনী পড়ে আমি আপ্লুত হই। কিউবা, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া হয়ে পুরো ল্যাটিন আমেরিকা চষে বেড়ানো এক মহান বিপ্লবী। উনার এ জীবন কাহিনী শুনে রোমে, রোমে , শিরায় শিরায় প্রতি কোষে যেন বিপ্লবের আগুন দানা বাঁধা। ঠিক তেমনি ৩০০ স্পার্টানদের অসীম সাহিসকতার গল্প শুনে চমকিত হই। বন্ধু মহলে এসব গল্প যখন করি-তখন আমি এক দারুন প্রগতিবাদি মানুষ। আবার খালিদ

বিন ওয়ালিদের এসব বীরগাঁথা গল্প, ঐতিহাসকি ঘটনা যখন কারো সাথে বলি- তখন ওদের চোখে কেন যেন আর

প্রগতিবাদি হতে পারিনা। নিমিষেই হয়ে যাই এক মুর্খ কাঠমোল্লা!

বিষয়: বিবিধ

১৩৩৮ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

325154
১১ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
হতভাগা লিখেছেন : সুব'হান আল্লাহ ! উনাদের মত এরকম ইমানদারেরাই আল্লাহর সাহায্য পাবার অগ্রাধিকার রাখে ।
১৪ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
267914
নেহায়েৎ লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের ঈমান বৃদ্ধি করে দিন। আমীন।
325155
১১ জুন ২০১৫ দুপুর ০১:০৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ইয়ামুক যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর সংখ্যা ৬০ জন ছিলনা। প্রতিপক্ষের সাথে এত ব্যবধানে কখনও যুদ্ধ হয়নি। ইয়ারমুকের ইতিহাস খুবই প্রসিদ্ধ কিন্তু সৈন্য সংখ্যার এ তথ্যটি সত্য নয়। তবে উপরের ঘটনাটি সত্য। তাদের ঈমান সংক্রান্ত ও আনুগত্য সংক্রান্ত ঘটনাগুলি আলহামদুলিল্লাহ অনুসরনীয়। সাহাবীদের জীবনী অতি উত্তম।
১৪ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
267915
নেহায়েৎ লিখেছেন : জি ঠিক। আমরা যা জানি বেশির ভাগই দেখি ভুল।
325160
১১ জুন ২০১৫ দুপুর ০১:৩৪
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আলহামদুল্লিলাহ। ভাল লাগলো।
১৪ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
267916
নেহায়েৎ লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ।
325166
১১ জুন ২০১৫ দুপুর ০২:১৫
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! ঈমান সংক্রান্ত ও আনুগত্য সংক্রান্ত ঘটনাগুলি আলহামদুলিল্লাহ অনুসরনীয়। সাহাবীদের জীবনী অতি উত্তম।
১৪ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
267918
নেহায়েৎ লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। জি ঠিক বলেছেন।
325175
১১ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:০৪
আবু জান্নাত লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর
১৪ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
267919
নেহায়েৎ লিখেছেন : বারাকাল্লাহুমা ফিকুম।
325205
১১ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
কিছু তথ্যগত ভুল আছে। রোমক বাহিনির অধিনায়ক হিরাক্লিয়াস ছিলেন না ছিলেন তার অন্যতম সেনাপতি বাহান। আর মুসলিম বাহিনির সদস্য সংখ্যাও অনেক বেশি ছিল। রোমক বাহিনির মোট সৈনিক ছিল ৫ লক্ষের মত। এই ঘটনাটি সম্ভবত ইয়ারমুক যুদ্ধের পর রোমক সেনাপতি কে দামিশক এর কাছে ধাওয়া করার সময়। এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনারেল আকবর খান এর "খালিদ বিন ওয়ালিদ" গ্রন্থে আছে।
১৪ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
267923
নেহায়েৎ লিখেছেন : জাঝাকাল্লাহু খাইরান। আসলে যা দেখলাম যা জানি বেশির ভাগই ভুল। আমাদের ভুলটাই শেখানো হয়েছে। আল্লাহ আমাদের সঠিকটা জানার তাওফিক দান করুন।
১৪ জুন ২০১৫ রাত ০৯:০২
268028
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ভাই জেনারেল আকবরের লেখা খালিদ বিন ওয়ালিদ বইতে আপনি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক সূত্র পাবেন।
১৫ জুন ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
268143
নেহায়েৎ লিখেছেন : জি ইনশা আল্লাহ। বইটা কোথায় পাওয়া যাবে ভাই?
১৫ জুন ২০১৫ রাত ১১:৫০
268250
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এখন খুব দুস্প্রাপ্য। তবে বায়তুল মুকাররম এ খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগে প্রকাশ করলেও পরের সংস্করন অন্য কোন প্রকাশনি থেকে প্রকাশিত হয়েছিল।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File