ইবাদত কি?
লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ৩১ মে, ২০১৫, ১২:৫২:১০ দুপুর
ইবাদ হতে আবদ। আবদ অর্থ দাস, বা বান্দা বা গোলাম। যার কাজ হলো গোলামী করা। যেমন- ইবাদুর রহমান বা রহমানের গোলাম। ইবাদতের অর্থ হল- গোলামী করা, দাসত্ব করা, পূজা করা।
ইবাদত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল- চূড়ান্ত বিনয়, আনুগত্য ও বশ্যতা। শরী’আতের পরিভাষায়- প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় যতসব কথা ও কাজ আল্লাহ তা’আলা ভালবাসেন ও পছন্দ করেন, সে সবের একটি সামষ্টিক নাম হল ইবাদত।
তাই যতসব কথাবার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেন যেমন- ছালাত (নামায কায়েম করা), ছিয়াম (রোযা) পালন করা, কুরবানী, নযর-মানত প্রদান করা, যাকাত-ছাদক্বা প্রদান করা, আল্লাহর নিকট প্রার্থনা (দো’আ) করা, আল্লাহকে ডাকা, আল্লাহর প্রতি ভয় ও আশা পোষণ করা, আল্লাহর উপর ভরসা করা, আল্লাহর তাসবীহ (মহীমা) তাহমীদ (প্রসংসা) তাকবীর (মহত্ব) তাহলীল (আল্লাহর একত্ব) বর্ণনা করা, কুরআনে কারীম তিলাওয়াত করা, কুরআন-সুন্নাহতে বর্ণিত ও নির্দেশিত দো’আ ও যিকর-আযকার করা, রাসূল (ছাঃ) -এর প্রতি ছালাত ও ছালাম পাঠ করা ইত্যাদি – এ সব প্রতিটি কাজ হল একেকটি ইবাদত।
তাই যতসব কথা-বার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ অনুসৃত ও রাসূল (ছাঃ) প্রদর্শিত পন্থানুযায়ী একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যে তাঁরই (আল্লাহর) সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে তাঁর (আল্লাহর) প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয় ও সর্বোচ্চ ভালবাসা নিয়ে, তাঁর (আল্লাহর) প্রতি পূর্ণ বশ্যতা ও আনুগত্য প্রদর্শণ পূর্বক তাঁর (আল্লাহর) মহত্বের সম্মুখে অবনত মস্তকে চূড়ান্ত বিনয়ের সাথে ছওয়াবের (আল্লাহর নিকট উত্তম প্রতিদান লাভের) আগ্রহ ও সুদৃঢ় আশা নিয়ে উপরোক্ত যে কোন কর্ম সম্পাদন করাকে আল্লাহর ইবাদত বলে।
বিষয়: বিবিধ
২৪৭৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর বিজ্ঞানহীন মূর্খের বৈশিষ্ট আরো ভয়াবহ। এক দিকে কাল্পনিক আগুনের ভয়। অন্য দিকে খুরমা/খেজুর মদ, বেশ্যা এবং হুরপরী ধর্ষনের লোভ। সার্বিক ভাবে এরা মানুষরুপি পিচাশ।
পরীক্ষামুলক ফটো!!
মুমিনের খুঁজে দেখা উচিত জীবনে আল্লাহর / নফসের/ শয়তানের/ বংশের রসমের/ জাতিপ্রথা কার উবুদিয়া করা হয়?
জাযকাল্লাহু খাইর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন