"বন্দে মাতরম" সংগীত কি?
লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ২৩ মার্চ, ২০১৫, ১০:০১:১৯ সকাল
বন্দে মা'তরম!!!
-
বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে কংগ্রেসদল বন্দে মা'তরম কে জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেছিল। এর রচয়িতা ছিলেন বিখ্যাত মুসলিম বিদ্বেষী লেখক বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাধ্যায়। মুসলিম বিদ্বেষে পরিপূর্ণ তার লিখিত গ্রন্থ 'আনন্দ মঠ' এ এই সংগীতটি রয়েছে। গ্রন্থে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অভিযানকারী একদল সন্তানের মুখ দিয়ে এই সংগীত গাওয়ানো হয়েছে। তাছাড়া এটি দূর্গা দেবীর প্রশস্তি সংগীত হিসেবে রচিত হয়েছিল। লা-শরীক আল্লাহতে বিশ্বাসী কোন মুসলমানই তখন এই সংগীতকে মেনে নিতে পারে নি। সেই সময় দল মত নির্বিশেষে সকল মুসলমান এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিল। কংগ্রেসরা একে জাতীয় সংগীত হিসেবে বহাল রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল। কিন্তু মুসলমানদের প্রতিবাদ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠলে কবি রবীন্দ্রনাথ এটার মিমাংসায় এগিয়ে আসেন। তিনি এই সংগীতের প্রথম চার লাইনকে দূর্গার বন্দনা হিসেবে গ্রহণ না করে দেশ মাতৃকার বন্দনা হিসেবে গ্রহণ করার পক্ষে মত দেন। রবীন্দ্রনাথের এ পরামর্শ কংগ্রেসরা মেনে নিলেও মুসলমানরা এটা মানতে রাজী হলেন না। তারা জানালেন মুসলমানরা তাওহীদবাদী, তারা একমাত্র মহান আল্লাহ তা'আলা ছাড়া কারো বন্দনা বা পূজা করতে পারে না। তাছাড়া এই সংগীত রচনার পিছনে মুসলিম বিদ্বেষের যে যোগ আছে তা মুসলমানরা ভুলে যেতে পারে না। এটা হিন্দুদের জাতীয় সংগীত হতে পারলেও মুসলমানদের জাতীয় সংগীত হতে পারে না কিছুতেই!
(আজ সকালে পড়লাম বৃটিশ বিরোধী আজাদী আন্দোলনে আলেম সমাজের ভূমিকা শীর্ষক বইতে)
বিষয়: বিবিধ
২৮০৯ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিশেষ উতসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টিতে সমবেত গীত/ কোরাসের অবদান সহীহ হাদীসে প্রমানিত!
ইসলামে ভৌগলিক জাতীয়দাবাদের কোন ঠাঁই যদিও নেই; কিন্তু বাস্তবে একটি দেশের মানুষকে একটিমাত্র কম্যান্ডের অধীনে দায়িত্বপালন করতে হয় বলে ঐ জনগোষ্ঠীকে উজ্জীবিত করার মত কোরাস থাকাতে দোষের কিছু আছে বলে মনে হয়না; আল্লহতায়ালাই ভালো জানেন।
বিশেষ উতসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টিতে সমবেত গীত/ কোরাসের অবদান সহীহ হাদীসে প্রমানিত!
ইসলামে ভৌগলিক জাতীয়দাবাদের কোন ঠাঁই যদিও নেই; কিন্তু বাস্তবে একটি দেশের মানুষকে একটিমাত্র কম্যান্ডের অধীনে দায়িত্বপালন করতে হয় বলে ঐ জনগোষ্ঠীকে উজ্জীবিত করার মত কোরাস থাকাতে দোষের কিছু আছে বলে মনে হয়না; আল্লহতায়ালাই ভালো জানেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন