দ্বীনের ব্যাপারে বাপ-দাদার অনুসরণ (ফেসবুকের একজন হতে কপি পেষ্ট)

লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ০৬ জুলাই, ২০১৪, ০২:৫৮:১১ দুপুর



আল্লাহর ওহী মানতে বাপ-দাদার দোহাই

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا إِلَى مَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَإِلَى الرَّسُولِ قَالُوا حَسْبُنَا مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لا يَعْلَمُونَ شَيْئًا وَلا يَهْتَدُونَ

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ যা অবতীর্ণ তার দিকে ও রাসূলের দিকে এসো’, তখন তারা বলে, ‘আমাদের জন্য ওটাই যথেষ্ট, যার উপর আমাদের বাপ-দাদাদেরকে পেয়েছি’। যদিও তাদের বাপ-দাদারা কিছুই জানত না আর হেদায়াতপ্রাপ্ত ছিল না; তবুও কি? আল-মায়েদা, ৫/১০৪

وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا أَلْفَيْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لا يَعْقِلُونَ شَيْئًا وَلا يَهْتَدُونَ

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যাহা নাযিল করেছেন তোমরা তার অনুসরণ কর; তারা বলে, ‘বরং আমরা অনুসরণ করব আমাদের বাপ-দাদাদেরকে যার উপর পেয়েছি’। যদিও তাদের বাপ-দাদারা কিছুই জানত না আর হেদায়াতপ্রাপ্ত ছিল না; তবুও কি? আল-বাক্বারা, ২/১৭০

وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ الشَّيْطَانُ يَدْعُوهُمْ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তোমরা তার অনুসরণ কর, তখন তারা বলে, বরং আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে বিষয়ের উপর পেয়েছি, তারই অনুসরণ করব। যদিও শয়তান তাদেরকে কঠোর শাস্তির দিকে ডাকে, তবুও কি? লুকমান, ৩১/২১

أَفَلَمْ يَدَّبَّرُوا الْقَوْلَ أَمْ جَاءَهُمْ مَا لَمْ يَأْتِ آبَاءَهُمُ الأوَّلِينَ

তবে কি তারা এ বাণী (কুরআন) সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করবে না? নাকি তাদের কাছে এমন কিছু এসেছে, যা তাদের পূর্ব-পুরুষদের কাছে আসেনি? আল-মু‘মিনুন, ২৩/৬৮

>>> বাপ-দাদাদের মতাদর্শের অনুসরণ করতে চায় <<<

وَكَذَلِكَ مَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ فِي قَرْيَةٍ مِنْ نَذِيرٍ إِلا قَالَ مُتْرَفُوهَا إِنَّا وَجَدْنَا آبَاءَنَا عَلَى أُمَّةٍ وَإِنَّا عَلَى آثَارِهِمْ مُقْتَدُونَ

এভাবেই আপনার পূর্বে আমি যখন কোন জনপদে সতর্ককারী পাঠিয়েছি তখন তাদের বিত্তশালীরা বলেছে, ‘নিশ্চয় আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এই মতাদর্শের উপর পেয়েছি পেয়েছি আর অবশ্যই আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ করছি’। যুখরুফ, ৪৩/২৩

>>> বাপ-দাদারা পথভ্রষ্ট হলেও তার অনুসরণ করতে চায় <<<

ثُمَّ إِنَّ مَرْجِعَهُمْ لإلَى الْجَحِيمِ إِنَّهُمْ أَلْفَوْا آبَاءَهُمْ ضَالِّينَ فَهُمْ عَلَى آثَارِهِمْ يُهْرَعُونَ وَلَقَدْ ضَلَّ قَبْلَهُمْ أَكْثَرُ الأوَّلِينَ

অতঃপর অবশ্যই তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জ্বলন্ত আগুনের দিকে। নিশ্চয় তারা তাদের পূর্বপুরুষদেরকে পথভ্রষ্ট পেয়েছিল। তারপরও তারা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণে ধাবিত হয়েছিল। আর নিশ্চয় তাদের পূর্বেও পূর্ববর্তীদের অধিকাংশ পথভ্রষ্ট হয়েছিল। সাফফাত, ৩৭/৬৮-৭১

>>> অশ্লীল/মন্দ কাজে বাপ-দাদার দোহাই <<<

وَإِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً قَالُوا وَجَدْنَا عَلَيْهَا آبَاءَنَا وَاللَّهُ أَمَرَنَا بِهَا قُلْ إِنَّ اللَّهَ لا يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاءِ أَتَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ مَا لا تَعْلَمُونَ

আর যখন তারা কোন অশ্লীল কাজ করে তখন তারা বলে, আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে এসবের উপর পেয়েছি আর আল্লাহ আমাদেরকে এরূপ করতে আদেশ দিয়েছেন; আপনি বলুন, নিশ্চয় আল্লাহ মন্দ কাজের আদেশ দেন না; তোমার কি আল্লাহর ব্যাপারে এমন কিছু বলছ? যা তোমরা জান না। আল-আরাফ, ৭/২৮

>>> ইবাদতে বাপ-দাদার দোহাই <<<

فَلا تَكُ فِي مِرْيَةٍ مِمَّا يَعْبُدُ هَؤُلاءِ مَا يَعْبُدُونَ إِلا كَمَا يَعْبُدُ آبَاؤُهُمْ مِنْ قَبْلُ وَإِنَّا لَمُوَفُّوهُمْ نَصِيبَهُمْ غَيْرَ مَنْقُوصٍ

কাজেই তারা যেগুলোর ইবাদত করে সেগুলোর ব্যাপারে সন্দেহে পতিত হয়ো না। তারা যেগুলোর ইবাদত করে সেগুলো তাছাড়া আর কিছুই নয়, যেগুলোর ইবাদত পূর্বে তাদের পিতৃপুরুষরা করত, আর আমি অবশ্যই তাদের প্রাপ্য অংশ তাদেরকে পুর্ণ্ মাত্রাতেই দেব কোনই কমতি করা হবে না। হুদ, ১১/১০৯

وَإِذَا تُتْلَى عَلَيْهِمْ آيَاتُنَا بَيِّنَاتٍ قَالُوا مَا هَذَا إِلا رَجُلٌ يُرِيدُ أَنْ يَصُدَّكُمْ عَمَّا كَانَ يَعْبُدُ آبَاؤُكُمْ وَقَالُوا مَا هَذَا إِلا إِفْكٌ مُفْتَرًى وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلْحَقِّ لَمَّا جَاءَهُمْ إِنْ هَذَا إِلا سِحْرٌ مُبِينٌ

আর যখন তাদের নিকট আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয়, তখন তারা বলে, ‘এতো এমন এক মানুষ যে তোমাদের পিতৃপুরুষগণ যার ইবাদত করতো তা থেকে তোমাদিগকে বাধা দিতে চায়’; তারা আরও বলে, ‘এটা মনগড়া মিথ্যা ছাড়া আর কিছু নয়’; আর তাদের নিকট সত্য আসার পর যারা অবিশ্বাস করেছে, তখন তারা বলে, ‘এতো সুস্পষ্ট যাদু ছাড়া অন্য কিছুই নয়’। সাবা, ৩৪/৪৩

وَقَالَ الَّذِينَ أَشْرَكُوا لَوْ شَاءَ اللَّهُ مَا عَبَدْنَا مِنْ دُونِهِ مِنْ شَيْءٍ نَحْنُ وَلا آبَاؤُنَا وَلا حَرَّمْنَا مِنْ دُونِهِ مِنْ شَيْءٍ كَذَلِكَ فَعَلَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَهَلْ عَلَى الرُّسُلِ إِلا الْبَلاغُ الْمُبِينُ

আর যারা শিরক করে তারা বলে, ‘যদি আল্লাহ চাইতেন তাকে বাদ দিয়ে কোন কিছুর ইবাদত আমরা করতাম না আর আমাদের পূর্বপুরুষরাও করত না এবং তাঁর হুকুম ছাড়া কোন কিছু হারাম করতাম না’, তাদের পূর্ববর্তীরা এমনই করত; সুতরাং সুস্পষ্ট পৌছিয়ে দেয়া ছাড়া রাসূলের উপর কি কোন দায়িত্ব আছে? আন-নাহল, ১৬/৩৫

>>> বাপ-দাদার দোহাই দিয়ে শিরক করে <<<

سَيَقُولُ الَّذِينَ أَشْرَكُوا لَوْ شَاءَ اللَّهُ مَا أَشْرَكْنَا وَلا آبَاؤُنَا وَلا حَرَّمْنَا مِنْ شَيْءٍ كَذَلِكَ كَذَّبَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ حَتَّى ذَاقُوا بَأْسَنَا قُلْ هَلْ عِنْدَكُمْ مِنْ عِلْمٍ فَتُخْرِجُوهُ لَنَا إِنْ تَتَّبِعُونَ إِلا الظَّنَّ وَإِنْ أَنْتُمْ إِلا تَخْرُصُونَ

অচিরেই যারা শিরক করে তারা বলবে, ‘যদি আল্লাহ চাইতেন তবে আমরা ও আমাদের বাপ-দাদারা শিরক করতাম না আর আমরা কোন কিছুকে হারাম করতাম না’; এভাবেই তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছিল, যে পর্যন্ত না তারা আমার (আল্লাহর) শাস্তি আস্বাদন করেছিল। আপনি জিজ্ঞেস করুন, তোমাদের নিকট কি কোন জ্ঞান আছে? থাকলে তোমরা তা আমাদের নিকট প্রকাশ কর। তোমরা শুধুমাত্র ধারণা অনুমানের অনুসরণ কর আর তোমরা মিথ্যা ছাড়া কিছুই রচনা কর না। আল-আন‘আম, ৬/১৪৮

>>> পরকালে আফসোস করবে <<<

يَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوهُهُمْ فِي النَّارِ يَقُولُونَ يَا لَيْتَنَا أَطَعْنَا اللَّهَ وَأَطَعْنَا الرَّسُولا

যেদিন তাদের চেহারাগুলো আগুনে উলট-পালট করা হবে; সেদিন তারা বলবেঃ ‘হায়! যদি আমরা আল্লাহর আনুগত্য করতাম এবং রাসূলের আনুগত্য করতাম’! আহযাব, ৩৩/৬৬

وَقَالُوا رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلا رَبَّنَا آتِهِمْ ضِعْفَيْنِ مِنَ الْعَذَابِ وَالْعَنْهُمْ لَعْنًا كَبِيرًا

তারা আরও বলবে ‘হে আমাদের রব! নিশ্চয় আমরা আমাদের নেতা ও মুরুব্বিদের আনুগত্য করেছিলাম, ফলে তারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল’। হে আমাদের রব! ‘তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি প্রদান করুন এবং তাদেরকে মহা অভিশাপে অভিশাপ্ত করুন’। আহযাব, ৩৩/৬৭-৬৮

>>>> বাপ-দাদা ঈমানদার হলে তাদের অনুসরণ করতে হবে <<<<<

وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُمْ بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُمْ مِنْ عَمَلِهِمْ مِنْ شَيْءٍ كُلُّ امْرِئٍ بِمَا كَسَبَ رَهِينٌ

যারা ঈমান এনেছে আর তাদের সন্তানরা ঈমানসহ তাদেরকে অনুসরণ করেছে, আমি তাদের সাথে তাদের সন্তানদের মিলন ঘটাব এবং তাদের আমলের কোন অংশই আমি কমাব না, প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়বদ্ধ। আত-তুর, ৫২/২১

(ফেসবুক হতে কপি পেষ্ট)

বিষয়: বিবিধ

১২৭০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

242270
০৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:০৩
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগলো
242376
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৫৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বিদয়াত ও শিরক উভয় ক্ষেত্রেই এর সাথে সংশ্লিষ্টরা বাপদাদার দোহাই দেন। আর যদি বলি তারা ভুল করেছিলেন তা হলে রেগে গিয়ে বলেন যে তার বাপ দাদা দের অপমান করছি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File