ইসলামের দাওয়াত দেওয়া প্রতি মুসলমানের উপর ফরজ
লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ০৪ নভেম্বর, ২০১৩, ০২:৩৩:৩০ দুপুর
সুরা হা-মিম সাজদা (৪১) ৩৩ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – তার চেয়ে উত্তম কোন ব্যাক্তির হতে পারে যে মানুষদের আল্লাহর দিকে ডাক দেয় এবং সে নিজেই নেক কাজ করে এবং বলে আমি তো মুসলমানদের একজন।
মিসকাত শরীফ – সালাউদ্দিন বইঘর -২য় খন্ড – ১৮৯ নং হাদিস -আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী (সাঃ) বলেন তোমরা যদি একটি আয়াত জান তাহলে সেই আয়াত টা মানুষের কাছে পৌছে দাও ।
মিসকাত শরীফ – সালাউদ্দিন বইঘর -১০ম খন্ড – ৫৩১৯ নং হাদিস – সাইদ রাঃ বলেন রাসু্লুল্লাহ (সাঃ) ফরমান কিয়ামতের দিন নুহ (আঃ) কে উপস্হিত করা হবে এবং তাকে জিজ্ঞেস করা হবে , তুমি কি আমার নির্দেশবলী মানুষদের কাছে পৌছেয়েছিলে?তিনি বলবেন হ্যাঁ পৌছেছিলাম হে আমার রব ।তখন তার উম্মতদের জিজ্ঞেস করা হবে,তিনি কি তোমাদের ,আমার নির্দেশ সমুহ পৌছে দিয়েছিলো?তারা বলবে,আমাদের কাছে কোন সতর্ককারী আসেনি।তখন নুহ (আঃ) কে বলা হবে,তোমার সাক্ষ্য কে আছে,উত্তরে নুহ (আঃ) বলবেন মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার উম্মতগন ।রাসু্লুল্লাহ (সাঃ) বলেন ,তখন তোমাদের উপস্হিত করা হবে এবং তোমরা সাক্ষ্য দিবে,অবশ্যই নুহ (আঃ) উম্মতের নিকট আল্লাহর বানী পৌছেয়েছেন।অতপরঃ রাসু্লুল্লাহ (সাঃ) এ আয়াত পাঠ করলেন – আর এভাবেই আমি তোমাদের একটি মধ্যপন্হী উম্মতরুপে প্রতিস্ঠিত করেছি ,যাতে তোমরা মানব জাতির সাক্ষ্য হতে পারো আর রাসুল (সাঃ)তোমাদের জন্য সাক্ষ্য হন।
মিশকাত ৯ম খন্ড – ৪৯১০ নং হাদিস – আবু সাঈদ খুদরী রাঃ বলেন ,রাসুল সাঃ এরশাদ করেছেন তোমাদের যে কেও কোন অপছন্দনীয় কথা বা কর্ম দেখলে সে যেন বলপূর্বক হাত দ্বারা বাধা প্রদান করে।হাত দ্বারা বাধা প্রদান করা সম্ভব না হলে যেন কথার মাধ্যমে বাধা প্রদান করে।এটাও সম্ভব না হলে সে যেন অন্তর থেকে ঘৃনা করে।আর এটিই দুর্বল ঈমান।
সুরা ক্বাছাছ (২৮) ৫৬ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – নবী (সাঃ) তুমি যাকে ইচ্ছা তাকে হেদায়াত দিতে পার না তবে হ্যা আল্লাহ যাকে চান তাকে অবশ্যই তিনি হেদায়াত দান করে।
সুরা বাকারা (২) ২৫৬ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন -দ্বীনের ব্যাপারে কোন জোর জোবরদস্তি নয়।(কারন )সত্য এখানে মিথ্যা থেকে পরিস্কার হয়ে গেছে ।তোমাদের মধ্যে যদি কোন ব্যক্তি বাতিল কে অস্বীকার করে ,আল্লাহর উপর ইমাম আনে ,সে যেন এর মাধ্যমে এক শক্তিশালী রশি ধরলো ,যা কোন দিনই ছিড়ে যাবার নয়,আল্লাহ সব শোনেন এবং জানেন।
সুরা গাসিয়া ২১-২২ -আপনি উপদেশ দিন ,আপনি উপদেশ দাতা মাএ,আপনি তাদের শাসক বা দারোগা নন
সুরা যারিয়াত ৫৫ – আপনি উপদেশ দান করুন , নিশ্চয়ই উপদেশ মুমিনকে উপকৃত করে
মিশকাত -৯ম খন্ড - ৫১৩৮ – নুমান ইবনে বাসীর রাঃ বলেন রাসুল সাঃ বলেচেন আল্লাহর বিধান পালনে অলসতাকারি ও অমান্যকারী দৃষ্টান্ত ঐ লকদের ন্যায় যারা লটারীর মাধ্যমে কেউ জাহাজের উপরে ,কেউ জাহাজের নিছে স্হান পেয়েছে।তাদের মধ্য যারা নিচে রয়েছে , তারা পানি আনার জন্য উপরে গেলে উপরের লোকদের কষ্ট হত।কাজেই নিচের এক ব্যক্তি একটি কুঠার নিয়ে নৌকার তলা ছিদ্র করতে আরম্ভ করল।তখন উপরের লোকজন এসে বলল,তোমার কি হয়েছে?তুমি নৌকা ছিদ্র করছ কেন?সে বলল উপরে পানি আনতে গেলে তোমাদের কষ্ট হয় আর পানি আমার একান্ত প্রয়োজন।এক্ষনে যদি তারা ঐ ব্যক্তিকে নৌকা ছিদ্র করতে বাধা দেয় তবে তারা তাকে এবং নিজেদেরকে রক্ষা করল।আর যদি তাকে নৌকা ছিদ্র করার কাজে ছেড়ে দেয় তবে তারা তারা তাকে এবং নিজেদের ধ্বংস করল
মিশকাত – ৯ম খন্ড – ৪৯১৫ -আবু বকর ছিদ্দীক রাঃ বলেন আমি রাসুল সাঃ বলতে শুনেছি,নিশ্চয়ই মানুষ যখন কোন অপছন্দ কথা বা কর্ম লক্ষ্য করে তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে না ,অচিরেই আল্লাহ তাদের সকলকে শাস্তি দিবেন।অন্য বর্ণনায় যখন কোন সমপ্রদায়ের মাঝে পাপ হতে থাকে এবং প্রতিরোধ করতে সক্ষম ব্যক্তিরা প্রতিরোধ না করে , তখন আল্লাহ সকলকেই শাস্তি দেন।
মিশকাত – ৫১৫২ – জাবির রাঃ হতে বর্নিত তিনি বলে যে রাসুল সাঃ বলেছেন আল্লাহ তা’আলা জিব্রিল কে বললেন ওমুক ওমুক শহর ধ্বংস করে দাও।জিব্রিল বলেন প্রতিপালক তাদের মধ্য এমন এক ব্যক্তি রয়েছেন যিনি এক মূহুর্ত আপনার নাফরমানী করেন না।আল্লাহ বলেন তাকে সহ সকলকে ধ্বংস করে দাও।নিষ্চয়ই তার মুখ আমারা ব্যাপারে এক মূহুর্তও চিন্তিত হয় না।(অর্থাৎ অপরকে দাওয়াত প্রদান করে না)
বিষয়: বিবিধ
১৭৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন