"আক্বীদার গুরুত্ব"
লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ০২ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:৩৩:০৯ সকাল
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ "আমি প্রত্যেক জাতির মধ্যে রসূর পাঠিয়েছি (এই বিধান দিয়ে) যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং (আল্লাহর বিরোধী-সত্ত্বা) ত্বাগূত থেকে বেঁচে থাক।" (সূরাঃআন- নাহাল- আয়াত- ২৬)
কুরআন মাজীদের এই আয়াতটি প্রমাণ করে যে, একমাত্র আল্লাহই সবরকম ইবাদতের যোগ্য। তাই আল্লাহকেই ইবাদতের একমাত্র যোগ্য সত্তা জ্ঞান করা এবং সেই জ্ঞান মুতাবিক কাজেও প্রমাণ দেওয়ার অপর নাম তাওহীদ বা একত্ববাদ। এরই বিপরীত হলো শিরক বা বহুত্ববাদ। শেষ নাবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাবী হবার সময়ে আরবের লোকেরা বহুত্ববাদে ডুবেছিল। তাই তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাবী হবার পর থেকে সুদীর্ঘ তের বছর বছর ধরে আরবের মুশরিকদেরকে শির্কীয়া তথা বহুত্ববাদী ধ্যান ধারণা থেকে মুক্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। আক্বীদাহ বিশুদ্ধ না হলে আমাল বেকার।
তাই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রসূল হবার পর মক্কায় তের বছর থাকা কালীন এবং মদীনায় তাঁর হিজরত করার পরও তাওহীদি আক্বীদাহ সংক্রান্ত আয়াত নাযিল হতে থাকে। সে তুলনায় অমুক কাজ করো অমুক কাজ করো না সংক্রান্ত আয়াত খুব কমই নাযিল হতে থাকে। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, ইসলামে আক্বিদার গুরুত্ব কত!! কিন্তু এই আক্বীদার ফাযিলাতে ফাযায়িলে আক্বীদাহ কিংবা ফাযায়িলে তাওহীদ অথবা ফাযায়িলে ঈমান নামে একটি বইও লেখার প্রয়োজনীয়তা বোধ মনে করেননি ইলিয়াসী তাবলীগ ওয়ালারা।
অথচ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে প্রথম স্তম্ভ হচ্ছে ঈমান তথা তাওহীদি আক্বীদাহ। তাই যার আক্বীদাই নয় শুদ্ধ, তার সব আমালই অশুদ্ধ হতে বাধ্য। কোন অলী বা বুজুর্গের কবরে কোন নাম ও নিশানা না থাকলে সেখানে কোন শির্ক ও বিদ'আতের আশংকা থাকে না। কিন্তু কারো ক্ববরে যদি ঘেরাও বা পাকা হয় তহালে আল্লাহ না করুক ঐ ক্ববর ওয়ালার মৃত্যুর দু'চারশো বছর পরেও সেখানে নজর নেওয়াজ পেশ করা ও সিন্নী বিতরণ, সেজদা দেওয়া প্রভৃতির প্রচলন হতে পারে। এজন্য রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন ক্ববরে সিমেন্ট লাগাতে ও তার উপরে বুনিয়াত গড়তে এবং তার উপর বসতে মানা করেছেন। (মুসলিম, মিশকাত-১৪৮ পৃষ্ঠা)
ইলিয়াসী তাবলীগের বর্তমান কেন্দ্রে দিল্লীর নিজামুদ্দীন মসজিদের ভিতর দিকের পিছনে এক কোণে মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস (রহ.) ও তাঁর পুত্র ইলিয়াসী তাবলীগ জামাতের দুই নম্বর আমীর মাওলানা মুহাম্মদ ইউসূফ (রহ.) এর দুটি ক্ববর এবং আরো দু'টি অন্য ক্ববর রয়েছে। (আকফাতুন মাঅ জামা'আতিত তাবলীগ পৃষ্ঠা-৫৯)
যে মাজারে শির্কীয়া কাজ করা হয়, সেই মাজার কুরআনে বর্ণিত শব্দ ত্বাগুত তথা আল্লাহ বিরোধী সত্ত্বায় পরিণত হয়ে যায়। আল্লাহ না করুন আক্বীদার জ্ঞানহীন ব্যক্তিবর্গ দ্বারা দু'চারশো বছর পরে ইলিয়াসী তাবলীগ কেন্দ্রের উক্ত ক্ববরগুলো ত্বাগুতে পরিণত হবে নাতো? আল্লাহুমা ফাযনা মিনাত ত্বাগুত।
(মুসলমান যতদিন বিদাত এবং শিরক ত্যাগ করে কুরআন এবং সহীহ সুন্নাহর আলোকে জীবন না গড়বে ততদিন মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আশা করা যায় না)
বিষয়: বিবিধ
১৭৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন