রমাযানের হাদিয়া- (পর্ব-০২)

লিখেছেন লিখেছেন নেহায়েৎ ০৮ জুলাই, ২০১৩, ১২:১৪:২৫ দুপুর

বৎসরে বারটি মাস। আল্লাহ তা'আলা আসমান ও যমীন সৃষ্টির শুরু থেকেই এ নিয়ম নির্ধারণ করেছেন।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা বলেন-

''যেদিন আল্লাহ তা'আলা আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, দিন থেকেই আল্লাহ তা'আলার নিকট মাসসমূহের সংখ্যা বারটি। এটা আল্লাহর কিতাবে লিখিত।'' (সূরা আত তাওবা, আয়াত-৩৬)

চন্দ্র বৎসরের বারটি মাসের মধ্যে রমাযান মাসের নামটি অধিক পরিচিত। একমাত্র রমাযান মাসের নামটি কুরআনে মাজীদে এসেছে।

''রমাযান তো সেই মাস যে মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে, যা মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক, হিদায়াতের স্পষ্ট নিদর্শন এবং ফুরকান (সত্য-মিথ্যার প্রভেদকারী) । (সূরা আল বাকারা, আয়াত-১৮৫)

আভিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে রমাযান (রামায) ধাতু হতে এসেছে।

রামায এর অর্থ হলো গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরম অথবা সূর্যের অত্যাধিক উত্তাপ। (মুফদারাতুল কোরআন, পৃষ্ঠা-২০৩)

প্রাচীন ভাষায় এ মাসের নাম ছিল 'নাতিক'। আরবরা পুরাতন নামগুলো পরিবর্তন করার সময় যে মাস যে ঋতুতে পড়েছিল, সে অনুযায়ী নতুনভাবে চন্দ্রমাসগুলোর নাম দিয়েছিল। পুরাতন নাতিক গ্রীষ্মের মধ্যে পড়েছিল। তাই এর নাম দেয়া হয়েছে 'রমাযান'। (কামুস)

অপরদিকে রমাযান মাসে মানুষের পাপসমূহ জ্বলে-পুড়ে ভষ্মীভূত হয়। এজন্য এ মাসকে রমাযান মাস বলা হয়েছে।

(ইনশা আল্লাহ চলবে---)

বিষয়: বিবিধ

২৬২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File