তাবলীগের আখেরী মোনাজাতের সমাপ্তি ও আমাদের প্রত্যাশা
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ আব্দুল হালিম ১৪ জানুয়ারি, ২০১৩, ০২:০০:৪৭ রাত
তাবলীগের আখেরী মোনাজাতের সমাপ্তি। মোনাজাতের কিছু বিশেষ দৃশ্যঃ
১) মোনাজাতে বঙ্গভবন থেকে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মো.জিল্লুর রহমান।
২) গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেন।
৩) টঙ্গীর এটলাস হোন্ডা ভবনের ছাদে বসে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে শরিক হন।
তাবলীগী মোনাজাতের ফজিলতের দিকে মানুষ দিন দিন ঝুকছে। ঝক্কি ঝামেলাহীন অফুরন্ত নিয়ামতের জীবনের শুরু হয় এই মোনাজাতের মাধ্যমে। এ এক এমন নিয়ামত যা কেউ ই হাতছাড়া করতে রাজি না, এই মোনাজাতের ফজিলতে সাপে-নেউলে একঘাটে জল খায়। চির শত্রুপ্রতিম দুই দলকে একই মোনাজাতে নিয়ে আসার এই কৃতিত্ব তাবলীগ জামাতের। অনেক আশাছিলো, কিছু না হলে দোয়ার মাধ্যেমে নির্যাতনের শিকার মুসলিম মা-বোনদের অপমানের জন্য হলেও কিছু কথা বের হবে, এই জামাত থেকে। দেশের ক্ষমতাধর দুই নারীকে মোনাজাতে নিয়ে আসার জন্য হয়তো তাবলীগী ভাইয়েরা বড়ই তৃপ্ত। কারন উনাদের দ্বারাই এটি সম্ভব। তবে উনাদের দ্বারাও এটাও সম্ভব মুসলিম নিপীড়নের কথা ভূলিয়ে আখেরী মোনাজাত করা। এই মোনাজাতের উদ্দেশ্য ই বা কি সেটা বুঝা বড় ই দুঃসাধ্য। যে দোয়া করলে কেউ মন খারাপ করেনা, এনারা সেই দোয়া ই করেন। এমনকি চোখের সামনে মা-বোনদের ইজ্জতের উপর হামলা হলেও এনারা পাশকাটিয়ে যায়।
হাদিস হতে যা জেনেছি, পাপকে মনেমনে ঘৃণা করা হলো, দূর্বলতম ঈমানের পরিচয়। হয়ত এই দূর্বলতার কারনে এনারা নিয়মিত ফিকির করেন, যে ফিকিরে দুই মহিলা নেত্রী শরীক হন প্রতিবছর। আল্লাহ জানেন এনারা এই দূর্বলতা কবে কাটিয়ে উঠবেন।
যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে আন্তর্জাতিন অপরাধ ট্রাইব্যুনালে, অনেকের দাবী এখানে নাকি শুধু ঐ আন্তর্তজাতিক শব্দটিই উপস্থিত সেখানে কোন আন্তর্জাতিক আইনের কোন উপস্থিতি নাই। আমার কাছে এই তাবলীগী জামাতের বাইরের সুন্নতি পোশাক আর এই আখেরী মোনাজাত ছাড়া ঈমানের আইনের তেমন কোন উপস্থিতি আছে বলে মনেহয় না। ঘুনেধরা সমাজে মানুষ অল্পতে বেশতৃপ্তিবোধ করে। গ্রামের মসজিদ গুলোতে গেলে দেখবেন, ঠিকমত ওজু করতে জানেনা কিন্তু পীরের ভক্তির শেষ নাই। সবারই উস্তাদ আছে, সপ্তাহ শেষে হালকা ( মাথা ঝাকিয়ে জিকির করে) করে বাড়ি ফিরে তন্দ্রাছন্ন চোখে মহান আল্লাহর প্রিয়বান্দাদের খাতায় নিজেদের নাম দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়া।
পীরের দরগায় যেমন দ্বীনি শিক্ষায় অনীহাগ্রস্থ ও অশিক্ষিত লোকের সমাগম বেশি। সংসারের প্রতিদিনের ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে দরগায় গিয়ে কলকিতে এক-দুটা টান মেরে ঈমানকে উজ্জীবিত করে পীরের মুরীদেরা। ঠিক তেমনি তাবলীগ জামায়াতের মধ্যে হাদিস-কুরানের তাফসীরের প্রতি অনীহাগ্রস্থ একশ্রেনীর শিক্ষিত ও অশিক্ষিত মিশ্রিত মানুষের সমাগম বেশ লক্ষনীয়।কুরাআন ও হাদীস বিমূখ এসব বিশেষ শ্রেনীর মুসলিমদের কারনে মানুষ সঠিক ইসলাম চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তাবীলীগের ভাইদের কাছে দুঃখিত এমন লিখার কারনে, এরকম লিখার কারন আপনারা নিশ্চয় উপলব্ধি করার কথা। যখন মুসলিম মা-বোনদের ইজ্জতের উপর আঘাত আসে তখন কোন প্রকৃত মুমিন চুপ থাকতে পারেনা। কারন এসব সম্মানিত মা-বোনরাই জন্ম দিবে মুসলিম সিপাহশালারদের।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন, আমাদের আলেম সমাজ ও মা-বোনদের উপর যে অপমান করা হয়েছে সে রকমভাবে অপমানিত করেই যেন জালিম সরকারের পতন ত্বরাণ্বিত করে। (আমীন)
বিষয়: বিবিধ
১১৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন