ডাঃ মীম এবং সালমা ইসলামঃ বাংলাদেশ

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ আব্দুল হালিম ০১ আগস্ট, ২০১৫, ০৪:৫০:৪২ বিকাল

সামাজিক মাধ্যমগুলোতে খবরটি নিয়ে অনেক মাতামাতি চলছে। আমার কাছে ঘটনাটি খুবই স্বাভাবিক মনে হয়েছে। আমরা যখন আমাদের অজান্তেই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেই তখন সেই অন্যায়যে আমাদের দিকে ধাবিত হয়ে আসবেনা এটা আশা করা নিতান্তই বোকামী।

ডাঃ মীম এবং সালমা ইসলাম সমাজের দুটি চরিত্র। এই চরিত্র দুটির মধ্যে একটি চরিত্র সালমা ইসলাম আমাদেরই সৃষ্টি। আমাদের কারো ভোটে তিনি আমাদের মানে সমাজ নিয়ন্ত্রকদের একজন। আমরা যখন নীতিহীন মানুষদের নির্বাচিত করি, যখন ভোটের উল্লাসে শরীক হয়ে আমরা আনন্দে মেতে উঠি তখন হয়ত খেয়াল করিনা এই নীতিহীন মানুষগুলোর নখের আচড় একদিন আমাকে আপনাকে রক্তাক্ত করতে পারে।

প্রতিবাদ করতে হলে, অন্যায়কে সমাজ থেকে দূর করতে হলে অন্যা্য়ের প্রতিবাদে যদি আপন পর ভাবনা তৈরী করেন তাহলে সেটি সমাজ থেকে দূর হবে না। এর শিকার সবাইকেই হতে হবে। আজকে আমি আগামীতে আপনি। কারন নীতিহীন, মানুষরূপী হায়েনাদের চরিত্র একই থাকে। সমাজে আপনার চারপাশের মানুষ গুলো যখন অন্যায়ের শিকার হয়, যখন অন্যায়ভাবে নিরিহ তরুনদের ধরে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার চালানো হয়, যখন ক্রস ফায়ারের নামে কোন মায়ের বুকের সন্তানকে কেড়ে নেয়া হয় তখন আপনি, আমি যদি চুপ করে থাকি, তখন যদি আপনার মানব হৃদয়ে রক্তক্ষরন না হয়, তখন যদি আপনার মনে প্রতিবাদের ঝড় না উঠে, তখন যদি আপনি নিজেকে অত্যাচারীতের একজন ভাবতে না পারেন তাহলে বুঝবেন সেই অন্যায়ের সমর্থকদের মধ্যে আপনি আমিও শামীল। সেই অন্যায়েই বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন সময়ে ছোবল মারছে সমাজের সবাইকে।

সমাজ থেকে অন্যায় দূর করতে হলে অন্যায়কে অন্যায় ভাবতে শিখুন। সব অন্যায় এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিজেদের কলমকে চালু রাখুন। নিজেদের প্রজাতি হলে প্রতিবাদ করবেন অন্য কারো প্রতি অন্যায় হলে চুপ করে থাকবেন তাহলে আপনিও সেই অন্যায়ের নিয়ামকের ভূমিকা পালন করছেন। এগিয়ে আসুন সবার জন্য। রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতার জন্য যারা অন্যায়ভাবে নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তাদের পাশেও দাড়ান। কারন অন্যায় কারীরা একই গোষ্ঠিভুক্ত যখন তারা প্রতিরোধরের সম্মুখীন হয় না তখন তাদের সমর্থক ও সাহস বেড়ে যায় সমাজে অন্যায়ের রাজত্ব কায়েম হয়, বর্তমান বাংলাদেশে সেটিই হয়েছে।

ডাঃ এর মধ্যেও অনেকেই আছে ভূয়া সার্টিফিকেইট ব্যবসা করে। আমি নিজেই এর স্বাক্ষী। পড়াশোনা করে ডাঃ না হয়ে অনেকেই আছে অমানুষ হয় আপনারা যারা ডাঃ চেয়ে নিজেদের মানুষ বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তাদের উচিত এমন ডাঃ দের অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। তাহলে দেখবেন সবাইকে অন্যায়কে ঘৃণা করছে।

যেদিন আমরা মানুষকে মানুষ হিসেবে ভালোবাসতে শিখবো, যেদিন সমাজের সবাইকে একটি পরিবারের সদস্য ভেবে ট্রিট করতে পারবো, যেদিন বিভিন্ন প্রজাতিতে নিজেদের ভাগ করা ভূলে যাবো, সবাইকে এক পরিবারের সদস্য ভেবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিখবো সেদিনই আমরা মানুষ হতে পারবো, সেদিনই সমাজে মানুষের রাজত্ব কায়েম হবে। তার আগে অন্যায়ের প্রতিনিধিদের রাজত্ব চলবে, একটু গুতা খাইতেই হবে, কাউকে কম কাউকে বেশি। আমরা গুতা খেয়ে বড় ই তাই গুতা খাওয়াটা আমাদের অভ্যসে পরিনত হয়েছে। সুতরাং একটু গুতাগুতি না হয় খাই। চেতার কি আছে।

আমাদের মনের যে সুপ্ত অন্যায়গুলো আছে সেগুলোর বহিপ্রকাশ হলো সালমা নামক চরিত্র। সালমারা আর কেউ নন, আমাদের মানুষ স্বত্তার ভেতর যে অন্যায়ের দানব আছে তার বাহ্যিক রূপ মাত্র। কারন সালমাদের আমরাই নেতা বানাই। জয় হোক সালমাদের।

বিষয়: বিবিধ

১৩৮২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

333033
০১ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৫
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ । যুগানতর দালাল
২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:০৫
295218
মুহাম্মদ আব্দুল হালিম লিখেছেন : স্বাগতম

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File