আত্না বা রূহের পুষ্টি
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ আব্দুল হালিম ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১২:৪৮:১২ রাত
গত সপ্তাহে তারবিয়াহ প্রোগ্রামের যে কয়েকটি কথা ভালো লেগেছিলো।
মাওলানা সাইফুদ্দীন সাহেব কথাগুলো বলেছিলেন শরীর এবং নফস (আত্বনা) এর কথা বলতে গিয়ে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষের শরীর তৈরী করেছেন মাটি দিয়ে। আর এই মাটির তৈরী শরীরের জন্য যা পুষ্টি দরকার সেগুলো মাটি থেকেই উতপন্ন হয়। আমরা সেগুলো গ্রহন করে শরীরকে সুষ্থ্য রাখি, মৃত্যুর পর মাটির তৈরী শরীর মাটিতে মিশে যায়।
মজার বিষয় হলো আল্লাহ মানুষের রুহ (আত্না) কে মাটি দিয়ে তৈরী করেননি। আর তাই রুহ (আত্নার) আত্নার জন্য খাদ্য বা পুষ্টি মাটি থেকে আসেনা। শরীরের জন্য যেমন পুষ্টির দরকার হয়, ঠিক তেমনি আত্নার পুষ্টির জন্য দরকার পুষ্টি। আর আত্নার পুষটি আসে জ্ঞান থেকে। আর এক্ষেত্রে ওহীর জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আবার শরীরের পুষ্টির মধ্যে যেমন ভেজাল আছে ঠিক তেমনি আত্নার পুষ্টির মধ্যে ও ভেজাল থাকে। ওহীর জ্ঞানের উপর নির্ভর করেই হয়ত জান্নাতে রুহেরা মর্যাদা লাভ করে। আবার ওহীর জ্ঞানের সাথে সেই জ্ঞানের আমলের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সুতরাং রুহ্ বা আত্নাকে সুষ্থ ও সবল রাখতে হলে ওহীর জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আত্নাকে সবল না রাখতে পারলে নফসের খায়েসের কাছে পরাজিত হতে হয়, এভাবে বার বার পরাজয়ের ফলে নফসের গোলামী করে যেতে হয়। ফলে রুহ বা আত্না তার জান্নাতী মর্যাদা হারিয়ে ফেলে। মানুষ ভাল-মন্দের বিচারবোধ হারিয়ে ফেলে।
প্রত্যেকটি মানুষের জন্য রুহ্ বা আত্নার সুস্থ্যতার জন্য ওহীর জ্ঞান অর্জন করা খুবই জরূরী। রুহ্এর সূস্থ্যতা মানুষের জীবনে শান্তি নিয়ে আসে এবং মানুষ কল্যান লাভ করে।
প্রশ্ন হতে পারে তাহলে জ্ঞানের উতস ই বা কি?
জ্ঞানের উতস হলো আল-কুরআনের জ্ঞান বা ওহীর জ্ঞান। আল্লা রাব্বুল আলামিন সর্ডজ্ঞানী তিনি জ্ঞানের আধার। সুতরাং জ্ঞানের উতস হলো আল্লাহর দেয়া জ্ঞান। সুতরাং এখানে সন্দিহান হওয়ার কিছুই নেই যে, বিজ্ঞানের চর্চাও একটি আল্লাহর দেয়া জ্ঞানের মধ্যে ই পড়ে। তবে সেই জ্ঞানের চর্চার সফলতা নির্ভর করে বিজ্ঞানকে আমরা কোন কাজে ব্যবহার করছি।
আসুন আত্নাকে সু্স্থ্য রাখার জন্য এবং আত্নার পরিশুদ্ধির জন্য আমরা ওহীর জ্ঞান অর্জন এবং তার চর্চা করি।
বিষয়: বিবিধ
১১০৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন