ইসলামে বন্ধু নির্বাচন সম্পর্কিত কুরআনের কতিপয় আয়াত

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ আব্দুল হালিম ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০২:০২:৩০ রাত

"হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন।" সূরা আল-হুজুরাতঃ১৩

“শপথ প্রাণের এবং যিনি তা সুবিন্যস্ত করেছেন, তাঁর, অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন, যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়। এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।” সূরা আশ-শামসঃ৭-১০

"জালেম সেদিন আপন হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আফসোস! আমি যদি রসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম। হায় আমার দূর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।" সূরা আল-ফুরকানঃ ২৬-২৯

"বন্ধুবর্গ সেদিন একে অপরের শত্রু হবে, তবে খোদাভীরুরা নয়।" সূরা আয-যুখরুফঃ ৬৭

"হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের চিন্তা কর। তোমরা যখন সৎপথে রয়েছ, তখন কেউ পথভ্রান্ত হলে তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নাই। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে বলে দেবেন, যা কিছু তোমরা করতে।" সূরা আল-মা´ইদাঃ১০৫

"যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।" সূরা আল-মুজাদিলাঃ ২২

"আর পাপিষ্ঠদের প্রতি ঝুঁকবে না। নতুবা তোমাদেরকেও আগুনে ধরবে। আর আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন বন্ধু নাই। অতএব কোথাও সাহায্য পাবে না।" সূরা হূদঃ ১১৩

"আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তায়ালা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।" সূরা আত-তওবাঃ ৭১

"হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।" সূরা আল-মা´ইদাঃ ৫১

"তারা কি জাহেলিয়াত আমলের ফয়সালা কামনা করে? আল্লাহ অপেক্ষা বিশ্বাসীদের জন্যে উত্তম ফয়সালাকারী কে?" সূরা আল-মা´ইদাঃ ৫০

"আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তায়ালার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।" সূরা আন-নিসাঃ১৪০

"হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও। দেখ! তোমরাই তাদের ভালবাস, কিন্তু তারা তোমাদের প্রতি মোটেও সদভাব পোষণ করে না। আর তোমরা সমস্ত কিতাবেই বিশ্বাস কর। অথচ তারা যখন তোমাদের সাথে এসে মিশে, বলে, আমরা ঈমান এনেছি। পক্ষান্তরে তারা যখন পৃথক হয়ে যায়, তখন তোমাদের উপর রোষবশতঃ আঙ্গুল কামড়াতে থাকে। বলুন, তোমরা আক্রোশে মরতে থাক। আর আল্লাহ মনের কথা ভালই জানেন। তোমাদের যদি কোন মঙ্গল হয়; তাহলে তাদের খারাপ লাগে। আর তোমাদের যদি অমঙ্গল হয় তাহলে আনন্দিত হয় আর তাতে যদি তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে তাদের প্রতারণায় তোমাদের কোনই ক্ষতি হবে না। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে সে সমস্তই আল্লাহর আয়ত্তে রয়েছে।" সূরা আল-ইমরানঃ১১৮-১২০

"মুমিনরা তো পরস্পর ভাই-ভাই। অতএব, তোমরা তোমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা করবে এবং আল্লাহকে ভয় করবে-যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।" সূরা আল-হুজুরাতঃ১০

বিষয়: বিবিধ

১২৫৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

260606
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:০৯
ভিশু লিখেছেন : এই আয়াতটিও মনে হয় এখানে প্রাসঙ্গিক:
নিজের অন্তরকে তাদের সঙ্গলাভ করে প্রশান্ত রাখো - যারা তাদের প্রতিপালকের সন্তুষ্টির সন্ধানে সকাল-সাঁঝে তাঁকে ডাকে! আর পার্থিব সাজ-সজ্জা-চাকচিক্য-ভোগ-বিলাস কামনা করে তাদের থেকে নিজের দৃষ্টি কখনোই ফিরিয়ে নিবে না!

আর এমন কোনো লোকের কথা শুনবে না - যার অন্তরকে আমরা আমার স্মরণ থেকে অমনোযোগী-তাচ্ছিল্যকারী করে দিয়েছি, যে নিজের প্রবৃত্তির কামনা-বাসনার অনুসরণ করে এবং যার চালচলন কখনো উগ্র, কখনো উদাসীন-নির্লিপ্ত!
[সুরা আল-কাহফ: ২৮]
260623
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:১১
মুহাম্মদ আব্দুল হালিম লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ ভাই
260637
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:০২
আজিম বিন মামুন লিখেছেন : অনেক উপকারী একটা পোষ্ট ছিল।আল্লাহ লেখক ভাইকে উত্তম প্রতিদান দিন।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:১৪
204328
মুহাম্মদ আব্দুল হালিম লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ
260667
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:৩৯
মাহফুজ আহমেদ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
260789
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৩
আফরা লিখেছেন : মুহাম্মদ আব্দুল হালিম ভাইয়া এরকম পোষ্ট আরো বেশী বেশী চাই ।যাতে আমরাও কিছু শিখতে পারি আর সদকায়ে জারিয়া হিসাবে আপনার আমলেও কিছু যোগ হয় ।

অনেক ধন্যবাদ মুহাম্মদ আব্দুল হালিম ভাইয়া ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
204675
মুহাম্মদ আব্দুল হালিম লিখেছেন : ইনশাল্লাহ
319341
১১ মে ২০১৫ রাত ০২:২৯
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File