বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ এবং আমাদের করনীয়।

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ আব্দুল হালিম ২০ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:৪১:০৭ রাত

কোন রকম ভূমিকা ছাড়াই শুরু করলাম।

চারপাশে ভারত ঘেষা তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশে ইসলামী আন্দোলন কতটুকু সফল হতে পারে তার ব্যাখ্যা না হয় নাই দিলাম। কিন্তু কথা হলো বিদ্যমান ইসলামী দলগুলোর দ্বারা ইসলামী আন্দোলন এবং রাজনীতিতে সফলতা কতটুকু??

ইসলাম এবং রাজনীতি সমন্বয়ে গড়া পলিটিক্যাল ইসলাম আর ইসলামী আন্দোলনের মধ্যে অন্তর্নিহিত কিছু পার্থক্য বিদ্যমান যার কারনে বিদ্যমান ইসলামী দলগুলোর দ্বারা যেমন দ্বীন প্রতিষ্ঠা পুরোপুরি নাও হতে পারে, ঠিক তেমনি রাজনীতিতে সফলতাও সম্ভব নয়। প্রথমে বিদ্যমান কিছু সমস্যা তুলে ধরা যাক।

১) বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ। যেখানে দাতা দেশের সাহায্যর উপর নির্ভর করে দেশের মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হয় সেখানে দাতা দেশের সাথে সমন্বয় রক্ষা না করে কিভাবে দেশের ক্ষমতায় আরোহন করা সম্ভব বা ইসলামী আন্দোলনের অগ্রনী দলগুলোর রাজনীতিতে টিকে থাকা সম্ভব?

২) যেসব ইসলামী দলের রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকা নির্ভর করে পশ্চিমা ইসলাম বিরোধী শক্তিগুলোর উপর সেসব দলের পক্ষে দ্বীনের প্রতিষ্ঠা কতটুকু সম্ভব?

৩) চরম ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী ভারতঘেষা একটি ছোট দেশে বিদ্যমান পলিসী নিয়ে রাজনীতির ময়দানে জয়ী হওয়া বা টিকে থাকা কতটুকু সম্ভব?

৪) উপরের সবগুলো প্রতিবন্ধকতার সাথে আপোষ করে ইসলাম নীতির সাথে আপোষ করে কিভাবে টিকে থাকা সম্ভব বা কিভাবে ইসলামী আন্দোলন করা সম্ভব?

তাহলে সম্ভাবনা দুটো

১) হয় ইসলামের সাথে বা ইসলামী বিধানের সাথে আপোষ করে রাজনীতি করে ক্ষমতায় যাওয়ার লড়াই করতে হবে, সেক্ষেত্রে ইক্বামাতে দ্বীনের যে লক্ষ্য সেটা অনেকটাই বিচ্যুত হবে। এবং ইসলাম বিবর্তিত হয়ে মডারেট ইসলাম মানুষের কাছে উপস্থাপিত হবে, পশ্চিমা শক্তি সেটাতে খুশি থাকবে, দেশের জনগন ও ধীরে ধীরে সেই ইসলামের মধ্যে নিজেদেরকে খুজে পাবে । ফলে হাইব্রিড মুসলিম জেনারেশন তৈরী হবে।

২) কারো সাথে আপোষ না করে ইসলামের প্রতিষ্ঠায় নিজেদের লক্ষ্য ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান ইসলামী আন্দোলনের ধারনা থেকে সরে এসে নিজেদের ঈমানীয়াত এবং আধ্যাত্নিক উন্নতিতে বেশি করে গুরাত্বারোপ করতে হবে। এটি করতে গেলে রাজনীতির ময়দান থেকে হয়ত একটু দুরে সরে যেতে হবে, কিন্তু এটিতে আল্লাহর সাহায্য ও সহযোগিতা বেশি পাওয়া ভালো মুমিন বান্দারা দ্বীনের খেদমতে আরো বেশি নিয়োজিত হবে। কিছু না হোক, ইসলামের আসল রূপ মানুষের কাছে পৌছানো যাবে।

আর যদি বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে তাহলে কি ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব?

উত্তর হলো বর্তমান পলিসী দিয়ে একদিকে যেমন রাজনীতির ময়দানে সফল হওয়া অনেক কঠিন ঠিক তেমনি ইক্বামাতে দ্বীনের ক্ষেত্রে সফলতা আশা করাও তেমনি কঠিন।

কঠিন দুভাবে——–

১) রাজনীতির ময়দানে টিকে থেকে ক্ষমতায় যেতে পারলেও ইসলামের মূল চেতনা অনেকটা নষ্ট হয়ে যাবে, যদিও ক্ষমতায় যাওয়া যায় তারপর ও মানুষের মধ্যে রাজনীতি ভর করে থাকার ফলে এতো দিনের ধরে আসা কিছু খারাপ অভ্যস মানুষের বৈশিষ্ট্য রূপ নেবে ফলে, সাম্য ও ন্যায় বিচারে অনেকটা অন্যায় ও অনিয়ম দেখা দিবে।

২) পরনির্ভরশীল দেশ হয়ে দাতা দেশের সাথে বিরোধীতা করে ক্ষমতায় টিকে থাকা মিশরের দিকে তাকালেই বুঝা যায় কতটুকু সম্ভব।

তাহলে উপায়??

১) রাজনীতি এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে আলাদা করে ফেলতে হবে। কারন—

ক) বিদ্যমান পলিসীতে রাজনীতি বেশি গুরুত্ব পাওয়ার কারনে ইসলামের চর্চা বা আমলিয়াতের মধ্যে অনেক কমতি দেখা দিচ্ছে বা দিবে, রাজনীতি বা দলীয় স্বার্থ মূখ্য হয়ে উঠার কারনে অনেক সময় আল্লাহর সন্তুষ্টির অনুপস্থিতিকে সাংগাঠনিক লাভের সাথে আপোষ করা হবে। ফলে আল্লাহর রহমত ও বরকত থেকে কিছুটা বঞ্চিত হতে হবে।

খ) এভাবে চলতে থাকলে নতুন প্রজন্ম বিদ্যমান রাজনীতি চর্চাকে মূল ইসলাম মনে করবে। ফলে একটি হাইব্রিড জেনারেশন তৈরী হবে। পরে কোনভাবে ক্ষমতায় যেতে করতে পারলেও। এসব তরুনদের মূল ইসলামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। ফলে ইসলামের নতুন সংজ্ঞা বা নতুন ধারা তৈরী হবে।

২) রাজনীতিকে দেশের মানুষের মন মানসিকতা এবং ইসলামী মেজাজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, স্বচ্ছ ইমেজের তরুন, শিক্ষিত নেতাদের নিয়ে একটি গনমূখী রাজনৈতিক দল গঠন করতে হবে। রাজনৈতিক দলের মধ্যে সাধারন মানুষের প্রবেশ উন্মুক্ত করে দিতে হবে। সকল শ্রেনীর মানুষের মধ্যে রাজনীতির প্রসারে কাজ করে যেতে হবে।

৩) ইসলামী আন্দোলনকে টিকিয়ে রাখার জন্য রাজনৈতিক দলের সাথে বা ছায়া সংগঠন হিসেবে একটি আধ্যত্নিক দল বা গ্রুপ তৈরী করতে হবে যারা ইসলামের কঠোর বিধি নিষেধ এর উপর নিজেদের কায়েম রাখবে এবং যাদের দায়িত্ব হবে তাক্বওয়াবান মুমিন তৈরীর কাজ করে যাওয়া। ইসলামের দাওয়াত, ইসলামের প্রসারে তারা নিয়োজিত থাকবে। এবং এই গ্রুপটি মানুষের সামনে একটি দাওয়াতি ও গবেষনা সংগঠন হিসেবে পরিচিত লাভ করবে।

এসব করতে পারলে একদিকে ইসলামের মূল চেতনা টিকে থাকবে। ইসলামের কাজ হবে, অপরদিকে রাজনীতর ময়দানে ইসলামের বিরোধী মনোভাবের দল বা গোষ্ঠির বিরুদ্ধে জয়লাভ সহজ হবে।

ইসলাম বিদ্বেষী ভারত এবং পশ্চিমা কোন গোষ্ঠী খুব সহজে চাইবে না যে তাদের উপর নির্ভর করে কোন দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হোক। এরকম বুঝে কেউ যদি চলে তাহলে চরম ভূল হবে। কারন সময় আসলেই যারা সমর্থন দিবে তারাই গোপনে ইসলামিষ্টদের নিধনে কৌশল অবলম্বন করবে। সুতরাং আল্লাহর উপর ভরশা রেখে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। কোন তাড়াহুড়া করে দ্বীন প্রতিষ্ঠা বা ক্ষমতা লাভ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাব অনেকটা দুঃস্বপ্নের মত দেখা দিবে। তাই সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তই পারে আগামীর বিজয় ছিনিয়ে আনতে।

বিষয়: বিবিধ

২৩৪০ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

164728
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:০৫
সাদাচোখে লিখেছেন : অবশ্যই একটি ভাল প্রস্তাব। এর সাথে আমার ব্যক্তগত চিন্তা টা এভাবে আসছে।

আমার মনে হয় বর্তমান অবস্থায় ইসলামের জন্য সত্যিকার কাজ করা ক্যাপাবল নেতৃত্ব - কতটা সাকসেসফুলি স্ট্রাটেজিক্যাল পরিবর্তন তাদের কার্যক্রমে আনতে পারবেন - বিশেষ করে যখন তাদেরকে দৌড়ের উপর রাখছে ইসলাম বিদ্বেষী শক্তিরা।

এর প্রকোপ কমাতে আমার মনে হয় - ক্যাপাবল জুনিয়র লিডারশিপদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত ইসলাম বিদ্বেষীদের কে ব্যস্ত করার জন্য এমন কিছু বৈচিত্রময় কার্যক্রম নেবার - যেখানে ইসলাম বিদ্বেষী মানুষগুলো কনটিনিউ পরিকল্পনা করতে বাধ্য হবে এবং বাদ দেবে এবং ব্যস্ত থাকবে এবং ভীত সন্ত্রস্থ হবে - বিশেষ করে ঐ সব ইসলাম বিদ্বেষীদের কে দৌড়ের উপর রাখতে হবে যাদের কাছে এই পৃথিবীটাই সব।

আর নিবেদিত প্রান কিছু মানুষ ইসলামী দল গুলোর মধ্্যে কোরান ও হাদীস কে কেন্দ্র করে নূন্যতম সমঝোতার ভিত্তিতে একটা কমনপ্লাটফর্ম তৈরী করতে সচেষ্ট হবে।
২১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০৩
119280
মুহাম্মদ আব্দুল হালিম লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো কথা বলেছেন
164735
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:২৪
অনুরণন লিখেছেন : * পলিটিক্যাল ইসলাম আর ইসলামি আন্দোলনের অন্তর্নিহিত পার্থক্যগুলো বললে প্রস্তাবনা বুঝতে সুবিধা হতো, যেহেতু পরবর্তী রিজনিং গুলো এর উপর ভিত্তি করেই করেছেন।

* দাতাদেশ শব্দটাই বিভ্রান্তিকর। বাংলাদেশ দানের উপর নির্ভরশীল নয়। কিছু বানিজ্যিক ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অগ্রাধিকার পায়, সেগুলি তুলে নিলে ডেফিনিটলি ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। তবে পাশ্চাত্যের ক্ষমতাধর দেশগুলির সাথে ক্যাচালে যাওয়াটা অপ্রয়োজনীয়।

* ইসলামী বিধানের ক্রমবাস্তবায়ন আর আপোষকামীতা দুইটা এক বিষয় না।

* মিশরের মুরসী সরকারের পতনের সাথে দাতা/গ্রহীতার সম্পর্ক ঠিক কতটুকু? এমেরিক্যান এইডের (এর বড় একটা অংশ কন্সালটেন্সি আর ট্রেইনিং আর ইকুইপমেন্ট বাবদ খরচ হয়,যেটা ঐদিকেই ফিরে যায়)পরিমান দেড় বিলিয়ন, সেটা মিসরের জিডিপির ঠিক কতভাগ? মুরসী সরকারের পতন মানেই ইখওয়ানের পতন না। ইখওয়ান এর থেকে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার খুব একটা আশা করেনি বলেই মনে হয়।

* "একটি আধ্যত্নিক দল বা গ্রুপ তৈরী করতে হবে যারা ইসলামের কঠোর বিধি নিষেধ এর উপর নিজেদের কায়েম রাখবে এবং যাদের দায়িত্ব হবে তাক্বওয়াবান মুমিন তৈরীর কাজ করে যাওয়া।"

আহলে হাদীস আন্দোলন বাংলাদেশের ইসলামপন্থী মানুষদের সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটা করেছে তা হচ্ছে বড় একটা জনগোষ্ঠির মাঝে 'তাকওয়া = কঠোরতা' এই ধারণাটা বদ্ধমুল করে দেয়া। এই ধারতেই পলিটিক্যাল ইসলাম/ ইসলামি আন্দোলন এইসব বিভাজন তৈরী হয়, এই ধারাতেই 'রাজনীতি কলুষিত তাই আধ্যাত্নিকতা আর রাজনীতিকে আলাদা করা'র সবক দেয়া হয়, এই ধারাতেই ইসলামের ক্রমবাস্তবায়ন আর আপোষকামিতাকে এক করে ফেলা হয়।



২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
118964
আহমদ মুসা লিখেছেন :
দাতাদেশ শব্দটাই বিভ্রান্তিকর। বাংলাদেশ দানের উপর নির্ভরশীল নয়। কিছু বানিজ্যিক ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অগ্রাধিকার পায়, সেগুলি তুলে নিলে ডেফিনিটলি ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। তবে পাশ্চাত্যের ক্ষমতাধর দেশগুলির সাথে ক্যাচালে যাওয়াটা অপ্রয়োজনীয়।

একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ইংগিত করেছেন। আসলে দাতাদেশগুলো আমাদের কি পরিমাণ দেয়? তাদের দান অনুদানগুলো আমাদের কতটুকু প্রয়োজনীয়? তার বিনিময়ে কি পরিমাণ শোষণ করে? তার মহুমূখী হিসেব নিকেশ করা জরুরী। দাতাদের দান থেকে আমরা ঠিক কি ধরনের লাভবান হচ্ছি? এই লাভবান হওয়াটা আমাদের দেশ ও জাতির সকীয়তা বজায় রেখে সুষ্ঠু বিকাশের ক্ষেত্রে কতটুকু সহায়ক? আমার মনে হয় আমাদের অভ্যন্তরিণ মেনেজমেন্ট ও সুষ্ঠ বন্টননীতি না থাকাটা হচ্ছে এক নাম্বারের ঘাটতি। যতটুকু আছে তাও নীতিনৈতিকতাহীনদের করায়ত্ব।
164737
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৪২
মুহাম্মদ আব্দুল হালিম লিখেছেন : আপনার প্রশ্ন গুলো গুরত্বপূর্ণ ব্যাখ্যার প্রয়োজন,আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলো দুদিন পরে পাবেন। একটু বলে নেই, আসলে আমি একটি বড় লিখা লিখতে গিয়ে পরে কিছু বাদ দিয়ে ছোট করে, আমার ব্যক্তিগত ব্লগে পোষ্ট করি, পরে এক ভাই এখানে পোষ্ট করতে বলায় সেভাবেই এখানে দেই।
"দাতা" লিখাটার স্থানে আমি নির্ভরশীলতাকে বেশি গ্রহনযোগ্য মনে করবো, সেভাবে আমি আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব।
মিশরের বিষয়টি আসলে ওখানে ঐভাবে দেয়ার ইচ্ছে ছিলোনা। প্রথম যখন লিখাটা শুরু করি তখন আমি পলিটিক্যাল ইসলামের কিছু বিষয়ের সাথে দ্বিমত পোষন করছিলাম সেখান থেকে মূলত মিশরের বিষয়টি চলে আসে, কারন ভারতীয় উপমহাদেশে পলিটিক্যাল ইসলাম আর মিশরের পলিটিক্যাল ইসলাম একই সূত্রে গাথা।
আমি অবশ্যই আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করব। আপনার সাথে আমার মত মিলতে হবে, এমন কোন কারন নেই, মানুষের চিন্তা একই নাও হতে পারে।
পলিটিক্যাল ইসলাম আর ইসলামী ম্যুভমেন্টের মধ্যে আমার দৃষ্টিতে কিছু পার্থক্য ধরা পরে বা আমি একটু অন্যভাবে চিন্তা করি, আমি সেই জিনিসটি বলেছি। একটু বলে নেই, ম্যুভমেন্ট এবং পলিটিক্স দুটো জিনিসকে আমি দুভাবে চিন্তা করি, আমি চিন্তা ভূল হতে পারে কিন্তু একটু অন্যভাবে চিন্তা করি। আমি সেটি নিয়ে পরে ব্যাখ্যা করব।
আহলে হাদিস নিয়ে আমার কোন ধরনের স্টাডি নেই। তাই আমার চিন্তায় আহলে হাদিসকে টেনে আনলে ধারনাবশত ভূল চিন্তা করা হবে। আর বেসিক্যালী আমি যে লিখাটা দিয়েছি এটা আমার খুবই ব্যক্তিগত চিন্তা থেকে দিয়েছি। সংগঠনকে আমার মত হতে হবে বা অন্যকে আমার সাথে একমত পোষন করতে হবে এমনটা ভাবা হয়ত ঠিক না।

ইসলামী বিধানের ক্রম বাস্তবায়ন এবং আপোষকামীতা ঠিক না কথা টা ঠিক। কিন্তু সেই ক্রমবাস্তবায়নটার মধ্যেই সমস্যা। আপনার এই যুক্তিটির সাঠে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করব। কেন করব সেটিও ব্যাখ্যা করব। তবে আমি সাধারনভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব। যাতে কেউ আবার ভূল ধারনা করে না বসে যে, আমি সংগঠনের বিরোধীতা করছি।
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
সাদাচোখে ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩৪
118920
অনুরণন লিখেছেন : ১। কোন বিষয়ে একমত হতে হবে এমন কোথাও বলেছি বলে মনে পড়ছেনা।

২। আপনাকে আহলে হাদীস মনে করিনা।

৩। সংগঠন বিরোধীতা মনে হলেও সমস্যা নেই, নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আলোচনা চালু থাকা দরকার।

৪। পরের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম Happy
২১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০২
119279
মুহাম্মদ আব্দুল হালিম লিখেছেন : ইসলামি আন্দোলনঃ
আমি কোন ফরমাল ডেফিনেশনে না গিয়ে সংক্ষেপে যেটি বলবো সেটি হলো, ইসলামী অনুশাসনকে কায়েম রেখে, বা ইসলামী বিধান সমূহ অক্ষুন্ন রেখে, আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে কোন কিছুকে আপোষ না করে, বা কৌশলের নামে ইসলামের মৌলিক বিষয় গুলোর সাথে আপোষ না করে ইক্বামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রেচেষ্টা। ইসলামি আন্দোলনকে রাজনীতির সাথে জড়ালেও নিজেদের মধ্যে বা দ্বীন প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিদ্যমান দল সমুহের মধ্যে ইসলামী বিধান সমুহের সঠিক বাস্তবায়নের চর্চা অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা করা হয় বা অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

পলিটিক্যাল ইসলামঃ
ইসলামী পলিটিক্স বা অন্য কথায় পলিটিক্যাল ইসলাম বলতে আমার কাছে যেটি মনেহয়, বা বিদ্যমান পলিটিক্যাল ইসলামকে দেখে যা মনেহয় সেটি হলো, ক্ষমতার অর্জনের মাধ্যমে ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা।
পলিটিক্যাল ইসলাম শব্দটি যখন ব্যবহার করা হয়, তখন সমাজে বিদ্যমান রাজনীতির সাথে কিছুটা আপোষ মূলক চিন্তা মাথায় রাখা হয়, অথবা আধুনিক রাজনীতির কিছু কৌশলকে রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকার জন্য আবশ্যকীয় মনে করা হয়, যদিও তা ইসলামী অনুশাসনের বিরুদ্ধে চলে যায়। এখানে ক্ষমতার আরোহন কে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাকের মৌলিক পরিবর্তনের লক্ষ্য রেখে কাজ করা হয়, ফলে পরিকল্পিত রাজনীতি করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে ইসলামী অনুশাসনের ঘাটতিকে সংগঠনের প্রয়োজনে এড়িয়ে যাওয়া হয়, বা প্রয়োজন মনে করা হয়, অথচ ইসলামে অন্যায়কে আপোষ করার হয়ত কোন বিধান নেই। ইসলামী দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা করা যদি মানুষের দ্বায়িত্ব হয়ে থাকে তাহলে সেটিকে যেকোন উপায়ে প্রতিষ্ঠার করার ফলে একটি জিনিস ই মনেহয় সেটি হলো, আমরা দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে দ্বীন ই থাকবেনা তাই আমরা দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে রাজনীতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে যখন আন্দোলন সংগ্রামে লিপ্ত হই বা রাজনীতির ময়দানে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে থাকি তখন একদিকে আমরা মানুষের অধিকার নষ্ট করে থাকি, অপরদিকে আমরা রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকার জন্য আল্লাহ ও ইসলামের দুষমনদের সাথে লবিং চালিয়ে যেতে থাকি নিজেদের বৈধতা লাভের আশায়। আল্লার ক্ষমতা ও সার্বভৌমত্বের সাথে যখন বিদেশী প্রভূদের ক্ষমতাকে আমরা দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য করে ফলি তখন দীন প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আল্লাহর দেয়া শর্তকে আমরা হয়ত কিছুটা লংঘন করে বসি।

"দাতা দেশ"
বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বয়ংসম্পূর্ন না। বিদেশী বলতে আমি যাদের কাছে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে অর্থনীতি বা দেশের রাজনীতি সচল থাকে বা পরিচালিত হয় তাদের কথা বুঝাতে চেয়েছি।
বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো পোশাক খাত তাই এই খাতকেই আমি উদাহরন হিসেবে টেনে নিলাম, পোষাক খাতের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে রপ্তানীর অনেকটাই নির্ভর করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং অ্যামেরিকার দেয়া বিশেষ সুবিধার উপর। তাছাড়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে এসব বিদেশী গোষ্ঠির প্রভাব দৃশ্যমান। এমনকি ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের জীবন বাচাতে বা ফাসি না দেয়ার জন্য লবিং করা হয়ে থাকতে পারে ( আমি এই বিষয়টি নিশ্চিত না তবে ধারনামতে লবিং করা হয়েছে), এমনকি বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের পথিকৃত জামায়াতে ইসলামী নিজেদের অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য হয়ত লবিং চালিয়ে যাচ্ছে লবিং করা হয়ত সমস্যা না। সমস্যা হলো লবিং করতে গিয়ে যাদের কাছে লবিং করা হচ্ছে তাদের সাথে কোন কিছু আপোষ করা হচ্ছে কিনা, বা তাদের দাবী অনুযায়ী নিজেদের আদর্শের পরিবর্তন না করে, বা ইসলামী অনুশাসনের সবকিছু বিদ্যমান রেখে স্বচ্ছন্দে রাজনীতি করা যাচ্ছে কিনা।

ইসলামী বিধানের ক্রমবাস্তবায়ন এবং আপোষকামীতাঃ
আমি যতটুকু জানি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে পুরাতন দল (বড় দলগুলোর মধ্যে), যার ভিত্তি ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। দলগঠনের এতো গুলো বছর পার করার পরে দলের অনেক নেতা কর্মীর মধ্যে ইসলামের মৌলিক ত্রুটি বিদ্যমান। প্রতিষ্ঠার এত বছর পরও একটি দলের মধ্যে যখন এরকম ত্রুটি বিদ্যমান তখন সে দলের জন্য রাজনীতির ক্ষমতা অর্জনকে অগ্রাধিকার দেয়া কতটুকু ইসলাম সম্মত বা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? এটি হয়ত বলা যেতে পারে যে মানুষের মধ্যে ত্রুটি থাকবে, এসব থাকবে এসব নিয়ে চলতে হবে, কিন্তু বাস্তবে কি তাই? সংগঠনের সংকটকালে আমরা মক্কার জীবনের সাথে তুলনা করি অনেক সময়, কিন্তু মক্কার জীবনের ইসলামের প্রাকটিসের মাধ্যমে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার ততকালীন কর্মীদের নিজেদের তৈরীর যে কঠোর অনুশীলন সেটি হয়ত কথার মধ্যে অনুপস্থিত থাকে। ঈমানী ও চারিত্রিক ভাবে অপূর্ণ থেকে ক্ষমতা অর্জনের জন্য সংগ্রাম লড়াই করলে বা লড়াই করে ক্ষমতা অর্জন করলে ইসলামী আইনের বাস্তবায়ন কি এতোদিন ধরে চলে আসা সিস্টেমের মধ্যে গড়ে ওঠা মানুষগুলো দ্বারা সম্ভব? হয়ত কিছুটা সম্ভব কিন্তু পুরোপুরি কি সম্ভব? যদি পুরোপুরি সম্ভব নাই হয়, তাহলে এটাই কি শ্রেয় না যে, যারা ইসলামী আন্দোলনকে জীবনের লক্ষ্য করে নিয়েছে আগে তাদের মধ্যে ইসলামের কঠোর অনুশীলনের নিশ্চিত করা। হয়ত বলা হতে পারে যে, এখন কি সেটা নেই, আমি যতটুকু সংগঠনকে দেখেছি বলবো যে নেই, অনেক ত্রুটি বিদ্যমান। তখন হয়ত বলা হবে যে, মানুষ হিসেবে ত্রুটি থাকবেই বা আগে এরকম ছিলো কিন্তু এটাই বলে কি পাড় পাওয়া যাবে নাকি এসবের জন্য বাস্তব সম্মত ব্যবস্থা থাকতে হবে। যদি প্রশ্ন করেন যে আছে কিনা আমি বলব হয়ত আংশিক আছে তবে যেভাবে মনিটরিং হওয়া দরকার সেভাবে নেই।
যদি প্রশ্ন করেন যে তাহলে কিভাবে এসব মনিটরিং করা যেতে পারে বা এসব থেকে পরিত্রান পাওয়া যেতে পারে তাহলে বলব, যে সাথী সদস্য হওয়ার জন্য অনেক কঠিন ব্যবস্থা করা দরকার, বা সাংগাঠনিক কাজের চেয়ে ইসলামী আমালিয়াতকে বেশি গুরত্ব দেয়া দরকার।
কিছু উদাহারন দেয়া যেতে পারে আমি কেন এরকম ভাবছি,
যেমন যেসব ছাত্রদের রেজাল্ট ভালো তাদের জন্য সংগঠনে অনেক ছাড় দেয়া হয়,
প্রশ্ন হলো কেন দেয়া হয়?
উত্তর আসবে সংগঠনে ভালো লোক দরকার। তাহলে এখানে সংগঠন গুরুত্বপেলো নাকি ইসলাম গুরুত্ব পেলো। যদি বলেন যে ছেলেটি তো নামাজ কালাম পড়ে, অনেক উদাহরন দেয়া যেতে পারে যেখানে অনেক ঘাটতি থাকার পর অনেক ছাড় দেয়া হয় শুধু সংগঠনের লাভের জন্য। আমি শুধুমাত্র একটি উদাহরন দিলাম, এরকম আরো কিছু দেয়া যেতে পারে যেগুলো করা হয় সংগঠনের লাভের জন্য। কথা হলো যে সংগঠনের উদ্দেশ্য হলো দ্বীন প্রতিষ্ঠা সেখানে এগুলো করে কি এটা মনে করা হয় না?যে এগুলোর না হলে ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব না, বা রাজনীতিতে সুবিধা করা সম্ভব না। যদি তাই মনে করা হয়, তাহলে আল্লাহর সন্তুষ্টির স্থান টি কোথায়?
একারনেই আমি মনে করি ক্রমবাস্তবায়নের যে কথা সেটি অনেকটাই একটি অবাস্তব কথা।

মিশর বা ইখওয়ানঃ
আমি ইখওয়ানের কথা হয়ত সরাসরি বলিনি তবে মিশরের কথা বলেছিলাম। মিশরের সরকার বা মুরসি সরকার অবশ্যই ভালো উদ্যেগ নিয়েছিলো। কিন্তু সেই উদ্যেগের স্থায়িত্ব খুবই কম হয়েছে। এটি হয়েছে বিদেশী শক্তির অসহযোগিতা বা বিরোধিতা এবং দেশের ভেতরে বা সরকার পরিচালনার সিস্টেমের মধ্যে থাকা ইসলাম বিরোধী বা ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠার বিরোধী গোষ্ঠির কারনে। ইলেকশনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আরোহন করার পরো যেখানে টিকতে পারেনি সেখানে বাংলাদেশের মত একটি রাষ্ট্রে সেটি কতটুকু সম্ভব। এটিই বুঝাতে চেয়েছিলাম। তবে আমি এটি বলছি না যে ইসলামি আন্দোলন করা যাবে না। আমার কথা হলো, যখন নিজেদের ভেতর অনেক সমস্যা তখন সেটিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সামনে অগ্রসর হওয়া।

ইসলামে আধাত্নিক দল বা গ্রুপঃ
এটি বলেছিলাম কারন, হলো ইসলামের মূল স্পিরিট কে টিকিয়ে রাখতে হলে, ইসলামী নলেজের পারদর্শী বা নলেজের চর্চাকারী একটি গ্রুপ বা দল থাকতে হবে, যারা ইসলামের দাওয়াতের প্রসারে কাজ করবে।
এটি বলার কারন, সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা রাজনীতি করতে ভয় পায় কিন্তু তারা ইসলাম পছন্দ করে ইসলামের চর্চা করতে ভালোবাসে এসব মানুষকে সঠিক পথে রাখার জন্য কিংবা নিজেদের আয়ত্বের মধ্যে রাখার জন্য দাওয়াতী দল বা একই দলের ধর্মীয় শাখা রাখা যেতে পারে। তাতে করে সকল মানুষের কাছে ইসলামকে পৌছানো যাবে। বিদ্যমান সংগাঠনিক ব্যবস্থায়, ইসলামের বব্যাপক দাওয়াতী কাজ করা সম্ভব হয় না। সাংগাঠনিক/রাজনৈতিক কাজে বেশি মনোনিবেশ করার ফলে দাওয়াতী কাজ বা সমাজে ইসলামের প্রসারে যেভাবে কাজ হওয়ার কথা সেভাবে হচ্ছে না, ফলে অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের ফলে বা নিজেদের অবস্থা স্বচ্ছল হওয়ার ফলে মানুষ উন্মুক্ত চিন্তার অধিকারী হয়ে, সমাজে সহজলভ্য শিক্ষাকে গ্রহন করছে ফলে মানুষের চিন্তার বিকাশও সেভাবে হচ্ছে। ফলে সমাজের একটি বৃহত অংশ ইসলামী চিন্তার বদলে ইসলাম বিরোধী চিন্তায় বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে। যদি ইসলামী শিক্ষার প্রসারে ব্যাপক কাজ করা যেত এই সংখ্যা অনেকটা কমে যেত।

আমি যেভাবে বুঝেছি, বা আমি যা বলতে চেয়েছিলাম, সংক্ষেপে এটিও তার ব্যাখ্যা।
ধন্যবাদ আপনাকে সময় করে পড়ার জন্য।
২১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৪১
119319
অনুরণন লিখেছেন : এখন অনেকটাই পরিষ্কার হয়েছে। তবে আপাতত: আলোচনা আর না আগাই, কারণ, আমার 'আন্দোলনের শরীয়াহ সম্মত কর্মপন্থার সীমা'র ধারণার সাথে সাথে এখানে আপনার দেয়া ধারণার মাঝে বিস্তার ১৮০ ডিগ্রীর কাছাকাছি Happy

ধন্যবাদ, সময় নিয়ে বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনার করার জন্য।
২১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৬
119576
মুহাম্মদ আব্দুল হালিম লিখেছেন : "আমার 'আন্দোলনের শরীয়াহ সম্মত কর্মপন্থার সীমা'র ধারণার সাথে সাথে এখানে আপনার দেয়া ধারণার মাঝে বিস্তার ১৮০ ডিগ্রীর কাছাকাছি"

আমি জানি আমার ভাবনাগুলো আপনার ধারনা সাথে শুধু নয়, ইসলামি শরীয়তের অনেক দুরে। আর আমি জেনে বুঝেই এই রকম ভাবনাগুলো লিখেছি। লিখেছি কারন আমি রাজনৈতিক দৃষ্টিভংগি থেকে লিখেছি, রাজনৈতিক ময়দানে সফলতার ভাবনা থেকে।
কারন বিদ্যমান রাজনৈতিক ও সাংগাঠনিক কর্মকান্ডে শরীয়তের অনেককিছু লংঘন করা হয়।
সেগুলোকে রোধ করে ইসলামী চর্চার বিকাশ এবং রাজনৈতিক ময়দানে তুলনামুলক একটি উদারপন্থী দল সৃষ্টি করে যাতে তথাকথিক ক্ষমতার লড়াইয়ে সফলতা পাওয়া যায়।

ধন্যবাদ।
২১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫৪
119676
অনুরণন লিখেছেন : না আমার মতভিন্নতা অন্য জায়গায়। রাজনীতি কলুষিত, তাই ইসলামের শুদ্ধতা আর মান সন্মান রক্ষার্থে এইটাকে ইসলামি আন্দোলন থেকে আলাদা করে ফেলতে হবে, এই ভাবনাটা ইউটোপিক।

সাউদি সালাফিস্টরা মদীনা ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে বহু আগে থেকেই এই ধারণা সবার মাঝে ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।

ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো, তাত্বিক ভাবে এই ধারণা আর সেকুলারদের ধর্ম 'একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়' ধারণার মধ্যে কৌনিক দুরত্ব খুবই কম।


164744
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:০৮
হতভাগা লিখেছেন : ০ বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৯০% মুসলমান । তবে তা শুধু নামে । কাজে নয় ।

০ বাংলাদেশের জনগন পরমুখাপেক্ষী । নিজেরা চেষ্টা করার চেয়ে অন্যের তৈরি করা জিনিস ব্যবহার করতেই সে বেশী স্বচ্ছন্দ বোধ করে ।

০ বাংলাদেশের মানুষ A to Z দূর্নীতি মনঃষ্ক । ফলে এ দেশ দূর্নীতির ব্রাজিল হিসেবে পরিচিত ।

০ এদেশের মানুষ চরমভাবে অলস প্রকৃতির । এই অলসতার কারণে সমসাময়িক স্বাধীন হওয়া দেশগুলোর তুলনায় তারা অনেক পিছিয়ে । তাদের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক বেশী বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভর করে ।

০ এর ফলে আমাদের উপর ঋণের বোঝা দিনকে দিন বেড়ে যাচ্ছে । আমরা পরাশক্তিদের ইচ্ছের নাগপাশ হতে বের হতে পারছিনা ।

অর্থনৈতিক সাহায্যের আবরণে তারা আমাদের সবকিছুর ব্যাপারেই নাক গলায় । আমরা পারি না তাদের না করতে যেটা অন্য যে কোন ছোট দেশও পারে ।


সবকিছু আমরা নিজেদের মত করে সাজাতে পারবো তখনই যখন আমরা বাস্তবিকভাবেই স্বনির্ভর হতে শিখবো ।

164798
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
ঘারতেরা লিখেছেন : ভাই, সবাই ঘরে বসে আইডিয়া দিতে থাকেন এবং এক ইসলামী দল আরেক ইসলামী দলের সমালোচনা করতে থাকেন তাতেই ইসলামের ভবিষ্যত উজ্জল হয়ে যাবে।
২০ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
119124
অনুরণন লিখেছেন : উনি শুধু ঘরে বসে আইডিয়া দিয়ে যাচ্ছেন এই ধারণার ভিত্তি কি?

২১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০১
119278
মুহাম্মদ আব্দুল হালিম লিখেছেন : ভাই, আমার যা মনেহয় যারা ইসলামী আন্দোলন করেছে বা এখনও করে তারা কেউ ই বসে নেই। যার যার অবস্থান থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে কিছু করার জন্য। আল্লাহই ভালো যানেন মানুষের মনের ভেতরের অবস্থা।
319497
১২ মে ২০১৫ রাত ০২:০২
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : akon xam calce,islamic movementer..

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File