নর্দমা বলে আমায় তুমি রক্ষা করো প্রভু। প্রভু হেসে বলে তুমি নর্দমাই থাকো, তাহাদের করিব তোমার সমতুল্য আজি।

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ আব্দুল হালিম ২৮ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৩:৪৬:৫৮ রাত

নর্দমা বলে আমায় তুমি রক্ষা করো প্রভু

যেটুকু ছিলো মোর সাথে ভালো, তাও তো নিতে চায় কারি

চারিদিকে শুধু শুনি ভালোর কান্নার রোল আর আহাজারি

তাহা চাপিয়া উঠিয়াছে আজ রাজ সেনাদের গর্জন আর ঝারি।

প্রভু হেসে বলে তুমি নর্দমাই থাকো,

তাহাদের করিব তোমার সমতুল্য আজি।

বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক নর্দমা আছে, মনুষ্য সৃষ্ট বর্জ্য বহন করে বড় নর্দমার গর্তে নিয়ে যাওয়াই হলো এর কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার আলো এসব নর্দমার অবস্থার পরবর্তনে কোন ভূমিকা পালন করতে পারেনা। শিক্ষার ছোয়া হিসেবে শিক্ষিতে আবর্জনা বহন করাই হলো এদের কাজ। নর্দমাকে পরিষ্কার কিংবা দূষনমুক্ত করা যেমন দুঃসাধ্য কারন দূষন মুক্ত করতে চাইলে সেটি আর নর্দমা হিসেবে বেচে থাকতে পারেনা, সেটি হয়ে যাবে সেচ কাজে ব্যবহৃত ড্রেন কিন্তু সেচ কাজে ব্যবহৃত ড্রেন বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারেনা।

সম্প্রতি ছা্ত্রলীগের বিশুদ্ধকরণ অভিযানের অংশহিসেবে কেন্দ্র থেকে কিছু গ্রুপ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভ্রমন করছেন। উদ্দেশ্য দুটি

১) তথাকতথিত অনুপ্রবেশ কারীদের খুজে বের করা। বা তাদের অনুপ্রবেশ রোধ করা।

২) বিশৃংখলা কারীদের কিছুদিন আন্ডারগ্রাইন্ডে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া।

কথা হলো অনুপ্রবেশকারী হিসেবে এরা কাদেরকে অভিহিত করছে সে বিষয়ে চিন্তা করা। ছাত্রলীগের অপকর্মগুলোকে যেসব ছাত্রলীগ কর্মী ঘৃণা করছে, কিংবা মিডিয়ায় প্রকাশে সহযোগিতা করছে এবং এসব অপরাধের বিষয়ে বিরোধিতা করছে তাদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

অপরপক্ষে যারা সন্ত্রাস আর খুনের জন্য ফ্রন্ট লাইটে কাজ করছে এদের কে ত্যাগী নেতা হিসেবে পুরষ্কৃত করছে নানা ভাবে।

কিন্তু কথা হলো ছা্ত্রলীগকে সন্ত্রাসমুক্ত করার যে অভিযান কিংবা অনুপ্রবেশকারী রোধ করার জন্য যে অভিযান সে অভিযান যদি আসলে বাস্তবায়ন হয়, তাহলে ছা্ত্রলীগকে খুজে পাওয়া যাবে তো??? যেখানে অনেকের ই ছা্ত্রত্ব বাতিলের হয়েছে নানা কারনে, অনেকের শেষ। তাহলে উপায় কি???

উপায় একটাই।

বিশুদ্ধভাবে দূষিতদের নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া। একবারে নির্ভেজাল দূষিত জিনিস এখন আওয়ামীলীগের ভরসা। কারন মস্তিষ্ক বিকৃত হলে, পাগলদের সাথে ছাড়া সংসার করা বড়ই জটিল হয়ে যায়।

সুতরাং শেষে একটাই স্লোগান --------

আন্ধেরা কায়েম রাহে।

জিয়ে রাহো আন্ধেরা কি তাকাত, আন্ধেরা কি মালিক।

জয় বাংলা।

বিঃদ্রঃ

আপসোস লাগে যে শহীদ জিয়া মরে ও শহীদ নামটা , পদবীটা নিতে পরেছে, কিন্ত বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সন্তানরা যদি শহীদ পদবী বা উপাধীটা দিতে পারত। আমরা আজ গর্বে করে বলতে পারতাম যে আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠা একজন শহীদ। আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন যে হে বান্দা তুমিতো বঙ্গবন্ধু হতে চেয়েছিলে, তোমার সন্তানরা তোমাকে সে উপাধি দিয়েছে আর কি চাও তুমি। তখন বঙ্গবন্ধু হয়ত বলবেন হে আল্লাহ তুমি আমাকে ওদের সাথে জড়াইওনা। আমার উপর এতোটা জুলুম করোনা খোদা।

আল্লাহ তায়ালা এই দুজনকেই জান্নাতবাসী করুন। যারা এই দুজন মহান নেতার নাম নিয়ে দেশ ও জাতির ঘাড়ের উপর আছর করে বসে আছে, তাদের সেই ভূত যাতে তারাতারি ছুটে যায়, বাংলার পাবলিক যাতে সেই ভূতের ব্যাপারে বুঝতে পারে সেই তোফিক তুমি বাংলার সহজ সরল মানুষদের দিও খোদা।

(আমীন)

বিষয়: বিবিধ

১২৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File