আমি কেন জামায়াত শিবির সমর্থন করি ?
লিখেছেন লিখেছেন কাবজাব ৩১ জুলাই, ২০১৩, ০২:৫৫:২০ রাত
আমাকে অনেকে প্রশ্ন করে জামায়াত শিবির কে কেন সমর্থন করি ? জামায়াত তো ১৯৭১ এ মুক্তি যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। আমার সমর্থন করার কিছু কারন উল্লেখ করছি
১. যদিও আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, এটাও সত্য যে জামায়াত ঐ সময় পরিস্থিতির কারণে রাজনৈতিক ভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল. কিন্তু জন্মের পর থেকে বুদ্ধি হওয়ার পর জামায়াত এবং শিবিরের নেতাদের দেখে আসতেসি। সাথে সাথে অন্যান্য দলের নেতা ও তাদের চামচা দের ও দেখে আসছি। পার্থক্যটা যেকোনো সচেতন লোকের চোখে পড়ার কথা। তাই আমি বর্তমানকে এই ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিলাম। আর একজন মানুষ যদি আসলেই ভন্ড হয়, তাহলে সে যতই ভালো সাজার চেষ্টা করুকনা কেন, একসময় না একসময় তার এসব ভন্ডামি ধরা পরবেই।
২. ২০০১-২০০৬ সেশনে জামায়াতের মন্ত্রীদের দেখেছি. মইন-ফখরুদ্দিন আমলে বড় বড় সব রাঘব বোয়াল ধরলেও জাময়াতের এই দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনতে পারেনি।
৩. আমার স্কুল জীবন কাটে একটি উপজেলা শহরে। তখন আমি প্রায় শুনতাম উপ্জেলাস্থ জামায়াত শিবিরের অফিসে নাকি হকি স্টিক, খুর, দা, চুরি, ব্লা ব্লা থাকে। আরো শুনতাম ওরা নাকি রগ কাটাতে খুব দক্ষ।যদিও কখনো দেখিনি, শুধু শুনেই গেলাম।এসব শুনে জামায়াত শিবিরের নামটা শুনলে মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করতো।তো একদিন কোনো এক উছিলায় ওদের অফিসে গেলাম। কিউরিয়াস মাইন্ড শুধু আশে পাশে হকি স্টিক রাম দা এসব খুজতেছিল। মনে করলাম হয়তবা কোথাও লুকিয়ে রাখছে। কিন্তু ঐগুলো খুজতে গিয়ে দেখলাম বিভিন্ন আলমারিতে অনেক ধরনের ইসলামী বই সাজানো।এর পরও প্রায় অনেক বার গিয়েছিলাম. কিন্তু কখনো হকি স্টিক, রাম দা এইসব কিছুই দেখলাম না।এইসব দেখে জামায়াত শিবির নিয়ে আগ্রহ আরো বেড়ে গেল।
৪. কলেজ জীবনে শিবির অধ্যুষিত চট্টগ্রাম কলেজ এবং মহসিন কলেজের পরিবেশ ও দেখলাম, একই শহরে অবস্থিত ছাত্রলীগ অধ্যুষিত চট্টগ্রাম সিটি কলেজ এবং এম ই এস কলেজের পরিবেশ ও দেখলাম। চট্টগ্রামের লোকজন ভালো জানবে এই ব্যপারে।
৫. লোকজনের কাছে সব সময় শুনি শিবিরের পোলাপাইন নাকি খুবই ভয়ঙ্কর, মানুষের রোগ কাটে আরো কত কি।কিন্তু যখন জিজ্ঞাসা করা হয় শিবিরের অমুক কে চিনেনন ? উত্তর আসে, হ্যাঁ চিনিতো, উনি তো খুবই ভালো লোক।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কালাম পরে। তমুককে চিনেন ? হ্যাঁ চিনিতো, উনিওতো ভালো লোক। তাহলে যে বললেন শিবিরের পোলাপাইন সব ভয়ঙ্কর? তখন উত্তর আসে ওদের আসলে আলাদা কিছু প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছেলে আসে যাদের কাজ হল খুন করা আর রগ কাটা।মিডিয়া জামায়াত-শিবির নিয়ে এত কল্প কাহিনী রচনা করছে যে, আমরা নিজের চোখে দেখার পরও বিশ্বাস করতে পারিনা।ঐ মিডিয়ার কল্প কাহিনীই বিশ্বাস করি।
৬. ২০০১-২০০৬ সেশনে জামায়াত শিবির চার দলীয় জোটের সাথে ক্ষমতায় ছিল/ কিন্তু কখনো শুনিনি তাদের চাদাবাজি বা টেন্ডারবাজি করতে।
৭. সবাই বলে জামায়াতের নেতারা নাকি ধর্ম ব্যবসা করে।যদি তাই হত তাহলে আওয়ামিলীগ, বিএনপির মত তাদের নেতৃত্ত্ব কয়েক পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত এবং এত অত্যচারের মধ্যে আর কোনো অস্থিত্ব থাকতনা।
পরিশেষে বলবো জামায়াত-শিবিরের নেতারাও মানুষ। তাই এস এ হিউমান বিয়িং তাদের ও ভুল থাকতে পারে। আশা করি তারা তাদের ভুল গুলো পরিশোধিত করে সামনে আরো এগিয়ে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
২৩১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন